অহংকারী কাজিন

অডিও মোড

00:00 00:00
গতি:
ভলিউম:
শেষ part
,,,,,,,,,,,,,,,,,

রাস্তায় বসে বসে খাচ্ছিলাম তখন হঠাৎ কে যেন আমার সামনে আসলো।

আমি উপর দিকে তাকিয়ে দেখি ফারজানা।

ফারজানা :: কি আমার সাথে লাগতে আসছিলানা। দেখ এখন কেমন লাগে।


আমি :: কি এখানে কি আমাকে তো বের করে দিয়েছ আবার এখানে কি করতে এসেছ। আমাকে বের করে দিয়েও কি তুমার সাদ মেটেনি।


ফারজানা : এমনি দেখতে আসলাম। কি করতেছিস তুই।
ভাবলাম হয়তো তুই ভিক্ষা করতেছিস তাই ভিক্ষা দিতে আসলাম।


আমি :: তুমাকে আমি মনে মনে অনেক ভালো বাসতাম কি আমি কি জানতাম তুই মানুষ নামে রাক্ষসী।,,৷৷৷ ,,, এখন যা হওয়ার তো হয়েই গেছে তোর মুখ আমি আর দেখতে চাইনা।


আমি ওখান থেকে উঠে আসলাম।

ভাপতে লাগলাম (আজকে একটা কাজ খুজতেই হবে পকেটে একটা টাকা ও নাই)

সারাদিন কাজ খুজলাম একটা কাজ ও পাইলাম না।

এদিকে সারাদিন কিছু খাই নাই খুদা তে মাথা ঘুড়তেছে।

মাথা ঘুড়তে ঘুড়তে রাস্তায় পড়ে গেলাম।
আমি দুড় থেকে দেখতেছি একটা লোক আমার দিকে ছুটে আসতেছে এসেই বলল।

লোকটি :: এই যে ভাই কি হইছে আপনার।

এই টুকুই শুনতে পেলাম আর কিছু মনে নেই।
,,,,,,,,,



যখন আমার জ্ঞন ফিরল তখন আমি দেখলাম আমি একটা টিনের ঘরে শুয়ে আছি।

আমার পাশে একটা ছোটো মেয়ে বসে আছে (4-5 বছরের হবে)

আমি বাচ্চা টাকে জিজ্ঞেস করলাম।


আমি :: এইযে বাবু তুমি কি যানো আমাকে এখানে কে নিয়ে এসেছে।


ছোট মেয়েটি:: আমাল আব্বু নিয়ে আত্তে তুমালে।


আমি :: ওওও তা তুমার আব্বু কই।

ছোট মেয়েটি : আমাল আব্বু বাজালে গেত্তে।


আমি :: তা তুয়ার আব্বু কখন আসবে।


ছোট মেয়েটি :: আমি তো দানিনা।

আমি মেয়েটির সাথে কিছুক্ষন কথা বলার পর তার বাবা চলে আসলো।

আমি :. আসসালামু আলাইকুম আংকেল।


লোক্টি :: ওয়ালাইকুম আসসালাম। তা বাবা এখন কেমন লাগতেছে।


আমি ': জি আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো লাগতেছে।


লোকটি :: তা বাবা তুমি কি কর তুমার বাসা কই।


আমি :: জি আমি কাজ খুজতেছি আমার এই পৃথিবীতে কেউ নেই।


লোকটি :: ওও তা বাবা তুমি আজ থেকে আমার এখানে থাকবা আর চা পান বেচবা।


আমি :: ওকে আংকেল আমার তো একটা কাজের ও প্রয়োজন।

আংকেল বাজারে গেল আমি আর মেয়েটি গল্প করতে লাগলাম।

গল্প করতে করতে কখন রাত হয়ে গেছে মনেই নেই।

তো রাতে আংকেল আসলো হাতে চা পান বানানোর সামগ্রী।

লোকটি :: এই নাও বাবা এখানে চা পান বানানোর সামগ্রী আছে।

এখন খেয়ে দেয়ে ঘুমাও।

আমরা তিন জন খেয়ে দেয়ে ঘুমেয়ে গেলাম


সকালে ঘুম থেকে উঠে কলা রুটি খেয়ে চা বিক্রি করতে বেরিয়ে পড়লাম।

রাস্তায় রাস্তায় চা বিক্রি করতেছি হঠাৎ দেখি ফারজানা আমার দিকে এগিয়ে আসতেছে।

এসেই,,,, ঠাস,,৷ ঠাস,,, ঠাস,,, আমার গালে চড় লাগিয়ে দিল।


ফারজানা:: কি করতেছ এগুলো তুমার লজ্জা করেনা এগুলো করতে।


আমি :: কাজ করতেছি দেখতেছনা।
আর লজ্জা লাগবে কেন পেটের দায়ে কাজ করতেছি ভিক্ষা তো আর করতেছি না।


ফারজানা :: তুমার এগুলো করা লাগবেনা চল বাসায় ফিরে চল প্লিজ।


আমি : কেন যাব হ্যা আমি তো খারাপ একটা ছেলে।


ফারজানা :: আমি বাসায় সব বলে দেব প্লিজ চলো। তুমার এসব করতে হবেনা।


আমি :: না আমি যাবনা।

ফারজানা : তুমি না গেলে কিন্তু আমি বিশ খাব।


আমি :: আমি না গেলে তুমি বিশ খাবে কেন।


ফারজানা :: কারন আমি তুমাকে ভালোবাসি।


আমি :: ভালোবাস তাহলে চল কাজি অফিসে একবারে বিয়ে করে বাসায় যাব।


ফারজানা :: চল।


আমি আর ফারজানা কাজি অফিসে গিয়ে বিয়ে করে সোজা চাচার বাসায় গেলাম গিয়ে কলিং বেল বাজালাম চাচা এসে দরজা খুলে দিল।

চাচা আমাদের এই অবস্থায় দেখে অবাক চাচা কোনো কথা বললনা শুধু ভেতরে যেতে বলল।

আমরাও ভেতরে গিয়ে বসলাম।

ফারজানা চাচা চাচির সামনে সব সত্যি কথা বলে দিল। এও বলে দিল যে আমরা বিয়ে করেছি।

চাচা চাচি ফারজানার মা বাবা কে মেনেজ করে আমাদের আবার বড় অনুষ্ঠান করে বিয়ে হলো এখন আমরা শান্তি তে সংসার করছি।


,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,৷৷৷ ,,,, সমাপ্ত,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,



গল্প টি কেমন হয়েছে অবশ্যই কমেন্ট এ জানবেন ধন্যবাদ
(টানা 4 দিন বৃষ্টির কারনে নেটওয়ার্ক ছিলনা তাই গল্প দিতে পারিনি)
514 Views
15 Likes
2 Comments
4.3 Rating
Rate this: