আয়নার প্রতিচ্ছবি ( পাঠ ৪)

নতুন পথ ধরে এগোতে গিয়ে নীলা একটি বিস্ময়কর দৃশ্য দেখলো। সামনে ছিল একটি বিশাল, অদ্ভুত জঙ্গল, যেখানে রঙিন ফুলের সমাহার ছিল এবং অদ্ভুত প্রাণীসাধারণের গর্জন শোনা যাচ্ছিল। এই জঙ্গল যেন স্বপ্নের মতো, কিন্তু অদ্ভুতভাবে বিভ্রান্তিকর।

"এটি কী ধরনের স্থান?" নীলা প্রতিচ্ছবির কাছে প্রশ্ন করলো।

"এটি মনের জঙ্গল," প্রতিচ্ছবি বললো। "এখানে তোমার ভেতরের ভয় এবং সংশয় প্রতিভাত হবে। এই জঙ্গলের গভীরে একটি বীজ রয়েছে যা তোমাকে পরবর্তী চ্যালেঞ্জে সাহায্য করবে। কিন্তু আগে তোমাকে এই জঙ্গলের প্রতিটি বাঁধা পার করতে হবে।"

নীলা জঙ্গলে প্রবেশ করলো। ফুলগুলো অদ্ভুতভাবে আলো ফেলছিল এবং বিভিন্ন অদ্ভুত প্রাণী তার চারপাশে ঘুরছিল। কিছু সময় চলার পর, সে একটি মোটা বৃক্ষের কাছে পৌঁছালো, যার গায়ে লেখা ছিল একটি শ্লোক।

শ্লোকটি ছিল কিছুটা বিমূর্ত, কিন্তু এর মধ্যে একটি সংকেত ছিল যা নীলাকে ভাবতে বাধ্য করছিল। সে চেষ্টা করলো শ্লোকের মানে বুঝতে, এবং তার মনের ভেতরের আতঙ্কের সাথে যুদ্ধ করতে লাগলো।

"এই জঙ্গলে নিজের ভয়ের সাথে মুখোমুখি হও," প্রতিচ্ছবি বললো। "যদি তুমি ভয় না পেয়ে এগোতে পারো, তবে তুমি এই বাঁধাগুলি অতিক্রম করতে সক্ষম হবে।"

নীলা ধীরে ধীরে ভয়ের সাথে মোকাবিলা করতে শুরু করলো। তার মনে ঘোরাফেরা করা অস্বস্তি, পুরোনো স্মৃতি আর আতঙ্ক তাকে চ্যালেঞ্জ করছিল। সে সিদ্ধান্ত নিলো যে, তাকে এই ভয়গুলোর মুখোমুখি হয়ে এগিয়ে যেতে হবে।

যেমন সে এগোতে লাগলো, তার সামনে নানা ধরণের বাধা এবং বিপত্তি এল। কখনো ধোঁয়ায় ঢাকা পথ, কখনো অদ্ভুত রূপকথার প্রাণীর মুখোমুখি হলো। সে একে একে সমস্ত চ্যালেঞ্জ পার করতে লাগলো, ধৈর্য্য এবং সাহসের সাথে।

অবশেষে, সে একটি বিশাল ঝর্ণার সামনে পৌঁছালো। ঝর্ণার জলের স্রোত প্রবাহিত হচ্ছিল এবং তার মধ্যে একটি ছোট্ট সোনালী বীজ ঝলমল করছিল।

"এটি কি?" নীলা জানতে চাইলো।

"এটি তোমার পরবর্তী চ্যালেঞ্জের সূচনা," প্রতিচ্ছবি বললো। "এখন তোমার এ বীজ গ্রহণ করতে হবে এবং তোমার সাহসিকতা প্রমাণ করতে হবে।"

নীলা বীজটি হাতে নিলো এবং বুঝতে পারলো, এটি একটি নতুন সুযোগ। সে ধীরে ধীরে বীজটি হাতে নিয়ে, নিজের ভেতরের শক্তি এবং সাহসকে প্রমাণ করতে চেষ্টা করলো।

"এবার তুমি প্রস্তুত," প্রতিচ্ছবি বললো। "পরবর্তী চ্যালেঞ্জের জন্য প্রস্তুত হও।"

নীলা ঝর্ণার পাশে দাঁড়িয়ে, তার সামনে নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে উঠলো। তার মনের ভেতর থেকে ভয়ের ছায়া মুছে গেছে, আর সে বুঝতে পারলো, এই রহস্যময় জগতের মধ্যে সে নিজের সত্যিকারের শক্তি খুঁজে বের করছে।

(চলবে...)।