তিথী আমাকে বললো,,,,,,
তিথীঃ চলো কি কিনবে ।
আমিঃ আমি আগে কিনবো না । চলেন আগে আপনি শপিং করেন ।
তিথীঃ ঠিক আছে চলো ।
তারপর আমি আর তিথী লেডিস কালেকশনে গেলাম । তিথী আমাকে বললো,,,,,,
তিথীঃ তোমার সব চেয়ে কোন রঙ ভালো লাগে ?
আমিঃ আমার কাছে সব রঙ ভালো লাগে, আপনার কোনটা দরকার ।
তিথীঃ কোন রঙের শাড়ি পছন্দ করো ।
আমিঃ নীল রঙের শাড়ি পড়াই ভালো । আপনাকে বেশ মানাবে ।
তিথীঃ আর থ্রিপিস কোন রঙের হলে ভালো হবে ।
আমিঃ থ্রিপিস কালো রঙের হলে ভালো লাগবে ।
তিথীঃ ঠিক আছে চলো ।
তারপর প্রথমে তিথী নীল রঙের শাড়ি নিলো, এর কালো রঙের থ্রিপিস নিলো ।
আমিঃ এবার তাহলে বাহিরে যাওয়া যাবে ?
তিথীঃ তুমি কিনবে না ।
আমিঃ আমি এখান থেকে কিনব না । অন্য দোকানে গিয়ে কিনবো ।
তারপর আমার পছন্দ মত একটা ব্লাক পাঞ্জাবি কিনলাম । সাথে জিন্স । তারপর তিথী কে বললাম
আমিঃ চলেন বাসায় যাই ।
তিথীঃ শপিং করার পর খাওয়া দাওয়া না করে আমি কোন দিন বাসায় যাইনা । তাই খাওয়া দাওয়া করে বাসায় যাবো ।
কি আর করার । তিথী কে নিয়ে একটা রেস্টুরেন্টে গেলাম ।
তারপর খাওয়া দাওয়া করলাম । সাথে টুকটাক কথাও বললাম । তারপর তিথী জোর করে বিল দিলো ।
বাহিরে এসে রিক্সায় উঠলাম । একটা রিক্সাই বসার কারনে দুজন দুজনার সাথে লেপ্টে আছি ।
আমি যতই তিথীর থেকে একটু দূরে বসতে চাচ্ছি তিথী ততই আমার সাথে গা লেগে বসতেছে । রিক্সা তার আপন গতিতে চলছে । একটু পর তিথী আমাকে বললো,,,,,,,
তিথীঃ এতো দূরে বসে আছো কেন । আর রিক্সার এতো সাইডে চলে গেছো কেন । পড়ে যাবা তো । একটু কাছে এসে বসো ।
আমিঃ না । আমি এখানেই ঠিক আছি ।
তিথী আরো মায়াবী মুখ নিয়ে মায়া করে বললো,,,,,,
তিথীঃ প্লিজ এদিকে এসে বসো ।
ওর মায়ার কথা ফেলতে পারলাম না । ওর দিকে একটু এগিয়েই বসলাম । তিথীর খোলা শাম্পু করা রেশমি চুল বাতাস বার বার আমার মুখে আচড়ে পড়ছে ।
তিথী সেগুলো বার বার আমার মুখ থেকে সরাচ্ছে । মনের ভিতরে কেন জানি এক ভালো লাগা কাজ করছে ।
কিছুক্ষণ পর তিথী বললো,,,,,,
তিথীঃ এই মামা রিক্সা থামান ।
আমি অবাক হয়ে বললাম,,,,,,
আমিঃ কি হলো রিক্সা থামালেন কেন ?
