ছোট্ট লেখকের প্রেমে

অডিও মোড

00:00 00:00
গতি:
ভলিউম:
তিথী আমাকে বললো,,,,,,

তিথীঃ চলো কি কিনবে ।

আমিঃ আমি আগে কিনবো না । চলেন আগে আপনি শপিং করেন ।

তিথীঃ ঠিক আছে চলো ।

তারপর আমি আর তিথী লেডিস কালেকশনে গেলাম । তিথী আমাকে বললো,,,,,,

তিথীঃ তোমার সব চেয়ে কোন রঙ ভালো লাগে ?

আমিঃ আমার কাছে সব রঙ ভালো লাগে, আপনার কোনটা দরকার ।

তিথীঃ কোন রঙের শাড়ি পছন্দ করো ।

আমিঃ নীল রঙের শাড়ি পড়াই ভালো । আপনাকে বেশ মানাবে ।

তিথীঃ আর থ্রিপিস কোন রঙের হলে ভালো হবে ।

আমিঃ থ্রিপিস কালো রঙের হলে ভালো লাগবে ।

তিথীঃ ঠিক আছে চলো ।

তারপর প্রথমে তিথী নীল রঙের শাড়ি নিলো, এর কালো রঙের থ্রিপিস নিলো ।

আমিঃ এবার তাহলে বাহিরে যাওয়া যাবে ?

তিথীঃ তুমি কিনবে না ।

আমিঃ আমি এখান থেকে কিনব না । অন্য দোকানে গিয়ে কিনবো ।

তারপর আমার পছন্দ মত একটা ব্লাক পাঞ্জাবি কিনলাম । সাথে জিন্স । তারপর তিথী কে বললাম

আমিঃ চলেন বাসায় যাই ।

তিথীঃ শপিং করার পর খাওয়া দাওয়া না করে আমি কোন দিন বাসায় যাইনা । তাই খাওয়া দাওয়া করে বাসায় যাবো ।

কি আর করার । তিথী কে নিয়ে একটা রেস্টুরেন্টে গেলাম ।

তারপর খাওয়া দাওয়া করলাম । সাথে টুকটাক কথাও বললাম । তারপর তিথী জোর করে বিল দিলো ।

বাহিরে এসে রিক্সায় উঠলাম । একটা রিক্সাই বসার কারনে দুজন দুজনার সাথে লেপ্টে আছি ।

আমি যতই তিথীর থেকে একটু দূরে বসতে চাচ্ছি তিথী ততই আমার সাথে গা লেগে বসতেছে । রিক্সা তার আপন গতিতে চলছে । একটু পর তিথী আমাকে বললো,,,,,,,

তিথীঃ এতো দূরে বসে আছো কেন । আর রিক্সার এতো সাইডে চলে গেছো কেন । পড়ে যাবা তো । একটু কাছে এসে বসো ।

আমিঃ না । আমি এখানেই ঠিক আছি ।

তিথী আরো মায়াবী মুখ নিয়ে মায়া করে বললো,,,,,,

তিথীঃ প্লিজ এদিকে এসে বসো ।

ওর মায়ার কথা ফেলতে পারলাম না । ওর দিকে একটু এগিয়েই বসলাম । তিথীর খোলা শাম্পু করা রেশমি চুল বাতাস বার বার আমার মুখে আচড়ে পড়ছে ।

তিথী সেগুলো বার বার আমার মুখ থেকে সরাচ্ছে । মনের ভিতরে কেন জানি এক ভালো লাগা কাজ করছে ।

কিছুক্ষণ পর তিথী বললো,,,,,,

তিথীঃ এই মামা রিক্সা থামান ।

আমি অবাক হয়ে বললাম,,,,,,

আমিঃ কি হলো রিক্সা থামালেন কেন ?

