My dear brother🥰

কণিকা,তাড়াতাড়ি উঠ।নাহলে মা তোকে আস্ত রাখবে না।কুরুক্ষেত্র বেঁধে যাবে কিন্তু!😮‍💨(আয়ান)

ওফ্,ভাইয়া তুই আমাকে শান্তিতে ঘুমাতে দিবি না?🥱ঘুমের ঘোরে প্রশ্ন করলো কণিকা।

তাড়াতাড়ি উঠ।নাহলে আরাম তোর জন্য হারাম হয়ে যাবে।🙄(আয়ান)

ওফ্,চুপ কর ভাইয়া।🥱(কণিকা)
বোন আমার,উঠে পড়ো।মা এলো বলে।😒(আয়ান)

ভাইয়া,যাতো এখান থেকে।😤(কণিকা)

আয়ান কিছু বলতে যাচ্ছিলো,কিন্তু,তার আগেই একটা রাগী কন্ঠ শোনা গেলো!-
ওলী,তুই এখনও উঠিস নি!আজ না তোর কলেজে ফার্স্ট ডে।আর,তুই পড়ে পড়ে ঘুমাচ্ছিস।😡
(কণিকার মা,মিসেস আয়শা চৌধুরী।ওনি কণিকাকে ওলী নামে ডাকেন)

মা,উঠছি।পাঁচ মিনিট।🥱(কণিকা)

আর এক মিনিটও না।9:30 বাজে।😡(আয়শা চৌধুরী)

কী!!!!তুমি আমাকে আগে কেনো ডাকোনি? এখন তো দেরি হয়ে যাবে।😩(কণিকা)

কী?এক ঘন্টা ধরূ ডাকসি ,আর তুই বলছিস আগে কেন ডাকি নি!😤(আয়শা চৌধুরী)

আচ্ছা আচ্ছা,আর রাগ করো না,বলেই ফ্রেশ হওয়ার জন্য বাথরুমের দিকে প্রাণপণে ছুট লাগালো কণিকা।
কণিকার কান্ড দেখে মুচকি হাসি ফুটলো আয়ানের ঠোঁটে।ছোট বোনের বাচ্চামো দেখতে তার ভালোই লাগে।
কোন রকমে ফ্রেশ হয়ে নিচে নামলো কণিকা।
সোফায় বসে খবরের কাগজ পড়েছেন কণিকার বাবা কণক চৌধুরী।তার পাশে বসে গল্পের বই পড়ছে আয়ান।
মামণি,এই দুধটুকু খেয়ে নাও।পাশ থেকে একটা কন্ঠ শুনতে পেলো কণিকা।পাশে তাকিয়ে দেখে,একটা দুধের গ্লাস নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন এক মধ্য বয়স্ক মহিলা।

রাহেলা আন্টি,দাও।😊(কণিকা)

(কণিকাদের বাড়ির কাজের লোক)
সোফায় বসে এক ঢকে পুরো গ্লাস শেষ করে ফেলল কণিকা।
সোফা থেকে উঠতে উঠতে কণিকা বলল,ভাইয়া, আমাকে ড্রপ করে দিয়ে আয়।

আমি কেন?😒(আয়ান)

প্লিজ ভাইয়া।😔(কণিকা)

ওকে।🙄(আয়ান)

Thanks.😊(কণিকা)

ওলী,খেয়ে যাবি না?তাড়াতাড়ি খেয়ে যা।(আয়শা চৌধুরী)

না মা,পরে খেয়ে নিবোন।ভাইয়া,চল।(কণিকা)
আয়ান উঠে গাড়ি বের করতে গেলো।কণিকাও যাওয়ার জন্য ঘুরে দাঁড়ালো।

কণিকা দাঁড়াও।😊(কণক চৌধুরী)
কণিকা তার বাবার দিকে ঘুরে তাকালো,তার বাবা ওর দিকে একটা দুইশো টাকার নোট বাড়িয়ে ধরেছে।
আমার কাছে আছে, তুমি রেখে দাও।😊(কণিকা)

নাও বলছি।😊(কণক চৌধুরী)
কণিকা আর কথা বাড়ালো না,নোটটা নিয়ে নিলো।এখন তার কথা বলার সময় নেই।
এরই মধ্যে শোনা গেলো গাড়ির হর্নের শব্দ।আয়ান গাড়ি নিয়ে চলে এসেছে।
মা-বাবা গেলাম,আল্লাহ হাফেজ।☺️(কণিকা)

আল্লাহ হাফেজ।☺️(কণক চৌধুরী)

আল্লাহ হাফেজ,সাবধানে যাস।আর খেয়ে নিস। তোকে নিয়ে আর পারিনা।😮‍💨(আয়শা চৌধুরী)
হুম বলেই বেরিয়ে গেলো কণিকা।চড়ে বসলো গাড়িতে।

(ওরা কলেজে যেতে থাক,আর আপনারা গল্পের মূল চরিত্রগুলোর পরিচিত হয়ে নিন।)

ফারজানা ইয়াসমিন কণিকা/কণিকা চৌধুরী:
বয়স ১৭। বাবা-মায়ের দ্বিতীয় সন্তান ও একমাত্র মেয়ে।বাবার আদরের রাজকন্যা।খুব মেধাবী ও দুষ্টুও।ডাক্তার হতে চায়।


আবদুল্লাহ আয়ান চৌধুরী/আয়ান চৌধুরী:
বয়স ২৩।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে'রসায়ন'নিয়ে পড়াশোনা করছে।বাবা-মায়ের প্রথম সন্তান ও একমাত্র ছেলে।খুব মেধাবী।

মোঃ কণক চৌধুরী/কণক চৌধুরী:কণিকা
আর আয়ানের বাবা।বয়স ৫১।পেশায় বিজনেসম্যান। একটা টেক্সটাইল কোম্পানি আছে।

আয়শা আলিয়া চৌধুরী/আয়শা চৌধুরী:
কণিকা আর আয়ানের মা।বয়স ৪৮।গৃহিণী।

ফাতেমাতুল জোহরা/চিনি:বয়স ১৮।কণিকার বেস্ট ফ্রেন্ড।একই কলেজে ভর্তি হয়েছে তারা। ডাক্তার হবার ইচ্ছা।