_আমার ঝাড়ুটা কোথায় গেল রে বেটা লুচ্চ আমাকে ছেড়ে অন্য মেয়ের সাথে প্রেম কীা আজকে আমি ছেড়ে দিব এই বলে শাড়ীর আচোল কোমড়ে পেচিয়ে নিল।।(পিচ্চি)
--এই রে অঘটন তো বেজে গেল।কি করে রাগ থামাই একন করতে আসলাম কী আর কী হয়ে গেল।কী করি হ্যা পাইছি।ঝাড়ুটা নিয়ে দৌড়ে দিবো ওমনি। ভাবী ভাবী দাড়াও।(বোন)
--পরি তুমি আমার সামনে থেকে শড়ে যাও নয়ত কালকে রাতের মত তোমাকে ও কামুড় দিব।যেমন তোমার ভাইকে দিছিলা।
--কী ভাইয়াকে কামুড় দিছিলা কেন।
--আমি সেমা দেখব ও দেখতে দিবে না তাই হাতে কামুড় মেড়েছিলাম তুমি গেট থেকে শড়ে যাও।
--ভাবী দাড়াও তুমি একটা ব্যাপার বুঝ ভাইয়া বলেছে ওই মেয়ে নাকী অনেক সুন্দর ভাইয়াকে ভালবাসে তুমি আগে ওই মেয়েকে দেখ তাড়পড় ভাইয়াকে ঝাড়ু দিয়ে মাড়বে।আমার ভাবীটা কত সুন্দর তোমার সাথে ওর তুলনা করে ভাইয়া ছি ছি।
--আমি ওই ছেমড়ী কে একটু দেখতে চাই চল তোমার বান্ধবীর বাসায় চল।
--এই তো লাইনে আসছে(মনে মনে)আরে তুমি জাননা আজকে ওই মেয়ের জম্নদিন তাই ভাইয়া আজকে ওখানে যাবে। তুমি ও যেতে পাড় তবে বাবাকে বলতে হবে তাহলে আমরা ৩ জন একসাথে যেতে পাড়ব।আর সাথে তুমি ওই মেয়েকে শায়েস্তা করতে পাড়বা।
--ঠিক আছে তাহলে চল বাবার কাছে।(বাবার কাছে গিয়ে)
--কী কিছু বলবা।(বাবা)
--বাবা আজকে ওর বান্ধবীর জম্নদিন আমি একটু যাব।(পিচ্চি)
--হা তো যাবে।(বাবা)
--কিন্তু ভাইয়া যাবে না তাই বলতিছে।(বোন)
--কে বলেছে যাবে না ওর বাপ যাবে ওর চৌদ্দ গুষ্টি যাবে।
--কিন্তু বাবা এতগুলো মানুষ কিভাবে যাব একটা বাস ভাড়া করেন।আর হে জানালার পাশের সিটটা আমায় দিয়েন আমার আবার বমি বমি ভাব লাগে খুব।(পিচ্চি)
--হি হি।(বোন)
--আরে আমি তো কথার কথা বলতেছি।তোমরা যাও পলাশকে আমি বলবো নি নাস্তা করার সময়।(বাবা)
--উয়াহু উম্নাহহহহহহ।(পিচ্চি)
বাবাকে কিস করলো।
--পাগলী মেয়ে।(বাবা)
আমি নিচ থেকে রুমে গেলাম আর গান গাইছি কারন আজকে অনেক ভাললাগাছে জীবনের সবচেয়ে সুখের রাত ছিল আজ।জীবনের সব চাওয়া আজ রাতে পৃীন হইছে। আহ কী আনন্দ।
--খুব খুশি না।(পিচ্চি)
--হুম গো খুব খুশি আজ আমি কিন্তু তুমি এমন গেমড়া মুখ করে বসে আছ।কিছু হয়েছে কী।(আমি)
--খুশু হওয়ারি কথা আজকে তোমার স্পেশাল একটা দিন।নেচে নাও আর গান গেয়ে নাও বেশি করে।
--আরে সোনা তুমি এমন রাগ করে আছ কেন বল তো বলেই বিছানায় গিয়ে বসবো ওমনি।
--এই উঠ সালা লুচ্চ বিছানা থেকে ওঠ তাড়াতাড়ি।না হলে কিন্তু কামুড় দিব।
--ওরে মা না এর আবার কি হল এমন করে রাগ করে আছে কেন।
এরমধ্যে নাস্তা করতে ডাক পড়লো সবাই মিলে নাস্তা করতে।
--আকাশ আজ একটু অফিস থেকে তাড়াতাড়ি ফিরবি।(বাবা)
--কেন বাবা।(আমি)
--আজকে পরীর এক বান্ধবীর জম্নদিন ওখানে যেতে হবে।(বাবা)
--ও ভ্যা ভ্যা।(পিচ্চি)
--কি হল তুমি আবার কাদছো কেন।(বাবা)
--শুধু ওর কথা বললেন কেন আমি যে যাব ওইটা কেন বললেন না।(পিচ্চি)
--ও যাবে মানে তুমিও যাবে।
--ওরে বাবা এখন আমি কী করি একদিকে এর জ্বালা আর একদিকে ওই রাক্ষসীর জ্বালা যদি যাই তাহলে এরা তো আমাকে পাউরুটির মত চা এর সাথে চিবিয়ে খাবে কি করি(মনে মনে)ইয়ে বাবা আজ আমার জরুরি একটা মিটিং আছে আজ বাসায় ফিরতেই লেট হবে ওখানে যাব কিভাবে।(আমি)