তিথীঃ ওই যে আইসক্রিম । আমি আইসক্রিম খাবো । আমাকে আইসক্রিম এনে দাও না প্লিজ ।

আমিঃ বাচ্চাদের মতো করছেন কেন ? আইসক্রিম বাচ্চারা খায় ।

তিথীঃ না । আমিও খাবো । প্লিজ এনে দাও না ।

তিথীর কাণ্ডকারখানা দেখে রিকশাওয়ালা মামা হাসলো । আর আমাকে বললো,,,,,

রিকশাওয়ালাঃ যান না মামা । মামি যখন এতো করে বলছে একটা আইসক্রিম এনে দেন ।

আমিঃ এই শুনেন..............

তিথী আমাকে পুরো কথাটা বলতে না দিয়ে বললো,,,,,,,

তিথীঃ থাক না ।

দেখলাম তিথী রিকশাওয়ালা মামার কথা শুনে লজ্জায় লাল হয়ে আছে । তারপর আমি আর কোনো কথা না বলে তিথীর জন্য আইসক্রিম নিয়ে আসলাম ।

রিক্সায় তিথী বাচ্চাদের মতো আইসক্রিম খাচ্ছে । আমি তো দেখে অবাক । এতো বড় মেয়ে তবুও আইসক্রিম খাওয়ার জন্য বাচ্চাদের মতো আচরন করে ।

কিছুক্ষণ পর রিক্সা বাসার সামনে এসে দাঁড়ালো । এখানে ও তিথী জোর করে ভাড়া দিলো । আমি চলে আসতেছি । তখন রিকশাওয়ালা মামা তিথীকে বললো,,,,,,

রিকশাওয়ালাঃ মামি,,মামার সঙ্গে কিন্তু আপনাকে অনেক মানাইছে ।

তিথী লজ্জা পেয়ে বললো,,,,,

তিথীঃ ধন্যবাদ মামা । আমাদের জন্য দোয়া কইরেন । এই নেন আরো একশো টাকা বকশিস ।

তারপর তিথীও আপুর রুমে চলে আসলো । এভাবে বিয়ের টুকিটাকি কাজ করতে করতে আরো আটদিন চলে গেল ।

আট দিন পর,,,,

আজ জান্নাত আপুর গায়ে হলুদ । আমার বন্ধুরা সহ সবাই আসছে । তিথী হলুদ শাড়ী পড়েছে । আমিও হলুদ পাঞ্জাবী পড়েছে । তিথীকে হলুদ শাড়ীতে অনেক সুন্দর লাগছে ।

আমি আপুকে হলুদ মাখানোর সময় আপু আমাকে ফিসফিসিয়ে বললো,,,,,,,,,,,

আপুঃ তোর সাথে আমার অনেক জরুরি কথা আছে ।

আমিঃ কি ব্যাপারে ?

আপুঃ তিথীর ব্যাপারে ।

আমিঃ হুমম কি বলবে বলো ।

আপুঃ তিথী আসলে কে জানিস ?

আমিঃ হুমম জানি তো ।

আপু একটু অবাক হয়ে বললো,,,,,,,

আপুঃ কি জানিস । আর তিথী কে বলতো ।

আমিঃ তিথী হলো আয়শা ।

আপু এবার চোখ বড় বড় আমার দিকে তাকিয়ে জোরে বললো,,,,,,,,,

আপুঃ হোয়াটটটটট,, তুই কেমনে জানলি ?

আপুর কথা শুনে সবাই আপুর দিকে তাকিয়ে আছে । তিথীও তাকিয়ে আছে ।

তারপর আমি বললাম,,,,,,,,

আমিঃ আরে আস্তে বলো ।

তারপর সবাইকে উদ্দেশ্য করে আপু বললো,,,,,,

আপুঃ সরি অল গাইস । আমাদের দুজনের কথা ।

তারপর সবাই যে যার কাজে মনোযোগ দিলো ।

আপুঃ এখন বল তুই কেমনে জানলি তিথী ই আয়েশা ।

তারপর আমি বললাম,,,,,,,,

আমিঃ,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
""
""
""
চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,

পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষা করুন । ধন্যবাদ ।
237 Views
13 Likes
5 Comments
4.6 Rating
Rate this: