ক্ষেত ছেলেটি যখন হ্যাকার (পর্ব ১০)

অডিও মোড

00:00 00:00
গতি:
ভলিউম:
পর্ব! ১০ ✖‿✖•শেষ পর্ব

তারপর হঠাৎ ইই আমার ফোনে একটি কল আসে আর আমার দুনিয়া দারী মনে হই উল্টে গেল কারণ,,,,,কল টি আর কেউ না কলটি করল রিমির বড় ভাই।

---- হেলো আরিফ তুমি কোথায়?

---- কে আপনি? আর আমার নাম জানলেন কিভাবে?

---- আরিফ আমি রিমির বড় ভাই। রিমিকে কে যেন কিডন্যাপ করে নিয়ে গেছে? তুমি প্লিজ আমার বোন টাকে বাচাও। (এই বলতে বলতে কান্না শুরু করে দিল)

---- ভাইয়া আপনি এখন কোথায়?

---- আমি বাসায়। আমার সামনে থেকে ইই ওরা রিমিকে কিডন্যাপ করে নিয়ে গেছে। আর আমি কিছুই করতে পারি নাই। (কান্না করতে করতে বলতে লাগল এই কথা)

---- ভাইয়া আপনি কোনো টেনশন করিয়েন না। এই বলে আমি গাড়ি নিয়ে এক টানে চলে গেলাম রিমিদের বাড়িতে।

বাড়িতে ডুকতেই দেখি পুরো বাড়ির সব জিনিস পত্র লন্ড ভন্ড হয়ে আছে। বাড়ির সব জিনিসপত্র ভাঙ্গা। পুরো বাড়ি ঘুরতে ঘুরতে দেখলাম একটা রুমে রিমির ভাই আর ভাবি বসে বসে কান্না করছে। আমি এক দৌড়ে চলে গেলাম ওদের কাছে। কাছে গিয়ে দেখি ওদের শরীর বিভিন্ন জায়গা থেকে রক্ত বের হচ্ছে।

---- ভাইয়া আপনাদের এই অবস্থা হল কিভাবে? এই কথা বলতে রিমির ভাই আমাকে ধরে কান্না শুরু করল,,,,,

---- আরিফ ওরা আমার বোন টাকে নিয়ে গেছে। প্লিজ তুমি আমার বোন টাকে বাচাও। (এই বলে পাগলের মত শুরু করল রিমির ভাই)

---- ভাইয়া আমাকে আগে পুরো ঘটনাটা বলুন শুরু থেকে কি হয়েছিলো

---- রিমি ওর রুমে ল্যাপটপে কি করতেছিল আর আমি টিভি দেখতেছিলাম। হটাৎ কে যেন দরজায় ধাক্কা দেই তাই আমি দরজা খুলতে চলে গেলাম। দরজা খুলার সাথে সাথে ইই কারা যেন ভিতরে ডুকে গেল। তারপর আমি ওদের বাধা দিলে আমাকে একটা রুমে নিয়ে গিয়ে অনেক মারল। তারপর রিমিকে কিডন্যাপ করে নিয়ে গেল ওরা। আমার সামনে থেকে রিমিকে নিয়ে গেল আর আমি কিছুই করতে পারলাম না। (এই বলে কান্না শুরু করল)।

আমার মাথা তো পুরাই ঘুরে গেল। কে করবে রিমি কে কিডন্যাপ? কেন ইই বা করবে রিমিকে কিডন্যাপ। হাজারো প্রশ্ন তখন মাথায় ঘুরতেছিল। আমি দেরি না করে লোকাল পুলিশ কে ঘটনাটা তাড়াতাড়ি ফোন করে জানালাম। পুলিশ প্রায় ২০/৩০ মিনিট পর আসল। তারপর পুরো ঘটনাটা শুনার পর তারাও তাদের কাজ শুরু করে দিল। তারাও রিমিকে বিভিন্ন উপায়ে খুজতে লাগল। আমার খুব টেনশন হচ্ছিল। তাই আমি নিজে ইই রিমিকে খুজতে বেড়িয়ে পড়লাম। কিন্তু কোথায় খুজব কিভাবে খুজব মাথায় কিছু আসতেছিল না।

আমি পাগলের মত শহরের আনাচে কানাচে সব খুজে ফেললাম। খুজতে খুজতে প্রায় শহরের বাইরে চলে আসলাম। যখন রিমিকে কোথাও পেলাম না তখন আমার মনে হতে লাগল আমি মনে হয় রিমিকে হারিয়ে ফেললাম। এইভেবে খুব কান্না আসতেছিল। তখন হঠাৎ দেখলাম একটা আননোন নাম্বার থেকে আমার ফোনে কল আসল। তাই রিসিব করলাম তখন অপর প্রান্ত থেকে বলতে লাগল,,,,,,,

---- আরিফ বলছেন?

---- জিহহহ আমি আরিফ। কিন্তু আপনি কে?

---- রিমি কে কি চাই?

---- (এই কথা টা শুনার সাথে সাথেই আমি চমকে উঠলাম) কিন্তু আপনি কে আর রিমি কে চিনেন ইই বা কিভাবে?

---- যদি রিমিকে জীবিত ফেরত চান তাহলে আমি যা বলব তাই করুন। কারন রিমি এখন আমার কাছে।

---- কিন্তু আপনি কে? আর রিমি যে আপনার কাছে এই কথা আমি কিভাবে বিশ্বাস করব। দেখুন সত্যি করে বলুন আপনি কে

---- ওয়েট মি.আরিফ ওয়েট। দেখুন আপনার ফোনে একটা এম.এম.এস দিয়েছি দেখে নিন।

তখনি দেখলাম ফোনে একটা ভিডিও আসল। আর ভিডিও টা ছিল রিমির। রিমিকে একটা রুমে চেয়ার এর সাথে বেধে রেখেছে।

---- কিহহহ মি.আরিফ এখন বিশ্বাস হল তো আপনার রিমি আমার কাছে।

---- প্লিজ প্লিজ আপনি রিমির কোনো ক্ষতি করবেন না। আপনি যা বলবেন আমি তাই করব। বলুন আপনার কত টাকা লাগবে ১০ কোটি না ২০ কোটি আপনার কি লাগবে

---- আমার যা লাগবে আপনি তা দিবেন তো?

---- হ্যাঁ। আপনি যা বলবেন আমি তাই দিব আপনি শুধু রিমির কোনো ক্ষতি করবেন না প্লিজ।

---- ওকে। আমি আপনাকে একটি এ্যাড্রেস দিচ্ছি আপনি সেই এ্যাড্রেস এ চলে আসুন। আর খবর দার কোনো পুলিশ কে ইই সাথে আনবেন না। কোনো চালাকি করলে ইই রিমিকে সারাজীবন এর মত ভুলে যান।

এই বলে কল কেটে দিল। কল কেটে দেয়ার সাথে সাথে ইই আমার ফোনে একটা মেসেজ আসল। মেসেজ ওপেন করে দেখলাম একটা এ্যাড্রেস আসলো। অবাক করার বিষয় আমি ল্যাপটপে যে লোকেশন ডিটেক্ট করেছিলাম ম্যাসেজেও সেইম লোকেশন। কিন্তু এইটা সম্ভব কিভাবে। মাথায় কিছু আসতেছিল না। আবার আমায় যে কল দিল কন্ঠটি একটি মেয়ের কন্ঠ ছিল। কিছুই বুজতেছিলাম না কি হচ্ছে। তাই রাকিব ভাই কে কল করে কিছু না ভেবে আমি মেয়েটি দেয়া লোকেশনে চলে গেলাম। ল্যাপটপে যেহেতু এই এ্যাড্রেস টি আমি ডিটেক্ট করেছি তাই রাকিব ভাইকে কল করলাম,,,,,,,

---- হেলো ভাই আসসালামু আলাইকুম।

---- ওয়ালাইকুম আসসালাম আরিফ।

---- তারপর ভাইকে সব কিছু খুলে বললাম।

---- আরিফ তুমি একদম চিন্তা কর না আমি কিছুক্ষনের মধ্যেই তোমার দেয়া লোকেশনে পৌছাচ্ছি।

---- ওকে ভাই ।

এই বলে কল কেটে দিয়ে আমিও চলে গেলাম সেই ঠিকানায়। মেয়েটির দেয়া এ্যাড্রেসে চলে গেলাম। পৌছে ইই দেখলাম একটি পুরাতন বাড়ি। মনে হই কেউ তেমন ব্যবহার করে না। কিন্তু আমায় এখানে ডাকল কেন? তখন আবার আমার ফোনে একটা কল আসল,,,,,,,

---- হেলো মি.আরিফ

---- (কন্ঠ শুনে বুজতে আর বাকি রইল না যে এইটা ওই মেয়েটা ইই) আমি তো আপনার দেয়া ঠিকানায় পৌছে গেছি।

---- গুডডড,,,,,,,,এখন আমার কিছু লোক আপনার কাছে আসবে। আপনি ওদের ফলো করতে থাকুন। ( এই বলে কল কেটে দিল।)

তখনি দেখলাম ২ জন লোক আমার দিকে এগিয়ে আসছে আমি বুজলাম এরাই হয়ত হবে তখন ইই ওদের একজন আমার কাছে এসে বলে উঠল,,,,,,,,

---- আপনি কি আরিফ?

---- জিইইই আমি ইই আরিফ। তখন তারা আমার তালাশি নিতে শুরু করল। তালাশি শেষ করে আমায় বলা শুরু করল,,,,,

---- ওকেইইই,,,,,আমাদের ফলো করুন।

এই বলে আমাকে একটি বাড়ি তে নিয়ে আসল। তারপর আমায় একটি রুমে নিয়ে গেল

রুমে গিয়ে দেখলাম রিমিকে চেয়ার এর সাথে বেধে রেখেছে। রিমির হাত মুখ চোখ সব ইই বাধা। আর রিমির পাশে ইইইই দাড়িয়ে ছিল,,,,,,,,,,


রুমে গিয়ে দেখলাম রিমিকে চেয়ার এর সাথে বেধে রেখেছে। রিমির হাত মুখ চোখ সব ইই বাধা। আর রিমির পাশে ইইইই দাড়িয়ে ছিল ২ জন কালো কাপড় পরা লোক ১ জন নারী আরেকজন পুরুষ । তখন একজন আমার সামনে এসে বলল,,,,,,,,

---- কিহহ মি.আরিফ আমি তো আমার কথা রেখেছি আপনার রিমির কোনো ক্ষতি হয় নি। এবার আমি যা চাইব আপনাকে তাই দিতে হবে।

---- (কন্ঠটি খুব চেনা চেনা লাগছে। আমার কেনো জানি মনে হচ্ছে আমি আগে এই কন্ঠটি কোথাও শুনেছি। কিন্তু ঠিক মনে করতে পারছি না) কি চাই আপনার। কত টাকা লাগবে আপনার। যা লাগবে শুধু বলুন।

---- না আমার কোনো টাকা লাগবে না। আমার লাগবে তোমাকে আরিফ।

এই কথা বলে ইই মেয়েটি তার পরনে কালো রং এর পোশাক টি খুলে ফেলল তারপর আমি যাকে দেখলাম আমি শিহরিত। কারন এ আর অন্য কেউ না এ হচ্ছে মাহি। আমি তো অবাক চোখে তাকিয়ে রইলাম মাহির দিকে। তারপরে লক্ষ্য করলাম মাহির পাশে তার আব্বু দাড়িয়ে আছে। তার মানে এইসব কাজ ওদের। কি চাই ওরা আমার কাছ থেকে। কেনো ওরা রিমি কে কিডন্যাপ করেছে৷ এইসব প্রশ্ন আমার মাথা ঘুরপাক খাচ্ছিল৷ তখন মাহি ওর আব্বু কে বলল,,,,

---- পাপা তুমি একটু বাইরে যাও আরিফ এর সাথে আমার কিছু কথা আছে।

---- ওকে মামনি। আমি গেলাম তবে। কিছু দরকার লাগলে আমায় বলিস। আমি বাইরে আছি।

এইবলে মাহির আব্বু বাইরে চলে গেল। মাহির আব্বু বাইরে যাওয়ার পরে মাহি আমার সামনে এসে বলল,,,,,,

---- কিহহ,,,,, মি.আরিফ চমকে গেলে নাকি আমায় দেখে। বিশ্বাস কর তোমাদের কোনো ক্ষতি আমি করবো না। যদি তুমি আমার কথা না শুন তাহলে তুমি তোমার প্রানের রিমিকে আর দেখতে পাবে না।

---- কি করতে হবে আমাকে?

---- বেশি কিছু না শুধু আমাকে বিয়ে করতে হবে।

---- না কখনো না এই কাজ আমি করতে পারব না। আমি শুধু রিমিকে ভালোবাসি। আর ওকেই।বিয়ে করব। তোমার যত টাকা লাগবে আমি দিব। কিন্তু তোমার এই শর্তে আমি রাজি না।

---- আমি টাকা দিয়ে কি করব আমার লাগবে তোমাকে।

---- না আমি কখনই পারব না।

---- ওকে পারতে হবে না।

এই বলে মাহি রিমির দিকে একটি পিস্তল নিয়ে এগিয়ে যেতে থাকে। আমার খুব ভয় হতে লাগল।

---- মাহি খবরদার রিমির গায়ে যদি একটা আঁচ ও যদি আসে তাহলে তোদের বাপ মেয়ে ২ টা কেই মেরে মাটি চাপা দিয়ে দিব। আমার কলিজা টারে কিছু করিস না। তোর পায়ে পরি। দরকার হইলে আমারে খুন কর। আমার কলিজারে যদি কিছু করিস তাহলে আমি কি করব তোদের কোনো ধারনা ইই নাই।

---- নো মাই হার্ট। তোমারে মারলে আমার যে সব প্ল্যান শেষ হয়ে যাবে। আরিফ ডার্লিং তুমি যদি আমাকে বিয়ে কর তাইলে আমি এই রিমির কি করব তোমারও কোনো ধারনা নাই। আর মাত্র ১ মিনিট টাইম দিব তুমি কি আমায় বিয়ে করবা হ্যাঁ নাকি না।

---- মাহি তোর পায়ে পরি প্লিজ আমার কলিজা টারে কিছু করিস না। আমি বাচতে পারব না ওরে ছাড়া।

---- ওকে বুজে গেছি তোমার উত্তর। এইবার এই রিমিকে এই দুনিয়া ছাড়তে হবে।

এইবলে মাহি রিমির দিকে একটি পিস্তল তাক করে রেখেছে। মাহি যখনি গুলি করতে যাবে তখনি আমি বলি,,,,,,

---- মাহি,,,মাহি তুমি রিমির কিছু কর না। আমি তোমায় বিয়ে করতে রাজি। তবুও রিমির কিছু কর না।

---- সত্যি তো,,,,?? তুমি রাজি ?

---- হ্যাঁ হ্যাঁ আমি রাজি তারপর তুমি রিমিকে ছেড়ে দাও। ওর কিছু কর না।

---- ওকে। আমি রিমিকে ছেড়ে দিব।

তারপর মাহি তার বাবাকে ডাক দিয়ে বলল বিয়ের আয়োজন করতে। কিছুক্ষন পর ২ জন লোক এসে আমাকে একটি রুমে নিয়ে গেল। সেখানে আমাকে অনেক কড়া নজরদারিতে রাখা হল। আমি ভাবছি রাকিব ভাই কেন আসছে না। অনেক দেরি হয়ে যাচ্ছে। ভাবতে ভাবতে হটাৎ খেয়াল করলাম রুমের মধ্যে একটি ল্যাপটপ রাখা। আর সেই ল্যাপটপে স্টিকার দিয়ে লেখা Dark Queen Mahi। লেখাটা দেখে আমি রীতিমতো শকড। তাহলে মাহি ইই কি সেই Dark Queen যাকে আমি খুজছি,,,,,?? না আমাকে শিউর হতে হবে। কিছুক্ষন পর মাহি রুমে প্রবেশ করল,,, হাতে একটি পাঞ্জাবি।

---- আরিফ এই পাঞ্জাবি টা তুমি বিয়ের সময় পরবা। কেমন হইছে?

---- ভালো। মাহি আমি তোমার সাথে একান্তে কিছু কথা বলতে যায়।

এই তোমরা একটু বাইরে যাও। সব গার্ড দের বের করে দিয়ে মাহি বলল,,,,,,

---- কি কথা বলবা ডার্লিং

---- আচ্ছা মাহি আমায় একটা সত্যি কথা বলবা? একদম সত্যি করে বলবা কিন্তু,,,,

---- হ্যাঁ বলব বল কি কথা,,,,,,

---- এই ল্যাপটপ টা কার,,,,,( ইশারা দিয়ে টেবিলে রাখা ল্যাপটপ দেখালাম)

---- ওহহহ আচ্ছা এই ল্যাপটপ টা। এটা আমার ল্যাপটপ কেন? কি হয়ছে?

---- মাহি ল্যাপটপে যে Dark Queen কে লেখা।

---- হুম,,,,আমি ইই লেখছি কেন? কি হইছে?

---- তাহলে তুমি ইই কই সেই Dark Queen।?

---- হা হা হা হা হা,,,,,,,

---- হাসতেছ কেন? মাহি তুমি কিন্তু আমায় বলছিলা,,,,,,সব সত্যি করে বলবা।

---- ওকে ওকে বলতেছি। হ্যাঁ তুমি ঠিক ইই বলেছ আমি ইই Dark Queen ।

---- তুমি আমার সাথে মজা করতেছ তাই না।

---- না আমি তোমার সাথে কোনো মজা করতেছি না। এইদিকে আসো আমার সাথে

পরে আমায় ল্যাপটপ টা ওপেন করে সব প্রমান দেখালো । আর আমিও সিউর হইলাম যে মাহি ইই Dark Queen।