তিথীঃ ওই যে আইসক্রিম । আমি আইসক্রিম খাবো । আমাকে আইসক্রিম এনে দাও না প্লিজ ।
আমিঃ বাচ্চাদের মতো করছেন কেন ? আইসক্রিম বাচ্চারা খায় ।
তিথীঃ না । আমিও খাবো । প্লিজ এনে দাও না ।
তিথীর কাণ্ডকারখানা দেখে রিকশাওয়ালা মামা হাসলো । আর আমাকে বললো,,,,,
রিকশাওয়ালাঃ যান না মামা । মামি যখন এতো করে বলছে একটা আইসক্রিম এনে দেন ।
আমিঃ এই শুনেন..............
তিথী আমাকে পুরো কথাটা বলতে না দিয়ে বললো,,,,,,,
তিথীঃ থাক না ।
দেখলাম তিথী রিকশাওয়ালা মামার কথা শুনে লজ্জায় লাল হয়ে আছে । তারপর আমি আর কোনো কথা না বলে তিথীর জন্য আইসক্রিম নিয়ে আসলাম ।
রিক্সায় তিথী বাচ্চাদের মতো আইসক্রিম খাচ্ছে । আমি তো দেখে অবাক । এতো বড় মেয়ে তবুও আইসক্রিম খাওয়ার জন্য বাচ্চাদের মতো আচরন করে ।
কিছুক্ষণ পর রিক্সা বাসার সামনে এসে দাঁড়ালো । এখানে ও তিথী জোর করে ভাড়া দিলো । আমি চলে আসতেছি । তখন রিকশাওয়ালা মামা তিথীকে বললো,,,,,,
রিকশাওয়ালাঃ মামি,,মামার সঙ্গে কিন্তু আপনাকে অনেক মানাইছে ।
তিথী লজ্জা পেয়ে বললো,,,,,
তিথীঃ ধন্যবাদ মামা । আমাদের জন্য দোয়া কইরেন । এই নেন আরো একশো টাকা বকশিস ।
তারপর তিথীও আপুর রুমে চলে আসলো । এভাবে বিয়ের টুকিটাকি কাজ করতে করতে আরো আটদিন চলে গেল ।
আট দিন পর,,,,
আজ জান্নাত আপুর গায়ে হলুদ । আমার বন্ধুরা সহ সবাই আসছে । তিথী হলুদ শাড়ী পড়েছে । আমিও হলুদ পাঞ্জাবী পড়েছে । তিথীকে হলুদ শাড়ীতে অনেক সুন্দর লাগছে ।
আমি আপুকে হলুদ মাখানোর সময় আপু আমাকে ফিসফিসিয়ে বললো,,,,,,,,,,,
আপুঃ তোর সাথে আমার অনেক জরুরি কথা আছে ।
আমিঃ কি ব্যাপারে ?
আপুঃ তিথীর ব্যাপারে ।
আমিঃ হুমম কি বলবে বলো ।
আপুঃ তিথী আসলে কে জানিস ?
আমিঃ হুমম জানি তো ।
আপু একটু অবাক হয়ে বললো,,,,,,,
আপুঃ কি জানিস । আর তিথী কে বলতো ।
আমিঃ তিথী হলো আয়শা ।
আপু এবার চোখ বড় বড় আমার দিকে তাকিয়ে জোরে বললো,,,,,,,,,
আপুঃ হোয়াটটটটট,, তুই কেমনে জানলি ?
আপুর কথা শুনে সবাই আপুর দিকে তাকিয়ে আছে । তিথীও তাকিয়ে আছে ।
তারপর আমি বললাম,,,,,,,,
আমিঃ আরে আস্তে বলো ।
তারপর সবাইকে উদ্দেশ্য করে আপু বললো,,,,,,
আপুঃ সরি অল গাইস । আমাদের দুজনের কথা ।
তারপর সবাই যে যার কাজে মনোযোগ দিলো ।
আপুঃ এখন বল তুই কেমনে জানলি তিথী ই আয়েশা ।
তারপর আমি বললাম,,,,,,,,
আমিঃ,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
""
""
""
চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,
পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষা করুন । ধন্যবাদ ।
Tawheed Riday
মাশা-আল্লাহ
রাকিব হোসেন
শুকরিয়া