ছোট্ট লেখকের প্রেমে

আপনি নাকি আমাকে খুঁজতে বগুড়া আসবেন ? কোথায় এলেন না তো ?

তারপর আয়শা বললো,,,,,,,,,,,

আয়শাঃ হুমম যাবো তো ।

আমিঃ কবে ?

আয়শাঃ কেন তোমার কি আমাকে ছাড়া ভালো লাগছে না ।

আমিঃ ঠিক আছে আপনার আসতে হবে না ।

আয়শাঃ আরে এমন করো কেন । পিচ্চিটার দেখি খালি কথায় কথায় রাগ । সময় হলেই আমাকে দেখতে পাবা,,,হলো ।

আমিঃ হুমম ।

আয়শাঃ আচ্ছা এখন লক্ষ্মী ছেলের মতো ঘুমিয়ে পড়ো ।

আমিঃ আচ্ছা ঠিক আছে । আপনিও । আল্লাহ হাফেজ ।

আয়শাঃ আল্লাহ হাফেজ ।

বলেই আমরা দুজনেই অফলাইন হয়ে গেলাম । তখন ই আপু বললো,,,,,,

আপুঃ ওরে বাবা তলে তলে এতো দূর । দেখলে মনে হয় ভাঁজা মাছটা উল্টে খেতে জানে না । কিন্তু তলে তলে পুরো পাতিল সহ খেয়ে নিচ্ছে ।

বলেই দুজনেই হাসতে লাগলো ।

আপুঃ আচ্ছা ঘুমিয়ে পড়ো । কাল আবার কলেজে যেতে হবে ।

তিথীঃ হুমম গুডড নাইট ।

আপুঃ গুডড নাইট ।

পরের দিন সকাল বেলা,,,,,,

আপুঃ এই রাকিব ভাইয়া,,

আমিঃ উমমম

আপুঃ তাড়াতাড়ি উঠ কলেজে যাবি না । আর আমাকে কলেজে কে দিয়ে আসবে শুনি । (রাগ করে) ।

আমিঃ তোমার বান্ধবীর সাথে যাও না প্লিজ । এখন তো আর তুমি একা নও । আমি একটু ঘুমিয়ে নেই ।

আপুঃ না । আর ঘুমানো না । তুই ও আজ কলেজে যাবি । চল আমার সাথে ।

কি আর করার আপুর জোরাজুরিতে উঠে ফ্রেশ হয়ে ওদের সাথে কলেজে এলাম । ওরা দুজন ওদের ভার্সিটিতে আর আমি আমার কলেজে ।

কলেজে গিয়ে আমি আমার বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে লাগলাম । হঠাৎ দেখি আপু ফোন করেছে । আবার কি হলো এখনি তো দিয়ে এলাম । ফোন রিসিভ করে,,,,,,,

আমিঃ হ্যালো ।

আপুঃ হ্যালো । ভাইয়া কই তুই ।

আমিঃ আমি তো কলেজে । কেন কি হইছে ?

আপুঃ আমাদের ভার্সিটিতে আজকে অনেক ঝগড়া হচ্ছে রাজনৈতিক দুই গ্রুপের মধ্যে চরম তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে । এখানে অনেক ভয় লাগছে । তাই আমি আর তিথী কলেজ থেকে বাসায় ফিরে আসতে চাইতেছি ।

আমিঃ আচ্ছা তোমরা অপেক্ষা করো আমি আসছি । তোমরা বাহিরে বের হবা না । আমি বললে বারান্দায় আসবে ।

আপুঃ ওকে । তাড়াতাড়ি আয় ।

বলেই ফোনটা রেখে দিয়ে বন্ধুদের সব জানিয়ে ওদের থেকে বিদায় নিয়ে বাইক নিয়ে সোজা আপুর ভার্সিটিতে এসে দাঁড়ালাম ।

গিয়ে দেখি বেশ বড় ধরনের ঝগড়া হচ্ছে, কোন রকমে ভিতরে গিয়ে পিছনের গেইট দিয়ে বের হয়ে আসলাম ।

আপুঃ তুই আসতে এত দেরি করলি কেন ।

আমিঃ কই দেরি করলাম মাত্র পনেরো মিনিট লাগছে ।

আপুঃ হয়েছে হয়েছে এত কথা বলার দরকার নাই । এখন চল তাড়াতাড়ি ।

তারপর আপু বাইকে উঠলো সাথে তিথীও উঠলো ।

আপুঃ এবার যাবি নাকি এখানেই দাড়িয়ে থাকবি ।

আমিঃ যাচ্ছি বাবা ।

আপুঃ হুমম চল ।

তিথীঃ আচ্ছা জান্নাত তুমি তোমার ভাইয়ের সাথে এমন ভাবে কথা বলছো কেন ? তোমার ফোন পাওয়ার সাথে সাথে চলে আসছে আর তুমি ওর সাথে ঝগড়া করছো ।

আপুঃ থাক ওর পক্ষ নিয়ে এতো কথা বলতে হবে না ।

কেন যে পক্ষ নিতাছো বুঝি আমি (তিথীকে বির বির করে) ।

তিথীঃ চুপ করো ও শুনে ফেলবে (আপুকে বির বির করে)

আমিঃ তোমরা কি বির বির করছো ।

আপুঃ কিছু না তুই ঠিক মতো বাইক চালা ।

আমিঃ ওকে ।

তারপর বাসায় চলে আসলাম । বাসায় এসেই আপু আমাকে বললো,,,,,,,

আপুঃ শোন ভাইয়া ।

আমিঃ কি ?

আপুঃ তোর জন্য কিছু টাকা জমিয়ে রাখছি । আমার কাছ থেকে নিয়ে নিস ।

আমিঃ কোনো মতলব আছে নাকি ।

আপুঃ থাক নিতে হবে না ।

আমিঃ আরে মজা করছিলাম তো । এমন করো কেন ? তুমি ভিতরে যাও আমি এখনি টাকা নিতে আসছি ।

আপু আর তিথী দুজনেই হাসতে হাসতে উপরে গেল । একটু পর আমিও আমার রুমে না গিয়ে সোজা আপুর রুমে গেলাম ।

আমি ভিতরে গিয়ে বসে আছি । এমন সময় তিথী বাথরুম থেকে বের হয়ে আসলো ।

আমাকে দেখেই জোরে একটা চিৎকার দিলো ।

তিথীঃ আআআআআআআআ,,,,,,,,,,,,,,
""
""
""
চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,

পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষা করুন । ধন্যবাদ ।