গ্রামের মেয়ের ভালোবাসা

নিশিঃ হ্যাঁ তোমার আদর সব সময় ই আমার লাগবে । বেশি কথা না বলে দাও ।

তারপর আমি নিশির কপালে আলতো করে ঠোঁটের স্পর্শ দিলাম । নিশি আমার স্পর্শ পেয়ে কেঁপে উঠলো । তারপর নিশি বললো,,,,,,,,

নিশিঃ শুধু কপালে কেন ? আরো জায়গায় দাও ।

আমিঃ যা তো আমি এগুলো পারবো না ।

নিশিঃ পারবা না তাই না দেখাচ্ছি মজা ।

বলেই নিশি আমার মাথার পিছনে হাত রেখে মুখটা এগিয়ে এনে আমার কপালে,দুই গালে,নাকে,থুতনিতে কিস করেই চলেছে । আমি বললাম,,,,,,

আমিঃ নিশি কি করছিস ছাড় । দম আটকে গেল ।

নিশি আমার কোনো কথা না শুনে কিস করেই চলেছে । এভাবে তিন মিনিট চলার পর নিশি আমাকে ছেড়ে দিল । আমি একদম হাঁপাতে লাগলাম । নিশিও হাঁপাতে লাগলো ।

আমিঃ আমাকে দম বন্ধ করে মে*রে ফেলবি নাকি ? তুই কি পা*গ*ল হয়ে গেছিস ?

নিশিঃ তুমি নাকি পারবে না । তাই আমিই আমার আদর আদায় করে নিলাম ।

আমিঃ হইছে এখন বাড়ির ভিতরে যা ।

নিশিঃ তুমি কি করবা তুমিও আসো ।

আমিঃ যাচ্ছি যা ।

নিশিঃ ওকে ।

বলেই নিশি বাসার ভিতর চলে গেলো । আমিও আর কিছুক্ষণ থেকে ভিতরে চলে আসলাম । রাতে খাওয়ার সময়,,,,,,

আমিঃ আব্বু আমি দুই দিন পর আবার ঢাকা ফিরে যাচ্ছি ।

আম্মুঃ কিহহ এতো তাড়াতাড়ি । তোর জন্য তো কিছুই করতে পারলাম না ।

আমিঃ কিছুই করতে হবে না আম্মু । তোমার চাঁদ মুখটা দেখে গেলাম এতেই আমি সবচেয়ে বেশি খুশি ।

দেখলাম নিশি অনেক মন খারাপ করে আছে । কিছুক্ষণ কিছু একটা ভাবলো । তারপর হঠাৎ বলে উঠলো,,,,,,

নিশিঃ বড়আব্বু আমিও ভাইয়ার সাথে ঢাকা যাবো । ওখানে পড়াশোনা করতে চাই ।

আমিঃ নিশি কি বলছিস এগুলো । পা*গ*ল হয়ে গেছিস । ওখানে তুই থাকতে পারবি না ।

নিশিঃ তুমি চুপ করো । বড়আব্বু প্লিজ ।

আব্বুঃ ওখানে গিয়ে তুমি থাকবে কোথায় মামুনি । তোমার যে থাকার সমস্যা হবে ।

নিশিঃ কেন ভাইয়ার সাথে থাকবো ।

আব্বুঃ একসাথে কেমনে থাকবে তোমরা অনেক বড় হয়েছো । কেউ থাকতে দিবে না ওখানে ।

আম্মুঃ আমি একটা উপায় পাইছি ।

আব্বুঃ কি উপায় ।

আম্মুঃ রাকিব যাওয়ার আগে নিশি আর ওর বিয়ে ।

আম্মুর কথা শুনে আমি কাশতে লাগলাম । গলায় ভাত আটকে গেল । তাড়াতাড়ি করে পানি খেয়ে আম্মুর দিকে তাকালাম । আর বললাম,,,,,,,

আমিঃ আম্মু তুমিও কি ওর সাথে পা*গ*ল হয়ে গেছো ।

আম্মুঃ কেন ?

আমিঃ আমি এখনো ছোট মানুষ । আমার বিয়ের বয়স নি ।

হঠাৎ নিশি মাঝখানে বললো,,,,,,

নিশিঃ এহহ বিয়ের বয়স হয়নি । বাসর ঘরে ঢুকলে দুই বাচ্চার বাবা হবে আবার বলে ছোট মানুষ ।

নিশির কথা শুনে সবাই আমার দিকে তাকিয়ে হাসছে । আমি নিশির দিকে রাগি চোখে তাকিয়ে আছি । তারপর আমি আব্বুকে বললাম,,,,,

আমিঃ আব্বু আমি বিয়ে করতে পারবো না এখন ।

আব্বুঃ কোনো কথা নয় । কালকেই তোমাকে বিয়ে করতে হবে ।

আমিঃ আব্বু.....

বলতেই আব্বু আমার দিকে রাগি চোখে তাকালো । আমি আর কিছু বললাম না । কারন আমি আগে থেকেই আব্বু কে ভয় পাই ।

নিশির দিকে তাকিয়ে দেখি ও অনেক খুশি । ওর মনে তো লাড্ডু ফুটছে । তারপর খাওয়া দাওয়া করে যে যার রুমে চলে গেল । আমিও আমার রুমে চলে আসলাম ।

একটু পর দেখি নিশি আমার রুমে আসলো । আমি ওকে দেখেই বললাম,,,,,,,

আমিঃ কি ব্যাপার তুই এখানে ।

নিশিঃ কেন আসতে পারবো না ।

আমিঃ পারবি কিন্তু রাতে না । যা বের হো ।

নিশিঃ এহহ আইসে । কাল থেকে আমার সাথেই তো থাকতে হবে রাতে ।

আমিঃ কালকের টা কাল দেখা যাবে । এখন যা ঘুমাবো ।

নিশিঃ হ্যাঁ যাচ্ছি । কাল কিভাবে তাড়াও সব দেখবো ।

বলেই নিশি চলে গেল । আমিও আমার বিছানায় এসে শুয়ে পড়লাম । আর বিছানাকে বললাম এটাই তোর সাথে আমার শেষ রাত সিঙ্গেল ঘুমানো । কাল থেকে আরেকজন আসবে । বাই সিঙ্গেল লাইফ ।

বলেই ঘুমিয়ে পড়লাম । সকালে ঘুমটা একটু দেরিতেই ভাঙলো । কারন কেউ ডাক দেয় নি । সবাই বিয়ের আয়োজন নিয়ে ব্যস্ত ।

তেমন কাউকে দাওয়াত করে নি । কাছের কয়েকজন আত্মীয় স্বজনদের নিয়ে ঘরোয়া ভাবে বিয়েটা হয়ে গেল ।

আজকে আমার বাসর রাত । নিশির সাথে অনেক সময় পার করেছি কিন্তু আজ কেমন যেন আলাদা ফিলিংস কাজ করছে । আজকে কেমন যেন ওর সামনে যেতেও লজ্জা পাচ্ছি ।

রুমে ঢুকবো কি ঢুকবো না এমন করতে করতে পিছন থেকে দুলাভাই ধাক্কা দিলো আর আমি হুরমুর করে রুমে ঢুকে পড়লাম ।

ঢুকে দরজাটা লাগিয়ে দিলাম । নিশির দিকে তাকাতেই দেখি ও আজ লাল শাড়ীতে লম্বা ঘোমটা দিয়ে আমার খাটের মাঝখানে বসে আছে ।

আস্তে আস্তে আমি খাটের কাছে আসতেই নিশি নিচে নেমে আমার পায়ে হাত দিয়ে সালাম করলো । তারপর বললো,,,,,,,,

নিশিঃ এখন আমার সালামি দাও ।

আমিঃ সালামি তো আনি নি । তবে এই নে তোর দেনমোহরের দুই লক্ষ টাকা ।

নিশিঃ হুমম । নিলাম কিন্তু এইটাকা তোমার কাছেই রেখে দাও ।

আমিঃ কখনোই না এটা তোর টাকা এটাই শুধু তোর অধিকার ।

নিশিঃ আমার সব কিছুই তো তুমি । তাই ওটা তুমি এখন রেখে দাও ।

আমিঃ আচ্ছা ঠিক আছে ।

নিশিঃ সালামি কিন্তু পেলাম না ।

আমিঃ আচ্ছা দিতাছি ।

বলেই আমি,,,,,,,,,,,,,,
""
""
""
চলবে,,,,,,,,,,,,

কপি করা কঠোর ভাবে নিষেধ । পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষা করুন । ধন্যবাদ ।