--আমার দিকে তাকিয়ে বলে দিব কিন্তু।(পিচ্চি)
--কী বলে দিবা হা।(আমি)
--ওই যে ওগুলো ফস্টিনষ্টির কথা।(পিচ্চি)
--ওমা এ কি রাতের কথা বলে দিবে নাকী।না না প্লিজ আস্তে আস্তে দুজনে বলছি।(আমি)
--তাহলে রাজী হয়ে যা না হলে কী করব আমি নিজেও জানিনা। এখন আর বাবাকে লাগবে না ঝাড়ু মেড়ে সোজা করে দিব।(পিচ্চি)
কী আর করবো রাজী হয়ে গেলাম।খেয়ে এসে রেডি হতে লাগলাম।পিচ্চিটা বাবুদের মতন হয়ে এক ধ্যানে বসে আছে।কী ব্যাপার তোমার কী মন খারাপ।
--না।(পিচ্চি)
--তাহলে মুখ গোমড়া করে ওভাবে বসে আছ কেন।আজকে কোন ড্রেস বাইরে রাখ নি আমার সাথে কথা বলছ না কেন কী হইছে(ওর পাগলামি আমিও মিস করছি তাই বলেই ফেললাম)
--বেশি কথা না বলে অফিসে যান মধু মতি আবার রাগ করবে।
--কী বললা মধুমতি আবার কে।
--সেইটা সময় হলেই বুঝতে পাড়বেন।
--ওকে ঠিক আছে।
বাইরে বিদায় নিয়ে অফিস দিকে রওনা দিলাম।আজ বোনটাও স্কুলে যাবে না সাথে পিচ্চি টাও রাগ করে আছে কেন খুব খারাপ লাগতে শুরু করলো।যাইহোক অফিসে এসে আনমনে কাজ করতে লাগলাম ভাল লাগছিল না।
--কী রে মন খারাপ কেন তোর।(কলিগ)
--বলিস না রে আজকে আমার কপালে দুঃখ আছে একটার জ্বালা সইতে পাড়ি না আর একটা আসছে এখন কী করব।(আমি)
--কেন কী হইছে বল তো।
--আরে ওই যে আমার বোনের বান্ধবী কী যেন নাম মীরা ওই মেয়ের আজকে জম্নদিন সাথে আমার যেতে হবে আমার বউ যাবে ওখানে।তুইতো জানিস ওই মেয়েটা কত রকম বেয়াদব না জানি কি ঘটে আজ।
--ওই মেয়েটা কথা বলছিস তোরে প্রফজ করে ওত পিচ্চি একটা মেয়ে।জানিস একদিন আমার সাথে দেখা হইছিল মার্কেটে বলে কি না আকাশ কে একটু জানিয়ে দিয়ো তো আমি ওকে ভালবাসি।আমি বলেছিলাম নাক টিপলে দুধ বেড় হবে এত সকালে প্রেমের কী বুঝ।ওরে ভাইয়ে আমার পায়ে হিলের বাড়ি মেড়েছিল আর বলেছিল।তোর মত পোলারে একাই গিলে ফেলবো কোথাও বাজবে না।বল কেমন ডা লাগে তখন।
--হা হা অবশ্য তোকে বলতে পাড়বে বউকে রবীন্দ্রনাথের সংগীত শুনাতে হয়।
--চুপ কর সালা কাজ কর।
--হুম তুইয়ো কর খালি কাজে ফাকি দিসনা।
কাজ করতে করতে দুপুর হয়ে গেল এম ডি স্যারের থেকে ছুটি নিয়ে রওনা দিলাম।আসার পথে আজ একটু বেশি করে চকলেট আর ফুচকা নিলাম যেন পিচ্চি টা বেশি খুশি হয়।বাসায় এসে বোনকে দিলাম একভাগ পিচ্চির জন্য আছে।উপরে গিয়ে দেখি রেডি হচ্ছে।ওয়াও আমি দড়জায় দাড়িয়ে আছি।একগুচ্ছ চুল ছেড়ে দিয়ে চুল আচড়ায়ছে এও সুন্দর লাগছে।
ইচ্ছে করছে পিছন থেকে গিয়ে জড়িয়ে চুলগুলো শড়িয়ে গলার একটা কিস করি।কপালে লাল টিপ লাল চুড়ি সাথে লাল শাড়ী ওমাই গড যেন আকাশ থেকে এক লাল পরী এসেছে আমার ঘড়ে।দড়জায় দাড়িয়ে আয়নাতে ওর মুখখানি খুব সুন্দর ভাবে দেখা যাচ্ছে।শুকনা চুলগুলো ছেড়ে দেওয়া অবস্থায় দুলছে।কি করব যাব কী পিছনের দৃশ্যটা তো আরো আকর্ষণ করছে।
!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
ভাইয়া ভাল গল্প ছিল বাকি টা দেন প্পিজ প্লিজ প্লিজ
Vai valo lage na porer porber jonno Bose ase 😍😄
কুব একটা ভালো না
তাড়াতাড়ি পরবর্তী অংশ দিবেন। এত দেরি করেন কেন
Siyam✌
আপনার গল্পে লুচ্ছা ৯ এবং ১১ পা ভালো লাগছে😘😚😚⭐