রহস্যময় ভালোবাসা (Mysterious Love ) Episode 6

অডিও মোড

00:00 00:00
গতি:
ভলিউম:
বাসায় আসতেই আমি বেহুশ হয়ে পরে যাই।
চোখ যখন খুলি তখন আমি নিজেকে একটা চায়ের দোকানে পাই। আমি বুঝতে পারলাম না এসব আমার সাথে কি হচ্ছে। বার বার এসব আমার সামনে কেন আসছে? ওইটা কি আসলেই মিশকাত ছিলো? আর মিশকাত হলে আমি কাছে যেতেই কোথায় সবাই গায়েব হয়ে যায়? হাজারো প্রশ্ন মনের মধ্যে ঘুরছে। কিন্তু একটারো উত্তর আমার কাসে নেই। এমন সময় তিন্নির কল আসে।কিন্তু কল রিসিভ করার ইচ্ছা হচ্ছিলো না।তাও কল রিসিভ করে বললাম,,

-হ্যালো,,
-কি ব্যাপার কাল সারা রাত কল ধরেন নি কেন? আপনি জানেন আমার কতটা চিন্তা হচ্ছিলো?
-চিন্তা করার কি হলো? আমি কি কোন ছোট বাচ্চা নাকি আজব😠😠।
-এতে এত্তো মেজাজের কি হলো। আপনিতো অনেক শান্ত মেজাজের লোক।
আমিও ভাবতে লাগলাম।এ হঠাৎ আমার কি হলো? আমি এরকম মেজাজ করছি কেন? তাও আবার তিন্নির সাথে?
এসব ভাবতে ভাবতে আমি তিন্নিকে বললাম,,
-আচ্ছা এখন রাখি।পরে কথা বলবো।

এই বলে আমি ফোন রেখে দিলাম। আমি এসব ভ
আবতে ভাবতে অফিসের দিকে এই অবস্থাতেই রওনা দেই। অফিস পৌছাতেই দেখি নুসরাত আমার জন্য অপেক্ষা করছে।আমি অফিসে যেতে না যেতেই নুসরাত আমাকে বলে উঠে,,,

-স্যার,, আজকে এত্তো দেরি?
-কই দেরি হয়েছে?
এই বলে আমি হাতের ঘড়ির দিকে তাকালাম।দেখলাম ১১টা বাজে।আমি মনে মনে ভাবলাম এত্তো দেরি কিভাবে হলো আজকে?
-স্যার আপনার কথা জিজ্ঞেস করেছিলো।
-কি বলেছেন উনি?
-বলেছেন,,আপনি আসলে যাতে দেখা করে।তাছাড়া আমি বলেছি আপনি একটা জরুরি কাজে বাহিরে গেসেন। ভালো হয়েছে তারাতাড়ি আসছেন।
-আচ্ছা।যাও তুমি কেবিনে।আমি আসছি।

এই বলে আমি স্যার এর সাথে দেখা করতে গেলাম। স্যার আমাকে দেখেই বলে উঠেন,,,,

-কি ব্যাপার ফরহাদ? তোমাকে এমন ক্লান্ত লাগছে কেন?
-না স্যার,,তেমন কিছুই না।
-তুমি কি সিউর?
-জ্বি স্যার।
-আচ্ছা যাও। তাহলে কাজ কর।আর কোনো সমস্যা হলে জানাও।

তারপর আমি স্যার এর কেবিন থেকে চলে আসলাম। আমি যখন আসি দেখি নুসরাত আমার জন্য দারিয়ে আছে। সে আমাকে দেখে বলে উঠে,,,,

-চলেন স্যার,,আমরা কফি খেয়ে আসি।বহুদিন হলো একসাথে কফি খাই না।
-আমি তোমার সাথে কফি খেলামি বা কবে??
-কেন অইদিনি তো খেলেন।
-কোনদিন?
-আচ্ছা যাই হক চলেন না,,,,

আমি না করতে যাবো এমন সময় তার চোখের দিকে আবার আমার চোখ পড়ে। তারপর কি হলো বুঝলাম না।কিসের মায়ায় পড়ে আমি তার সাথে কফি খেতে চলে গেলাম। আমরা যখন কফি খাচ্ছিলাম তখন তিন্নি কল দে আবার।আমি কল ধরলাম না।কেন ধরলাম না তাও আমার জানা নেই। কিন্তু তার কল ধরার ইচ্ছা জাগলো না। এদিকা দিয়ে মিশকাতের ব্যাপারটাও প্রায় ভুলেই গেসিলাম। আমি নিজেও বুঝলাম না নুসরাতের সাথে যখনি থাকি তখন আমার আর কোনোকিছুর দরকার পড়ে না।কেন এমন হয় তাও আমি জানি না। তিন্নি আবার আমাকে কল করে। এবার আমি কল রিসিভ করি,,

-কি ব্যাপার বার বার কল করে যাচ্ছো কেন? আমি জরুরি কাজে ব্যস্ত আসি। পরে কথা বলবো। (একটু রাগের সাথে)
-আপনার কি হয়েছে? আপনি আমার সাথে হঠাৎ এমন ব্যবহার করছেন কেন? আপনি তো আগে এমন ছিলেন না?
-তো কি হয়েছে? কি বলবা তুমি তারাতাড়ি বল।
-আমাকে নিতে আসবেন না?
-হুম আসবো। দেখি আজকে সন্ধ্যায় আসবো তোমাকে নেয়ার জন্য। তুমি রেডি থেকো।বায়।