---- তা এবার বিশ্বাস হইছে যে আমি ইই Dark Queen।

---- হুম। কিন্তু তোমায় তো পুলিশ খুজছে

---- হ্যাঁ কিন্তু আমায় ওরা কখনো পাবে না। আমার একটাই আশা শুধু Dark Devil এর সাথে দেখা করা। আচ্ছা বাদ দাও এইসব আর এই নাও রেডি হয়ে নাও ।

আমার হাতে পাঞ্জাবি টা দিয়ে মাহি চলে গেল। আর আমিও ওয়েট করতে শুরু করলাম কখন রাকিব ভাইয়েরা আসবে। আর ওইদিকে মনে হই রিমি সব জেনে গেছে। ধুর আমার আর ভালো লাগতেছে না। তখন আবার ওই ২ জন গার্ড এসে আমায় রেডি করিয়ে বাইরে নিয়ে গেল। বাইরে গিয়ে দেখলাম সব সাজানো কম্পলিট। আর রিমিকে একটা কোনে বসিয়ে রাখা হল,,,,,রিমি একনজরে আমার দিকে তাকিয়ে রয়েছে হয়ত ভাবছে আমি কিভাবে রাজি হতে পারলাম এই বিয়েতে। কিন্তু আমার ও কিছু করার নেই। রিমিকে জীবিত রাখতে আমাকে যে এইটা করা লাগবে ইই। রিমির দিকে তাকিয়ে দেখলাম চোখ থেকে পানি পরছে। ওর ওই পানি গুলো আমার বুকে তীরের মত বাজছে। তারপর আমাকে বসানো হল। আর আমাদের বিয়ে পড়ানো শুরু হল,,,,,,, হঠাৎ ইই পুলিশের গাড়ির সাইরেন বেজে উঠল,,,,,,,

তখন কয়েকজন লোক মাহির আব্বু কেএসে বলল,,,,,বস বস পুলিশ আমাদের চারদিক দিয়ে ঘিরে ফেলেছে,,,,, বাচার কোনো উপায় নেই

---- ইয়েস তাহলে রাকিব ভাই এসে গেছে। একদম টাইম মত এসেছে আরেকটু লেইট হলে আমার সর্বনাশ হয়ে যেত।

তারপর পুলিশের কর্মকর্তা যেই না মাহি আর তার বাবা কে গ্রেফতার করেছে ওমনি রিমি এক দৌড় মেরে আমার কাছে চলে আসে,,,,,,

---- ধন্যবাদ আরিফ,,,,, তোমার জন্য আজ Dark Queen ওরফে মাহি আর তার বাবাকে গ্রেফতার করতে পেরেছি। আর সাথে ওদের চেলা গুলারেও গ্রেফতার করেছি। ( আমায় উদ্দেশ্য করে বলল রাকিব ভাই)।

---- ভাই আপনারা যদি সময়মত না এসে পৌছাতেন তাহলে আমার জীবন টাই শেষ হয়ে যেত।

তখন মাহি বলল,,,,,

----- আরিফ সাহায্য করেছে মানে

---- মিস.মাহি তোমার না একটা আশা ছিল জীবনে Dark Devil কে দেখার,,,,,,,,সো আজ তোমায় বলে ইই দেই,,,,,আমি ইই Dark Devil।

---- মানে আমি যাকে খুজছি তুমি ইই কেই?

---- হ্যাঁ মিস.মাহি আমি ইই সেই ব্যক্তি। এখন জেলে বসে বসে হ্যাকিং কর। গুড বাই।

পুলিশরা মাহি ও তার বাবাকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাচ্ছে আর রিমি আমাকে শক্ত করে ধরে দাড়িয়ে আছে,,,,,নিস্তব্ধতা ভেঙ্গে আমি ইই বলে উঠলাম,,,,,

----- আচ্ছা রিমি যদি আমার আর মাহির বিয়ে হয়ে যেত তুমি কি করতা?

---- কিছু ইই করতাম না বাসায় গিয়ে সুইসাইড করতাম। কারন আমি জীবিত অবস্থায় তোমায় অন্য কারো হয়ে যাওয়া দেখতে পারব না।

----- ইশশশশ,,,,,,আমার বিয়ে টা আর হল না কি কষ্ট ( রিমিকে রাগানোর জন্য বললাম),

---- কিহহহহ,,,,,,তুই অন্য কারো দিকে আর তাকায়স মেরে ফেলব সোজা।

---- ওকে তাকাবোনা চল বাসায় যাব

---- হুম চল

-------------------------- সমাপ্ত ---------------------------
477 Views
13 Likes
3 Comments
3.0 Rating
Rate this: