ছোট্ট লেখকের প্রেমে

অডিও মোড

00:00 00:00
গতি:
ভলিউম:
তিথীঃ রাকিব,,

আমিঃ হুমম বলেন ? কিছু লাগবে ?

তিথীঃ জান্নাতের রুম টা সাজাতে হবে । ফুল গুলো কোথায় রাখছো ।

আমিঃ ওই যে আমার বুক সেলফের উপরে রাখছি । নিয়ে নেন ।

তিথী ওখানে গিয়ে অনেক চেষ্টা করেও ফুলের নাগাল পেলো না ।

তারপর তিথী আমাকে বললো,,,,,,,

তিথীঃ দেখছো না পারছি না । একটু হেল্প করো না প্লিজ ।

আমিঃ আমি কেমনে হেল্প করবো ?

তিথী একটু ভেবে বললো,,,,,,,

তিথীঃ আমায় কোলে তুলে নাও (বলেই হাসতে লাগলো) ।

আমি অবাক হয়ে চোখ বড় বড় করে বললাম,,,,,,,,,

আমিঃ আপনি কি পা*গ*ল হইছেন ।

তিথীঃ সরি ।

তারপর আমি তিথীকে একটা টুল এগিয়ে দিয়ে বললাম,,,,,,

আমিঃ এটার উপরে উঠে ফুল গুলো নিয়ে এখান থেকে বিদায় হোন ।

তিথীঃ আরে এভাবে বলছো কেন ?

আমিঃ আমি এভাবেই বলি ।

তারপর তিথী টুলের উপর উঠে হাত বাড়িয়ে ফুল গুলো এগিয়ে নিতে গেল । আমি ওর দিকেই তাকিয়ে আছি ।

হঠাৎ খেয়াল করলাম হাত উপরে তোলায় তিথীর পেটের শাড়ী সরে গেছে আর সুন্দর নাভি টা দেখা যাচ্ছে । 🙈

ওটা দেখলে যেকোনো ছেলে তিথীর প্রতি আসক্ত হয়ে পড়বে । আমিও ওইটা দেখে নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারছিলাম না ।

পরক্ষণেই ভাবলাম নাহহ আমি আয়েশাকে ঠকাতে পারবো না । এজন্য সাথেই সাথেই চোখটা সরিয়ে নিলাম ।

তবুও নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারছিলাম না । তাই রুম থেকে উঠে বাহিরে যেতে লাগলাম । হঠাৎ টুল থেকে পা পিছলে তিথী পড়ে যাচ্ছে ।

আমি সাথে সাথেই তাকে ধরে ফেললাম । কিন্তু পুরোটা না ধরতে পারায় তিথীর কোমড় টা জড়িয়ে ধরে আমি আগে পড়লাম আর আমার উপর তিথীও পড়লো ।

পড়ার সাথে সাথে তিথীর ঠোঁট আমার ঠোটের সাথে স্পর্শ করলো । সাথে সাথে শরীরে যেন ক্যারেন্ট বয়ে গেল ।

আর অন্য রকম এক অদ্ভুত ফিলিংস হচ্ছে । ওই অবস্থায় তিথী আমার দিকে তাকিয়ে আছে । তার শরীর আমার শরীরের সাথে পুরো লেপ্টে আছে ।

এভাবে কিছুক্ষণ থাকার পর আমি তিথীকে বললাম,,,,,

আমিঃ আমাকে দেখা হলে বলে দিবেন । আমি এভাবে বেশিক্ষণ থাকতে পারবো না ।

তিথী আমার কথা শুনে তাড়াতাড়ি করে আমার উপর থেকে উঠে বললো,,,,,,,

তিথীঃ সরি । ওই আসলে...........

আমি পুরো কথাটা বলতে না দিয়ে বললাম,,,,,,,,

আমিঃ থাক আর বলতে হবে না । কিন্তু এই ব্যাপার টা যেন আর কেউ না জানে ।

তিথীঃ হুমম ঠিক আছে ।

তারপর আমি আমার রুম থেকে চলে গেলাম । আর তিথী ফুল গুলো নিয়ে আপুর রুমটা সুন্দর করে সাজিয়ে দিল ।

রাতে আপুকে দেখতে পাত্র পক্ষ এলো । তারা আপুকে দেখে অনেক পছন্দ করেছে । আংটি ও পড়ে রেখে গেছে । বিয়ের দিন তারিখ ও ঠিক করে গেছে । দশ দিন পর আপুর বিয়ে ।

আপু আর তিথী আপুর রুমে,,,,,,

তিথীঃ কনগ্রাচুলেশন ।

আপুঃ ধন্যবাদ ভাবি ।

তিথী অবাক হয়ে বললো,,,,,,

তিথীঃ ভাবি,,,

আপুঃ কেন ভাবি হবে না,,?

তিথীঃ আমি তো হতেই চাই ।

আপুঃ তাহলে বলছো না কেন ভাইয়াকে তুমিই আয়শা ।

তিথীঃ ওর সামনে গেলেই কেমন যেন হয়ে যাই । তাই আর সাহস করে বলতে পারি না ।

আপুঃ হুমম এরকমই করো ।

তারপর আমি রাতে আয়েশার সাথে টুকটাক কথা বলতে লাগলাম,,,,,,,,

আয়শাঃ হাই আমার কিউট পিচ্চি টা ।

আমিঃ আপনই শুধু অনলাইনেই প্রেম দেখান । জানি কখনো আপনি বাস্তবে আসবেন না ।

আয়শাঃ খুব তাড়াতাড়িই তোমার সামনে আসবো কথা দিলাম ।

কিছুক্ষণ পর,,,

আয়শাঃ কি হলো পিচ্চি টার মন খারাপ নাকি ।

আমিঃ আমার মন খারাপ হলে আপনার কি ?

আয়শাঃ আচ্ছা কি চাই তোমার বলো ?

আমিঃ আপনি আমার সামনে না আসলে আমি আর কথা বলবো না আপনার সাথে ।

আয়শাঃ এইটা কেমন কথা ।

আমিঃ এইটাই কথা । রাজি ?

আয়শাঃ হুমম । তোমার জন্য সব করতে রাজি ।

আমিঃ তাহলে কবে দেখা করবেন ?

আয়শাঃ আমি তোমাকে জানাবো ।

আমিঃ হুমম ওকে ।

এভাবে আয়শার সাথে আরো কিছুক্ষণ মেসেজ করে ঘুমিয়ে পড়লাম । সকালে বুকে ভারি কিছুর অনুভব করাতে ঘুমটা ভেঙে গেল ।

চোখ খুলে দেখি,,,,,,,,,,,,,,,,,
""
""
""
চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,,,

আজকে জ্বর নিয়ে আপনাদের জন্য এতটুকু লিখতে পারছি ।
283 Views
14 Likes
2 Comments
5.0 Rating
Rate this: