নামাজ আমাদের প্রত্যেক নারী পুরুষের ওপর ফরজ।নামাজে বান্দা আল্লাহর সবচেয়ে কাছে অবস্থান করে। জিজ্ঞেস করা হলো সিজদার ক্ষমতা কতোটুকু? জবাবে বলা হলো সাড়ে ছয় শ পাখা থাকা সত্যেও জিবরাইল যে দূরত্ব অতিক্রম করতে পারে নি।মানুষ তা এক সিজদাতেই করে ফেলে।কুরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন, নিশ্চয়ই নামাজ অশ্লীল ও মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখে।
আমরা যে নামাজ পড়ি তার কিছু নিয়ম আছে। অনেকের মনে আবার প্রশ্ন থাকে ছেলে এবং মেয়েদের নামাজ কি আলাদা নাকি একই,আর যদি পার্থক্য থেকেই থাকে তবে কি সেই পার্থক্য গুলো? চলুন এই সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক.......
পুরুষ ও স্ত্রীলোকের নামাযের পার্থক্য
পুরুষের এবং স্ত্রীলোকের নামায প্রায় এক রকম, মাত্র কয়েকটি বিষয়ে পার্থক্য আছে। যথাঃ
১। তকবীরে তাহরীমার সময় পুরুষ চাদর ইত্যাদি হইতে হাত বাহির করে কান পর্যন্ত উঠাবে, যদি শীত ইত্যাদির কারণে হাত ভিতরে রাখার প্রয়োজন না হয়। স্ত্রীলোক হাত বের করবে না, কাপড়ের ভিতর রেখেই কাঁধ পর্যন্ত উঠাবে। ¾তাহতাবী
২। তকবীরে তাহরীমা বলে পুরুষ নাভির নীচে হাত বাঁধিবে। স্ত্রীলোক বুকের উপর (স্তনের উপর) হাত বাঁধিবে। ¾তাহতাবী
৩। পুরুষ হাত বাঁধিবার সময় ডান হাতের বৃদ্ধা ও কনিষ্ঠা অঙ্গুলী দ্বারা হালকা বানাইয়া বাম হাতের কব্জি ধরিবে এবং ডান হাতের অনামিকা, মধ্যমা এবং শাহাদাত অঙ্গুলী বাম হাতের কলাইর উপর বিছাইয়া রাখিবে। আর স্ত্রীলোক শুধু ডান হাতের পাতা বাম হাতের পাতার পিঠের উপর রাখিয়া দিবে, কব্জি বা কলাই ধরিবে না। ¾দুররুল মুখতার
৪। রুকূ করিবার সময় পুরুষ এমনভাবে ঝুঁকিবে যেন মাথা, পিঠ এবং চুতড় এক বরাবর হয়। স্ত্রীলোক এই পরিমাণ ঝুঁকিবে যাতে হাত হাঁটু পর্যন্ত পৌঁছে।
৫। রুকূর সময় পুরুষ হাতের আঙ্গুলগুলি ফাঁক ফাঁক করিয়া হাঁটু ধরিবে। আর স্ত্রীলোক আঙ্গুল বিস্তার করবে না বরং মিলাইয়া হাত হাঁটুর উপর রাখিবে।
৬। রুকূর অবস্থায় পুরুষ কনুই পাঁজর হইতে ফাঁক রাখিবে। আর স্ত্রীলোক কনুই পাঁজরের সঙ্গে মিলাইয়া রাখিবে। ¾মারাকী
৭। সিজদায় পুরুষ পেট উরু হইতে এবং বাজু বগল হইতে পৃথক রাখিবে। পক্ষান্তরে স্ত্রীলোক পেট রানের সঙ্গে এবং বাজু বগলের সঙ্গে মিলাইয়া রাখিবে।
৮। সিজদায় পুরুষ কনুই মাটি হইতে উপরে রাখিবে। পক্ষান্তরে স্ত্রীলোক মাটির সঙ্গে মিলাইয়া রাখিবে। ¾মারাকী
৯। সিজদার মধ্যে পুরুষ পায়ের আঙ্গুলগুলি ক্বেবলার দিকে মোড়াইয়া রাখিবে তাহার উপর ভর দিয়া পায়ের পাতা দুইখানা খাড়া রাখিবে; পক্ষান্তরে স্ত্রীলোক উভয় পায়ের পাতা ডান দিকে বাহির করে মাটিতে বিছিয়ে রাখবে। ¾মারাকী
১০। বসার সময় পুরুষ ডান পায়ের আঙ্গুলগুলি ক্বেবলার দিকে মোড়াইয়া রাখবে তার উপর ভর দিয়ে ডান পায়ের পাতাটি খাড়া রাখিবে এবং বাম পায়ের পাতা বিছিয়ে তার উপর বসবে। আর স্ত্রীলোক পায়ের উপর বসিবে না, বরং চুতড় (নিতম্ব) মাটিতে লাগিয়ে বসিবে এবং উভয় পায়ের পাতা ডান দিকে বের করে দিবে; এবং ডান রান বাম রানের উপর এবং ডান নলা বাম নলার উপর রাখিবে। ¾মারাকী
১১। স্ত্রীলোকের জন্য উচ্চ শব্দে কেরাআত পড়িবার বা তকবীর বলা এতটুকুও জায়েজ নাই। তারা সব সময় সব নামাযের কেরাআত (তকবীর, তাসমী ও তাহমীদ ¾চুপে চুপে পড়িবে।)