অরুণা

আমাদের মহানবী (সঃ) ও যখন আইয়ামে
জাহিলিয়াতি যুগে মানুষ কে এক আল্লাহর
পথে, ভালোর পথে আসতে বলছিলো তখন
তাকে কতটা কটাক্ষ, লাঞ্চনা,গঞ্জনা, অপমানিত
হতে হয়েছিলো তা আমরা সব মুসলমান ও
পুরো বিশ্ববাসী জানি। আবার মদিনাবাসী
তাকে খুব easily আপন করে নিয়েছিলো।

যুগের পর যুগ প্রতিটি সভ্যতা ভালো ও মন্দ
মানুষ গড়ে নিয়ে উঠে। মন্দ গুলো সবই হয়
পুরোপুরি বা আংশিক নমরুদ,ফেরাউন,
সয়তান,আদ,সামুদ,কাফের সম্প্রদায়ের মতো।
আর ভালোরা পুরোপুরি মহানবী ( সঃ) এর , পারফেক্ট উম্মত না হতে পারলেও তারা চেষ্টা
করে এই সমাজ,এই দুনিয়া, এই পৃথিবী টাকে
ভালো পথ দেখানোর!!!

আমি আল্লাহ তা'আলার পুরোপুরি ভালো
বান্দা না হতে পারলেও,,বিশ্বনবীর পারফেক্ট
উম্মত না হতে পারলেও চেষ্টা করি যতটুকু ভালো পথে চলা যায়... ভালো মানুষ হওয়া
যায়। আর অন্য দেরকেও ভালো পথে নিয়ে
যাওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা থাকে।

আমি আমার খুব কাছের মানুষ টাকে শুধু
ভালোবাসতে চাই না। তাকে ভালোবেসে
তার ভালো টাকে Appreciate করতে চাই,
আর মন্দ গুলোকে পাশে থাকে,হাতে হাত ধরে
শুধরে দিতে চাই!!

Topic টা ছিলো এরকম.. free mixing কম
হোক,বেশি হোক এটা গুণাহ,এটা অন্যায়।।
কিন্তু একটা সহজ বিষয়কে সমর্থন না করে,
বুঝতে না চেয়ে, ভালো টাকে অগ্রাহ্য করে
সে মন্দ টার প্রতি সমর্থন টেনে আমায় বলে
বসলো, ঐসব মেয়েরা কি ওড়না ছাড়া চলে?
তুমি ওদের পিছনে লাগছো কেন? তুমি ওদের
ছাড়া কথা বলতেই জানো না.......

সে এমন একটা জায়গায় আঘাত করে বসলো
আমায়......পুরোপুরি আমার সত্তা,ভিত নড়িয়ে দিলো কেউ!! আমি আজ বুঝতে পারছি.....
মহানবীর কতটা কষ্ট হয়েছিলো তখন!!
এতোদিন তো শুধু পড়েছি বইয়ে, কিন্তু আজ
মহানবীর খারাপ লাগার,কষ্টের একটু অংশ
মনে হয় আমাকেও ছুইলো!!!

বুকে ওড়না নিলেই কি একজন নারী খুব ভালো?? বুকে ওড়না নিয়ে আবার না নিয়েও
গোটা ১টা জেনারেশন Socially হয়ে গেছে
নর্তকী। তারা জানে না, কিভাবে কথা বলতে হয়, কিভাবে চলতে হয়, তারা জানে না, লজ্জা
কি????তারা জানে না, শালীনতা টা কি?
তারা জানে না জীবনের প্রতি পদে পদে শিক্ষার
বিস্তর বিচরণ এবং প্রভাব। তারা অসুস্থ অসুস্থ
আর খুব নোংরা মন মানসিকতা নিয়ে অসুস্থ।

আফসোস!!! আমার কাছের মানুষ অসুস্থ
নারী,নর্তকী এবং প্রতিটা বেহায়া নারীকে
সমর্থন করে চলেন।তাদের বিরুদ্ধে নিজে তো
একটা প্রতিবাদ বা রাইট কথা বলেনই না,
তারউপর অন্য কেউ বলতে গেলে,অন্য কেউ
উনাকে বুঝাতে গেলে উনি অপমান করে বসেন। আর হ্যা, মানুষ তার প্রিয় মানুষটার
জন্যইইই পাত্তা দেওয়া থেকে শুরু করে
যাদের কে পাত্তা দেওয়া উচিত না,যারা
পাত্তা পাওয়ার যোগ্যই না,,সে অব্দি যায়।
কিন্তু আপনাদের মতো কেঁচো গন্ডুষরা এটা
কখনোই বুঝবেন না 😌

free mixingটাও হলো same সমাজের কালো অভিশাপ। Actually... সমাজের যত
মন্দ, পুরো বিশ্ব জুড়ে মুসলিমদের উপর
পশ্চিমা সংস্কৃতির যত মন্দাভাব, European
দের যত কুরুচিপূর্ণ কর্মকান্ড সবকিছুর
বিরুদ্ধে নানান জায়গা থেকে নানান মানুষ
নানান ভাবে কথা বলছে।
এখন.... মন্দ গুলো ভালোদের কটাক্ষ করলেই
কি ভালোরা খারাপ হয়ে যাবে??? কখনো না।
বরং আফসোস মন্দ গুলোর জন্য!!

সে একদিন বলছিলো,তুমি তোমার ভালোর
জাগরণ পুরো সমাজে দিতে চাইলেও সবাই
নিবে না, অনেকে বিদ্রুপ করবে!!!

সে বিদ্রুপের মাঝে যে তুমিও থাকবে একজন,
সেটা আমি সত্যি বুঝতে পারিনি প্রিয় পুরুষ।

সে বলেছে,তুমি আমি ২টা মানুষ ভিন্ন।
আমি এই যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলি,
আর তুমি স্রোতের বিপরীতে চলো।

হাহাহাহাহাহা....প্রিয় পুরুষ!! আপনি এই
যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলেন না,বরং
আপনি কলিযুগ এর কলি,অন্ধকার, গুনাহ
গুলোর সাথে তাল মিলিয়ে চলেন।
সেজন্যই আপনি সঠিক কথা বললে ফোঁসে
উঠেন।যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলা বলে,
নিজেকে ভালো পথে রেখে শুধু বিজ্ঞান ও
প্রযুক্তি,সমৃদ্ধির সাথে তাল মিলিয়ে চলা।
নিজেকে অমানুষ করে তুলা না।

আর,, রইলো,আমার স্রোতের বিপরীতে চলা।
হ্যা আমি স্রোতের বিপরীতে চলি।আর এই
স্রোতের বিপরীত হচ্ছে আমার ভালো পথে
চলা,ভালো পথে থাকা,আমার শিক্ষা, শিষ্টাচার,
শালীনতা বজায় রাখা। মানুষ হওয়ার আপ্রাণ
চেষ্টা। আমার ধর্মীয় সংস্কৃতি বজায় রাখা।

আমার মনুষ্যত্ব ঠিক রেখে তারপর আমার
যুগের সাথে যতটুকু তাল মেলানোর দরকার
আমি মেলাই আলহামদুলিল্লাহ।
আর এটাই আমার স্রোতের বিপরীতে চলা।
প্রতিটি মানুষের কাছে সবার আগে তার
ধর্মীয় সংস্কৃতি তারপর শিক্ষা মনুষ্যত্ব।
এই ২টি সম্পদ বুকে নিয়ে এগিয়ে যাওয়া উচিত।

প্রিয় পুরুষ,
২টো মানুষ আলাদা হলেও ভালোকে গ্রহন
এবং মন্দকে দূরীকরণের শিক্ষায় ২জনের
উচিত ২জনের সাহচর্য হওয়া। ১ই ছাদের নিচে হাজারো মানুষ হাজারো রকম হবেই
কিন্তু সেক্ষেত্রে কিছু জিনিস বা বিষয়ে
প্রত্যেকের বোধ বুদ্ধি টা কাজে লাগানো উচিত। মনে রাখবেন_!!

বুঝেন না তো কিছু না??? বুঝার চেষ্টাও করেন
না, মানুষ হওয়ার কোন প্রয়াস ভিতরে নেই।

আল্লাহ হেদায়েত দান করুক আপনি সহ
আপনাদের মতো গোটা মূর্খ প্রজন্মকে।