সে আমার দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসছিল।
যাইহোক খাবার শেষ করে রুমে ঢুকলাম। কিন্তু মহারানী এখনো আসলো না। মনে মনে মেজাজটাও প্রচুর খারাপ হচ্ছিল আজকে ওকে পেলে খবর আছে সবার সামনে ইজ্জতের ফালুদা করে দিল। কিন্তু তার আসার কোনো নাম নেই। এমন সময় বাবা ডাক দিলেন সাড়া দেওয়ার জন্য আমি নিচে গেলাম
-জী বাবা ডেকেছো।
-কিরে তিন্নি সকালে এভাবে কথা বলছিল কেন নাস্তা করার সময়?কি করেছিস তুই ওর সাথে?
-আমি থতমত খেয়ে গেলাম। না বাবা কিছু না হয়তো মজা করছিল।
-দেখিস নতুন বউ মানইজ্জত কিছু ডুবাস না।
-আচ্ছা বাবা আমি রুমে যাই আমার কিছু কাজ আছে।
-এই শোন আজকে তোর শ্বশুর বাড়ির লোকজন আসবে তুই রেডি হয়ে থাকিস। তিন্নিকে নিয়ে ওর বাসা থেকে ঘুরে আসিস।
-আচ্ছা বাবা।
এই বলে আমি শরমে সেখান থেকে চলে গেলাম।
দুপুর 12 টায় তিন্নির বাবা মা এসেছিল ওর ছোটবোন সহ। আমরা দুপুরের খাবার খেয়ে রওনা দিলাম ওর বাসার উদ্দেশ্যে। ওর বাসায় গিয়ে টের ভিতরে ঢুকতেই একটি কালো কুকুর তাড়া করলো। আমি ভয়ে তুলির পিছনে লুকিয়ে গেলাম। আমার এই কাণ্ড দেখে তুলি তিন্নি এবং ওর বাবা-মা হাসতে লাগলো। আমিও খুব শরম পাচ্ছিলাম। এখানে এসেও ইজ্জতের ফালুদা করে দিলাম।
এমন সময় তুলবো বলে ওঠে,,,,,
-আরে দুলাভাই ভয় পাবেন না এটা আমাদের কুকুর আমরা এটাকে পালি।
-কুকুর ছাড়া কি আর কিছু পাওয়া যায় না? (মনে মনে বললাম)
আমি আবার কুকুর কে দেখে অনেক ভয় পাই । একবার ক্লাস নাইনে থাকতে একটি কুকুর আমাকে তাড়া করেছিল তখন থেকেই আমি কুকুর দেখলে ভয় পাই। আজকে আবার সেই ভয়ে আমার ভিতরে চলে আসলো। যাইহোক আমি রুমের ভীতর ঢুকে হাত মুখ ধুয়ে ফ্রেশ হয়ে নেই। এমন সময় দেখলাম তিন্নি কেমন করে যেন আমার দিকে চেয়ে রয়েছে। আমি বললাম কি ব্যাপার কিছু বলবে,,,,
-এখানে কোন প্রকার বাড়াবাড়ি করবেন না করলে আপনার খবর আছে এটা আমার বাড়ি মনে রাখবেন।
আমি মনে মনে বললাম আমার বাসায় ই আমার ইজ্জত রাখেনি এখানে কিছু করলে তো আমাকে পুরো মেরেই ফেলবে। আমি চুপ করে থাকলাম কিছু বললাম না ওকে।
তিন্নি আবার বলে ওঠে,,,,
--জান বের হন আমি কাপড় পাল্টাবো।
-আজব আমি তো তোমার হাজব্যান্ড সমস্যা কি আমার সামনে পাল্টালে -।
-আপনার চরিত্র তো দেখি আসলেই অনেক খারাপ। একটা মেয়েকে বলছেন আপনার সামনেই কাপড় পাল্টাতে। এই পর্যন্ত কয়টা মেয়েকে আপনার সামনে কাপড় পাল্টাতে বলেছেন?
-আজব তুমি আমার বউ তাই তোমাকে বলেছি। আর বাইরে যাওয়ার কি হলো এখানে তো বাথরুম আছে বাথরুমে যাও।
-না আমি বাইরে যেতে বলছে বাইরে যাবেন যান।
এই বলে আমাকে ধাক্কা দিয়ে রুম থেকে বার করে দিল । এইসব বিষয়গুলি তুলি দেখছিল এবং মুচকি মুচকি হাঁসছিল। আমি কিছু না বলে টিভি রুমে যেয়ে টিভি ছেড়ে দেখছিলাম। এমন সময় তুলি আমার সামনে এসে বসে হাজির হলো। সে আমাকে বলল,,,,,
-দুলাভাই চলো বাইরে গিয়ে খেলা করি।
-এত বড় হয়েছো আর এখন আমার সাথে খেলবা।
-এই আপনি কোন দিকে মাইন্ড নিচ্ছেন? আমিতো আপনার সাথে লুকোচুরি খেলার কথা বলছি.।
-আমিও তো তাই বললাম এত বড় হয়েছো আর এখন আমার সাথে খেলবা।
-তো কি হয়েছে আপনি আমার দুলাভাই আমি আপনার সাথে খেলতে পারি।
-আচ্ছা তুমি কোন ক্লাসে পড়ো?
-নাইনে। কেন জানেন না? তাহলে কি দুলাভাই হয়েছেন কেন?
মেয়েটা তো দেখছি অনেক পাকনা ওর থেকে সাবধানে থাকতে হবে।
-চলেন না দুলাভাই খেলি।
এটা বলার সাথে সাথে আমার হাত ধরে বাইরে নিয়ে গেল। বাইরে যাওয়ার সময় সে আমাকে বলল,,,,
-আচ্ছা দুলাভাই আপু আপনাকে রুম থেকে বাইর করে দিল কেন -?
আমি তখন প্রচুর শরম পাচ্ছিলাম এই কথা শোনার পর।
-এমনি এত কিছু তুমি জেনে কি করবে। তোমার আপুর কিছু পার্সোনাল কাজ ছিল?
-আরে হইছে আমাকে আর মিথ্যা বলতে হবেনা আমি সব শুনেছি।
-কি শুনেছ তুমি?
-কিছু না। যান আমি লুকাই আপনি আমাকে খুঁজবেন।
এই বলে সে লুকাতে চলে গেল। আমিও তুলিকে খুজতে লাগলাম। এমন সময় দেখলাম ওই কুকুরটি আবারো আমার পিছু করছে এবং ঘেউ ঘেউ করছে। আমি যখন ভয় পেয়ে লুকাতে লাগলাম দেখলাম এটা তুলির কান্ড। তুলি আমার পিছনে কুকুরটিকে ছেড়েছিল। মনে মনে প্রচুর মেজাজটা খারাপ হয়েছিল। মনে মনে ভেবে নিয়েছিলাম এর প্রতিশোধ আমি নিবোই।
চলবে,,,,,,
লেখকঃইয়াসিন আরাফাত মুবাশশির।
রহস্যময় ভালোবাসা (Mysterious Love ) Episode 2
অডিও মোড
00:00
00:00
গতি:
ভলিউম:
714
Views
15
Likes
5
Comments
4.1
Rating