রহস্যময় ভালোবাসা (Mysterious Love )

অডিও মোড

00:00 00:00
গতি:
ভলিউম:
আমি কোনো দিনো এই বিয়েতে একমত ছিলাম না। কিন্তু বাবা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পরায় বাবার এক বন্ধুর মেয়েকে বিয়ে করতে হলো। মেয়েটি দেখতেও মাশাল্লাহ সুন্দর। কিন্তু আমি কোনোভাবেই তাকে মেনে নিতে পারছিলাম না। যাই হক কিসমতে যা থাকে তাকে তো আর অস্বীকার করা যায় না।
আমার নাম ফরহাদ।আমি একটি ব্যাংকে জব করি।আমার বাসা হচ্ছে কুমিল্লা। আমি একটি মেয়েকে পছন্দ করতাম যার নাম হচ্ছে মিশকাত।কিন্তু আগেই বলেছিলাম নিয়তি যেখানে নিয়ে যায়।তাই অকে ছেড়ে আমাকে তিন্নিকে বিয়ে করতে হলো। যাই হক আজকে আমাদের বিয়ের প্রথম রাত যাকে আমরা সবাই বাসর রাত বলেই জানি। আমি আমার সকল কাজ শেষ করে আমার বাসর রুমে ঢুকলাম।আমার রুমে যেয়েই দেখি আমার সহধর্মিণী কাথা মুরি দিয়ে ঘুমাচ্ছে।আমি মনে মনে ভাবলাম,,,,
_শরমে আমার চোখে ঘুম নেই আর এই মহারানী নাক ডেকে ঘুমাচ্ছে। আমি একটু আওয়াজ দিতেই সে চোখ মেলে।যেই আমাকে দেখে অমনি হরিঘরি করে উঠে মাথায় ঘোমটা দিয়ে বসে পড়ে। আমার প্রচ্চুর শরম করছিলো। আমি যেয়ে পাশে বসতেই সে বলে উঠে আমাকে চুবেন না প্লিজ। আমি এর আগে কোনো ছেলের সাথে এভাবে থাকি নি।
-আজব তো আমি কি কোনো মেয়ের সাথে ছিলাম নাকি?
-জানি না।কিন্তু প্লিজ আমাকে চুবেন না।
-কি করবে যদি তোমাকে চুই?
-আমি চিল্লান দিবো।
-আজব মেয়েতো। আচ্চা যাও চুবো না।
-না আপনাকে বিশ্বাস নেই আপনি সোফাতে ঘুমান।
-আজব এটা আমার রুম।তুমি হয়তো ভুলে যাচ্ছ যে তুমি এখন আমার বাসায়।
-আম্মু,,,,,,,🥺🥺🥺।আমি কিন্তু কান্না করবো।
-আচ্চা বাবা কান্না করো না। আমি বরংচ এখানে মাঝখানে একটা কোলবালিশ রাখি।
-ওকে।

আজব মেয়ে বাবা।নিজের স্বামীকে কেউ এরকম করে জানতাম না।কিন্তু অনেক হাসিও পাচ্ছিল। যাই হক সে শুতে দেরি কিন্তু ঘুমাতে দেরি হয় নি।কিন্তু আমার আর ঘুম কই?আমি মাঝখান থেকে কোলবালিশ সড়িয়ে নিলাম।তার ঠোটের কাছাকাছি যেতেই দেখি সে চোখ খুলে ফেলল।আমি তারাহুরো করে ঘুমের ভান ধরলাম।সে বলে উঠে,,,,
_আপনি কি মনে করছেন আমি কিছু বুঝি না।চোখ খুলুন।
_আমি চোখ খুলতেই সে উঠে বসে পরল।
_কি করতে চাইছিলেন বলেন।
_কিছু না এমনি আমি শুনেছিলাম মেয়েদের ঠোট নাকি মিষ্টি।তাই দেখতে চাইছিলাম।
এই কথা বলার সাথে সাথেই সে আমার ঠোটে চুমু খেলো এবং বললো কি কেমন?
_না মিষ্টি আছে।যদি আরেকটু পেতাম।
_ঘুমান এবার আর জালাবেন না।
এই বলে সে ঘুমিয়ে পরলো।আমিও আর কিছু না বলে ঘুমিয়ে পরলাম।হঠাৎ ভোর ৫ টায় ঘুম ভেন্গে গেলো। ঘুম থেকে উঠে দেখি সে আমার বুকে মাথা রেখে ঘুমাচ্ছে।আমিও তাকে জড়িয়ে ধরে আবার ঘুমালাম।সকাল বেলা সে আমাকে ডাকা শুরু করলো। হয়েছে অনেক ঘুম উঠেন।বাবা-মা আপনার আর আমার জন্য অপেক্ষা করছে নাস্তা করবে বলে।আমি উপরে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করার জন্য নিচে নামলাম।সবাই আমার দিকে যেভাবে তাকাচ্ছিল আমার খুব শরম পাচ্ছিলো। আমি নাস্তা খাচ্ছিলাম এমন সময় তিন্নি বাবাকে বলে,,,
_বাবা,,,,,
_জ্বি মা।
_আপনার ছেলের চারত্রিক দোষ আছে।
বাবা এই কথা শুনে কাশি দিয়ে উঠেন।আমিও মনে মনে বললাম ইজ্জৎ এর ফালুদা করে দিলো।সে আমার দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসছিল।

চলবে,,,,,
লেখকঃইয়াসিন আরাফাত মুবাশশির।
1.22K Views
30 Likes
9 Comments
4.6 Rating
Rate this: