ক্ষেত ছেলেটি যখন হ্যাকার

অডিও মোড

00:00 00:00
গতি:
ভলিউম:


♡●পর্ব ১●♡

আরিফ এই আরিফ উঠ কয়টা বাজে তোর খেয়াল আছে?

আমিঃ উফফফ আম্মু,,,,আরেকটু ঘুমায়তে দাও না এইরকম শুরু করছ কেন?

আম্মুঃ হ্যাঁ হ্যাঁ,,,, ঘুমা ঘুমা সারাদিন পরে পরে ঘুমা এই ছাড়া আর কাজ কি তোর??কলেজে গিয়ে আর কি করবি?? তাই না

আমিঃ কিইইই,,,,,,,আম্মু কয়টা বাজে?

আম্মুঃ নবাবজাদা এখন ৮.৪০ বাজে কেন?? কোথাও কি যাবেন আপনি??

আমিঃ আম্মু আমায় আরো আগে ডাক দাও নাই কেন বল তো ইসসস কত লেট হয়ে গেছে আমার?? আচ্ছা আমি ফ্রেশ হয়ে আসতেছি তুমি নাস্তা রেডি করো।

আম্মুঃ তোরে আমি আরো আগে থেকে ডাকতেছি কিন্তু তোর যা ঘুম দুনিয়া ধ্বংস হয়েছে গেলেও শুনবি না।

আমিঃ আচ্ছা তুমি নাস্তা রেডি করো আমি ৫ মিনিটে ফ্রেশ হয়ে আসতেছি।

আম্মুঃ ওকে আয় তুই।

আমিঃ ওকে। ফ্রেশ হতে হতে আপনাদের পরিচয় দিয়ে দেয় ( আমি আরিফ। এইবছর অনার্স ১ম বর্ষের ছাত্র। আর এতক্ষন যার সাথে কথা বলতেছিলাম তিনি হচ্ছে আমার আম্মু। বাকি পরিচয় টা পরে জানতে পারবেন)। আম্মু নাস্তা দাও।

আম্মুঃ এই নে খেয়ে নে আর তাড়াতাড়ি কলেজে যা। দেরি হয়ে যাচ্ছে।

আমিঃ নাস্তা করার মাঝেই দেখি কে আমায় মনে করতেছে। আরে মিয়া মনে করতেছে মানে কল দিতেছে। ফোনের স্ক্রিনে তাকিয়ে দেখি আমার বেস্ট ফ্রেন্ড আকিব কল করছে। হ্যালো কিরে কি বলবি।

আকিবঃ এই শালা তুই কইরে? কতক্ষন ধরে দাড়িয়ে আছি। তোর তো দেখি কোনো পাত্তা ইই নাই।

আমিঃ দোস্ত আর মাত্র ৫ মিনিট আমি নাস্তা করেই আসতেছি। আর কে কে আছে রে?

আকিবঃ শালা খাদক। শুধু সারাদিন খাই আর খাই। আমার সাথে রাকিব আর সাকিব আছে তুই আয় তাড়াতাড়ি।

আমিঃ ওকে দোস্ত। নাস্তা করা শেষে রাস্তার মোড়ের সামনে যেতেই দেখতে পেলাম ২ টা হারামি দাড়াই আছে। কি রে দোস্ত কি খবর

সাকিবঃ শালা খবর লাগাইস না টাইম নাই তাড়াতাড়ি চল।খাইতে খাইতে সব টাইম শেষ করে দিছস।

আমিঃ ওকে চল। ( তারপর কলেজে যেতে যেতে একটু ফেসবুকেতে ডুকতে মাথা পুরা হট।)

আকিবঃ কিরে শালা কি হইছে রে চেহারা এইরকম করে রাখছোস কেন?

আমিঃ আরে আর কইস না কে যেন আমার আইডি হ্যাক করে ফেলছে।

সাকিবঃ কে করল এই কাজ। চোরের ওপর বাটপারি।

আমিঃ দেখ মাথা হট আছে ফাইজলামি করবি না একদম। ধারা এই আইডি কিভাবে ব্যাক আনতে হয় তা আমার জানা আছে। তারপর মোবাইল টিপতে টিপতে কলেজের সামনে আসছি আর,,,,,,, ওরে আম্মারেএএএএএ আমি শেষ হয়ে গেলাম রেএএএএএ,,,,,,,,,,,,,,,

ওরে আম্মারেএএএএএআমি শেষ হয়ে গেলাম রেএএএএএ,,,,,,,,,,,,,,,(আসলে হইল কি আমি যখন মোবাইল টিপতে টিপতে গেইট দিয়েছে ঢুকার সময় কিছু একটার সাথে ধাক্কা খেয়ে আমি মাটিতে পড়ে যাই) যখন উঠে দাড়াই দেখি আমি আর কারো সাথে না একটা মেয়ের সাথে ধাক্কা লাগে আর মেয়েটাও মাটিতে পড়ে গেছে।

আমিঃ আপনি ঠিক আছেন তো। (সাহায্যের জন্য নিজের হাত বাড়িয়ে দিতে দিতে এই কথা বললাম)

মেয়েটিঃ স্টুপিড,,,,,দেখে চলতে পারিস না। চোখ কি সাথে থাকে না তোর। সুন্দরী মেয়ে দেখলেই ধাক্কা মারতে ইচ্ছা করে না লুইচ্চা।

আমিঃ (মাথা তো পুরা হট হয়ে গেল এইসব কথা শুনে) দেখুন আমি নিজের ইচ্ছায় আপনায় ধাক্কা মারি না। আর আপনার মত মেয়েদের ধাক্কা মারার কোনো ইচ্ছাই আমার নাই।

মেয়েটিঃ কিইইইই,,,,,,,আমার মুখের ওপর কথা ঠাসসসস,,,,ঠাসসসস,,,,,,(কি ভাবছেন তো এইগুলা আমাকে দিয়েছে। আপনারা যা ভাবছেন তা একেবারে সঠিক সময়ে এই থাপ্পর গুলা আমার গালের ওপরি পড়েছে) নেক্সট বার আমার সাথে তর্ক করার আগে এই থাপ্পর গুলা মনে রাখবি। স্টুপিড

আমিঃ গালে হাত দিয়ে দাড়িয়ে মাথা নিচু করে দাড়িয়ে রইলাম। (চোখ থেকে ২/৩ ফোটা পানি বেড়িয়ে গেল।) এমন সময় আকিব এসে বলল,,,,

আকিবঃ কিরে কি হইছে এভাবে দাড়িয়ে আছিস কেন??

আমিঃ (ঘটে যাওয়া সব ঘটনা বললাম) দোস্ত বিশ্বাস কর আমি ইচ্ছা করে ওরে ধাক্কা দেই নাই

আকিবঃ আমি জানি তুই এইরকম করবি না। আমার বিশ্বাস আছে তোর ওপর। বাদ দে এইসব কথা চল ক্লাসে যাই।

যখন গেইট দিয়ে ডুকব তখন দেখি কিছু মেয়ে একজায়গায় বসে আড্ডা দিতেছে। আর সেখানে ওই মেয়েটাও আছে মানে যে আমায় থাপ্পর দিছিল। আমি ওইদিকে মন না দিয়ে সোজা হাটতে লাগলাম

রিমিঃ এই মাহি তুই ওই ছেলেটারে থাপ্পর মারছিলি কেন?

মাহিঃ আর বলিস না ছোটলোক টা গেইটের সামনে আমায় ধাক্কা মেরেছিল। তাই থাপ্পর মারছি। এইসব ছোটলোকের জন্য বাইরে বের হওয়া ও যাই না। আবার বলে কিনা ইচ্ছা করে থাক্কা দেই নাই।

রিমিঃ দেখ তুই কাওকে না জেনে শুনে কাউকে মারতে পারিস না। আর ওই ছেলে টা সত্যি তোরে ইচ্ছা করে ধাক্কা দেই নাই। আমি দেখছি ও ফোন চালাইতে চালাইতে আসতেছিল হঠাৎ ই ধাক্কা লাগে তোদের।

মাহিঃ এই রিমি তুই কি এখন ওই ছোটলোকটার জন্য আমার কাছে ওকালতি করবি নাকি।

রিমিঃ ওকালতি না তুই যেটা করছিস সেটা ভুল করছিস।

মাহিঃ দেখ মাথা গরম আছে আর গরম করিস না। চল ক্লাসে যাই ক্লাসে যাওয়ার টাইম হয়ে গেছে।

রিমিঃ হুম চল,,,,,,তোর সাথে এই ব্যাপারে কথা বলে কোনো লাভ নাই।

অপরদিকে ক্লাসে শেষ বেঞ্চে আমি আর আকিব বসে আছি। ক্লাসের সবাই আমার দিকে এমন ভাবে তাকিয়ে আছে যেন আমি কোনো ভিন গ্রহের প্রানী৷ আসলে ওদের এইরকম ভাবে তাকানোর কারন হল আমার বেশ ভূষা। তাতে আমার কোনো কিছুই যাই আসে না। ক্লাসে বসে আছি আর হঠাৎ সামনের দিকে তাকাতেই আমি পুরা শকড,,,,,,,

চলবে,,,,,,,,,,,??

ভুল-ত্রুটি ক্ষমার চোখে দেখবেন

ধন্যবাদ
1.28K Views
18 Likes
2 Comments
4.6 Rating
Rate this: