আপুঃ এখন বল তুই কেমনে জানলি তিথী ই আয়েশা ।
তারপর আমি বললাম,,,,,,,,
আমিঃ তিথী যেদিন আমাদের বাসায় আসে আর আমাকে দেখে অজ্ঞান হয়ে যায় সেদিনই আমি সন্দেহ করেছিলাম । কিছু তো একটা ব্যাপার আছে ।
আপুঃ তারপর,,,
আমিঃ তারপর আমার বন্ধুদের সব জানাই । এবং তিথীর ব্যাপারে খোঁজ নিতে বললাম । খোঁজ নিয়ে জানতে পারলাম তিথী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটা সুনাম ধন্য ভার্সিটি ছেড়ে এখানে এই নরমাল ভার্সিটিতে ভর্তি হইছে ।
আপুঃ তারপর,,,,
আমিঃ সেখানেই আমার সন্দেহ আরো বেড়ে গেল । আমি সেদিন একদম শিওর হয়ে গেছিলাম যেদিন আমার বাইকের পিছনে তোমরা দুইজন আমার বিষয়ে বির বির করে বলছিলে । সেদিন আমি সব শুনতে পেয়েছিলাম ।
আপুঃ তাহলে তুই এতো দিন তিথীকে কিছু বলিস নি কেন ? ও তোকে অনেক ভালোবাসে ।
আমিঃ আমি চাইছিলাম ও নিজ থেকে এসে আমাকে বলুক যে ও আয়শা । কিন্তু সে আমাকে দেখা মাত্র ভ*য় পেয়ে থাকে । তোমার বান্ধবী এতো গা*ধী কেন হুমম ? ওকে এতো বার সুযোগ দিয়েছি তবুও বলতে পারে না ।
আপুঃ এই খবরদার আমার ভাবী + বান্ধবীকে গা*ধী বলবি না ।
আমিঃ তো গা*ধী*কে গা*ধী বলবো না তো কি বলবো হুমম । আর ভাবী,,হুহ সেই আশা ছেড়েই দাও । ও কখনো বলতে পারবে না । গা*ধী কোথাকার ।
আপুঃ তাহলে এখন কি করবি ?
আমিঃ হুমম দেখো না কি করি । এমন নাটক করবো না,,,ও নিজ থেকে এসে বলবে যে ও আয়শা ।
আপুঃ ওকে লেটস সি ।
তারপর কিছুক্ষণের মধ্যেই আমার ফ্রেন্ড সার্কেল রানা,,মেহেদী,,জাহিদ,,আর জেরিন আমার আপুর হলুদ অনুষ্ঠানে এলো ।
আমিঃ কি রে তোরা এতো দেরী করলি কেন ?
সবাইঃ সরি দোস্ত একটু লেট ই হয়ে গেল ।
মেহেদীঃ খাবার দাবার আছে নাকি সব শেষ ।
আমিঃ সা*লা খাদক ।
বলেই সবাই হাসতে লাগলো । তারপর জেরিন বললো,,,,,,
জেরিনঃ আচ্ছা দোস্ত ভাবি কই । মানে সেই তিথী ।
আমিঃ ওই যে ।
জাহিদঃ বাহহ দোস্ত । ভাবী তো সেই সুন্দরী । তোর তো সব আশাই পূরণ হয়ে গেল । তোর দুর্বলতা সিনিয়র মেয়ে পেয়ে গেলি ।
আমিঃ 🙈 ।
জেরিনঃ থাক দোস্ত আর লজ্জা পেতে হবে না ।
আমি তাদের কে এই সব ঘটনা খুলে বললাম যে তিথী এখনো নিজ মুখে বলে নি সে আয়শা ।
মেহেদীঃ কি বলিস । এখনো বলেনি ।
আমিঃ না ।
জাহিদঃ তাহলে এখন কি করবি ?
রানাঃ আমার কাছে একটা প্লান আছে ।
আমিঃ কি প্লান ।
রানাঃ তাহলে শোন সবাই ।
তারপর রানা যা বললো সেটা শুনে সবাই সায় দিলো । রানা বললো,,,,,
রানাঃ শোন তুই তিথীর সামনে অন্য মেয়েদের সাথে হেসে কথা বলবি এমনকি তাদের গায়েও পড়বি । কারন মেয়েরা তাদের ভালোবাসার মানুষকে অন্য মেয়ের সাথে সহ্য করতে পারে না । আর তিথীকে কিছুক্ষণের জন্য ইগনোর কর । দেখ প্লান সাকসেসফুল হবে ।
আমিঃ তুই কি আমাকে মা*ই*র খাওয়াবি ভাই ।
মেহেদীঃ আরে কিছু হবে না । একবার করেই দেখ । অবশ্যই কাজে দিবে ।
আমিঃ ঠিক আছে কিন্তু মেয়ে পাবো কই ।
মেহেদীঃ এটা কি বলিস দোস্ত । জেরিন আছে কি করতে ।
জেরিনঃ কিহহ আমি ?? না বাবা আমি এগুলো পারবো না ।
জাহিদঃ বন্ধুর জন্য তুই এতোটুকু করতে পারবি না । তাহলে তুই কিসের বন্ধু ।
জেরিনঃ আচ্ছা ঠিক আছে করবো ।
জাহিদঃ এই তো কলিজার দোস্ত ।
তারপর রানার বলা প্লান মতো আমি আর জেরিন যেখানে যাচ্ছি একসাথে । হাত ধরে হাটছি তিথীর সামনে দিয়ে । একে অপরের সাথে হেসে কথা বলছি । মাঝে মাঝে জেরিন হেসে গায়ের উপর ও পরছে । আর আমিও পড়ছি ।
এগুলো দেখে কিছুক্ষণ পর আপু এসে বললো,,,,,,,
আপুঃ কী করছিস ভাইয়া । তিথী তো ফায়ার হচ্ছে ।
আমি চুপিচুপি বললাম,,,,
আমিঃ হতে দাও । ওকে জ্বালানোর জন্যই ।
আপুঃ ওহহ এটাই তোদের প্লান ।
আমিঃ হুমম । এখন তুমি যাও ।
আপুঃ ওকে ।
আপু যাওয়ার সময় তিথী ওকে ডেকে বললো,,,,
তিথীঃ জান্নাত তোমার ভাইয়ার সাথে ওই অসভ্য মেয়েটা কে । কথায় কথায় ওর গায়ে ঢলে পড়ছে কেন ?
আপুঃ মনে হয় ওর ভালোবাসার মানুষ আয়শা ।
তিথীঃ কিহহহ । আয়শা তো আমি ।
আপুঃ হুমম সেটা আমি আর তুমি জানি । ও তো আর জানে না । তুমি কি তাকে বলেছো । আচ্ছা থাকো আমার উপরে কাজ আছে ।
বলেই আপু উপরে চলে গেল । আমি তিথীর দিকে তাকিয়ে দেখি তিথী আমার দিকে অগ্নিদৃষ্টি করে তাকিয়ে আছে । চোখ অনেক লাল হয়ে গেছে ।
কিছুক্ষণ পর দেখলাম তিথী আমাদের দিকেই আসছে । এসে যা করলো দেখে তো আমি রীতিমত অবাক হয়ে গেলাম । কারন তিথী,,,,,,,,,,,,,,
""
""
""
চলবে,,,,,,,,,,,,,
পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষা করুন । ধন্যবাদ ।
ছোট্ট লেখকের প্রেমে
অডিও মোড
00:00
00:00
গতি:
ভলিউম:
215
Views
16
Likes
1
Comments
4.6
Rating