এই বলে আমি কল রেখে দিলাম। আমাদের কফি খাওয়া শেষ হলে আমরা দুজনেই কেবিনে চলে যাই। আমি যখন কাজ করছিলাম নুসরাত আমাকে বলে উঠে,,,

-স্যার,,,একটু কথা জিজ্ঞেস করি?
-হ্যা করো।
-আমাকে আপনার কেমন লাগে?
-হঠাৎ এই প্রশ্ন কেন করলা?
-না স্যার এভাবেই।থাক আপনি কাজ করেন আমিও কাজ করি।
-ওকে।

এই বলে আবার আমরা 2 জনেই কাজ শুরু করলাম। কিন্তু মনের মধ্যে প্রশ্ন জাগতে লাগলো নুস্রাত এই কথা আমাকে কেন জিজ্ঞেস করলো? আর আমার কি হয়ে যায় ইদানীং? আমি তিন্নির সাথে এমন ব্যবহার কেন করছি।আজকে যাওয়ার সময় তিন্নির জন্য গোলাপ কিনে নিয়ে যাবো। তাহলে খুশি হয়ে যাবে।ওর এমনেই বাচ্চা মন।আমি যদি আবার ওর সাথে রাগারাগি করি তাহলে ওর মন আরও ভেন্গে যাবে। না আর রাগ করা যাবে না। এসব ভাবতে ভাবতে কাজ করতে থাকি।

কাজ শেষ করে আমি ফুলের দোকানে চলে যাই তিন্নির জন্য ফুল কিনবো বলে। একটা ফুলের দোকান পরে খুব সুন্দর ঘ্রান আসছিলো ফুলের। আমি সেখান থেকে ৫টা গোলাপ একসাথে বেধে গারিতে উঠলাম তিন্নির বাসায় যাবো বলে। গাড়ি দিয়ে কিছুদূর যাওয়ার পর হঠাৎ এক জন্গলের সামনে গাড়ি থামে। দেখলাম সেখান থেকে একটা মেয়ে তরিঘরি করে গাড়িতে উঠে। অন্ধকার তাই চেহারা বুঝা যাচ্ছিলো না। আমি আবার পিছনের সিটে বসছিলাম। সে আমার সিট বরাবর আসতে লাগলো। যেই সামনে আসলো দেখি এটা কেউ না বরংচ মিশকাত। সে এসেই আমার পাশে বসে পরল। তার জামা কাপড় সব ছিড়া ছিলো। তার মুখে কেমন যেনো দাগ। তার সারা কাপড় রক্তে মেখে আছিলো। আমাকে বলল,,,

-ফরহাদ আমাকে বাচাও। ওরা আমাকে মেরে ফেলবে?
-কারা?
-ধর্ষকরা। ৫টা ছেলে আমাকে ১ সপ্তাহ যাবত ধর্ষন করে যাচ্ছে। প্লিজ আমাকে বাচাও।

এমন সময় গাড়ি আবার ছেড়ে দিয়েছে।আমি তাকে সান্ত্বনা না দিতে লাগলাম। সে আমার কাধে মাথা রেখে ঘুমিয়ে পরে।সারা রাস্তা অন্ধকার ছিলো তাই বাসে কিছু দেখা যাচ্ছিলি না। এমন আমিও যে কখন ঘুমিয়ে পড়লাম নিজেও জানতে পারলাম না। হঠাৎ মনে হলো কে যেনো আমার রানে বসে আছে এবং আমার চুমু খাচ্ছে। আমি চেয়েও তাকে সরাতে পারছিলাম না। এমন সময় মনে হতে লাগলো সে আমার সাথে শারীরিক সম্পর্ক শুরু করেছে। আমি এবার চোখ খুললাম। আর দেখি মিশকাত আমার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করছে।আমি নানান রকমের চেষ্টা করলাম তাকে সরানোর জন্য। কিন্তু কোনোভাবেই পারছিলাম না।অসহায়ের মতো বসে থাকতে হলো। আর এই শারীরিক সম্পর্ক করতে করতে কখন আবার গাড়িতেই ঘুমিয়ে পড়লাম নিজেও জানতে পারলাম না। ঘুম ভান্গতেই দেখি আমি আমার গন্তব্য স্থলে পৌছে গেছি।কিন্তু আমার পাশে মিশকাত নেই।তাহলে এগুলো কি চলছিলো। এগুলো কি সপ্ন আছিলো। এই বলে আমি আমার শরীরে তাকালাম। দেখলাম আমার শার্টের বোতাম খেলা। শার্টে লিপ্সটিকের দাগ।রক্তের দাগও রয়েছে।আমার প্যান্টও ভিজা আছিলো। তাহলে বাস্তবে মিশকাত ছিলো এবং সে আমার সাথে পুরো রাস্তা শারীরিক সম্পর্ক করেছে। তাহলে আবার সে কোথায় উধাও হয়ে গেলো। এসব ভাবতে ভাবতেই আমি তিন্নিদের বাসায় চলে গেলাম। আমার শরীরের অবস্থার কথাও মনে আছিলো না। আমি যেই বাসায় পৌছাই তিন্নি আমাকে দেখে দৌড়ে আসে। কিন্তু যখনি সে আমাকে এই অবস্থায় দেখে সাথে সাথে একটা চড় মারে এবং ভিতরে চলে যায়।

চলবে,,,,

[বি.দ্র. খারাপ শব্দ ব্যবহার বা কেউ কষ্ট পেয়ে থাকলে ক্ষমার চোখে দেখবেন]
579 Views
20 Likes
0 Comments
4.8 Rating
Rate this: