রোমান্টিক হুজুর (পর্ব ২)

অডিও মোড

00:00 00:00
গতি:
ভলিউম:
50 হাজার টাকার উপরে কাবিন করবো না। এই নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
তিন লাখ টাকার বিয়ে হলো, ব‌উ কে উঠিয়ে নিয়ে আসলাম। সবাই ব‌উ দেখে অনেক খুশি, কলেজে পড়ুয়া উচ্চশিক্ষিত সুন্দরী মেয়ে। তারপর বড়ো লোকের মেয়ে। দেখে সবাই বলে আমার নাকি রাজ কপাল নিয়ে জম্ম হয়েছে। সুন্দর করে সেজে গুজে বাসর ঘরে ঢুকলাম। হঠাৎ রিয়া ওয়াক ওয়াক করে উঠলো।নাক মুখ চেপে ধরে বললো- গা থেকে কিসের গন্ধ বের হচ্ছে। এখনি বের হয়ে যান আমার বমি আসতেছে।
আমি - আতর এর ঘ্রাণ,স‌ইতে পাড়েন না বুঝি।
রিয়া;-আতড়-ফাতড় ল‌ইয়া সরেণ আগে।

দূর কচু! মনটা খারাপ হয়ে গেল রাগে শরীর জ্বলে উঠলো।নির্উপায় হয়ে ঘর থেকে বের হয়ে গোসল করে আসলাম। এসে রুমে ঢুকে তাকিয়ে দেখি রিয়া চুড়ি-দুল ঘোমটা সব কিছু খুলে শুয়ে আছে।
রিয়া:- বললো অনেক বেশি গরম দেয়।ফ্যানের পাওয়ার ভারিয়ে দিন।
আমি:- নিজের পাওয়ার তো মোটেও নাই ফ্যানের পাওয়ার ঠিক করে লাভ কি?
রিয়া- কি বললেন?
মেহেদী- কিছু না, বাড়িয়ে দিতেছি তো।

খাটের উপর উঠতে চেঁচিয়ে বললো -
খবরদার কাছে আসতে চেষ্টা করবেন না।
আপনি এই ঘর থেকে বের হোন?
অবাক হয়ে বললাম -আজকে আমাদের বাসর রাত তুমি জানো?
রিয়া:- আমি আপনাকে স্বামী হিসেবে মানি না ।
আমি:- দেখুন আপনি না মানলেই তো হবে না। গোটা পৃথিবী জানে আমরা স্বামী-স্ত্রী।
বলে খাটে উঠলাম।
রিয়া চেঁচিয়ে বললো - তুই আমার থেকে দূরে হ ।হুজুর মানুষ আমার দুই চোখের বিষ,আমি হুজুর ঘৃণা করি।
প্রচন্ড রাগে মাথায় রক্ত উঠে গেল।রিয়ার হাত ধরে ধরে টেনে বললাম তুই ঘর থেকে বেড়িয়ে যা।
রিয়া এক ঝটকায় হাত সরিয়ে নিয়ে চেঁচিয়ে বললো- গায়ে হাত দিলে খারাপ হয়ে যাবে কিন্তু।
চিৎকার শুনে অনু চলে আসলো- কি হয়েছে ভাইয়া? বাসার রাতে কেউ এভাবে করে?সবাই শুনছে ঝগড়া ঝাটি করিস না।
আমি বললাম- ঠিক আছে তুই যা

আমি রিয়ার কাছে বসে বললাম দেখুন, ঝামেলা করলে সবাই খারাপ বলবে।
মান-সম্মান বলতে তো কিছু আছে। আজকের রাতটা না হয় কোন ভাবে কেটে যাক। কালকে থেকে ভিন্ন শুইবো ঠিক আছে।
রিয়া বলল- কি বলতে চান আপনি?
আমি:- মাঝখানে কোল বালিশ দিয়ে দিই, কথা দিলাম আপাকে ছূয়ে দেখবো না।
রিয়া:-ঠিক আছে

শুয়ে শুয়ে ভাবছি এটাই কি বিয়ে?এটাই বাসর রাত?
কত বছর ধরে এই রাতকে নিয়ে কল্পনা করেছি। কতো হাজারো স্বপ্ন এই বুকে বুনেছি।সব কিছু কি ভুল ছিল?
গতরাতেও স্বপ্ন দেখেছি একটা সুন্দরী মেয়ে,ঘোমটা দিয়ে বসে আছে। আমি ঘোমটা সরিয়ে পাগল হয়ে তাকিয়ে আছি।তার রুপের আলোয় আলোকিত হয়ে ছিল।
সে বলল- এভাবে তাকিয়ে আছেন কেন?
আমি:- সুবাহানাল্লাহ! তোমাকে দেখছি।
ব‌উ - এখন এতো দেখলে পড়ে কি দেখবেন?
আমি:-হাজার বছর তাকিয়ে থাকলেও মনে স্বাদ মিটবে না। কথা বলো না দেখতে দাও?
ব‌উ:- একটা হাসি দিয়ে বললো এভাবে বুঝি ব‌উকে দেখতে হয়?
আমি:- তোমার হাসিটা দেখলে মনে পৃথিবীতে এর চেয়ে বেশি তৃপ্তিদায়ক কিছু নেই। তুমি অনেক সুন্দর! চাঁদের চেয়েও বেশি সুন্দর তুমি।
ব‌উ:- লজ্জা রাঙ্গা মুখটি একটুখানি তুলে, আড়চোখে তাকিয়ে বলল আপনিও কিন্তু অনেক সুন্দর।
আমি:-তুমি জানো আমার জীবনে দেখা সবচেয়ে সুন্দরী মেয়েটা তুমি!। তুমি এই পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর গোলাপ।
ব‌উ:- এই গোলাপ টা আপনার ফুলদানিতে সারাটা জীবন রাখবেন তো?
আমি:- যদি সুন্দর গোলাপ টি এই ফুলদানি তে থাকে. মনে রেখো এটা ফুলদানির সৌভাগ্য। অনেক আদরে রাখবো, আঁচ লাগতে দিব না। আমি তোমার জন্য ঝিনুক হবো, তুমি মুক্তা হয়ে আমার হৃদয়ের আসনে বসে থেকো। আমি বাহিরে র শক্ত খোলস, তুমি ভিতরের কোমল। আমার শেষ নিঃশ্বাস থাকা পর্যন্ত কেউ তোমাকে ছুঁতে পাড়বে না।
ব‌উ:- সে সৌভাগ্য যেন হয় আমার ।
হঠাৎ একটা দিঘ্য নিঃশ্বাস ছেড়ে বললাম স্বপ্ন সত্যি অনেক সুন্দর হয়।

আবার ভাবছি এটাই কি আমার ভাগ্য? হুজুর বলে সবার মতো, একটা সুন্দর বাসর ঘরের স্বপ্ন দেখার অধিকার কি আমার নেই?এটা কেমন বিচার? সমাজের কেমন নিয়ম এটা? জোর করে বলে বিয়ে কর? রাতে ব‌উ বলে ঘর থেকে বলে বের হয়?এটাই কি সমাজ?এটাই বুঝি নিয়তি? কষ্টে চোখ থেকে দুই ফোঁটা জল বেরিয়ে পড়ল।
হঠাৎ রিয়া বললো- বাতি অফ করুন ঘুমাবো।
আমি- চোখটা মুছে,ঠিক আছে।আপনার কিছু লাগবে?
রিয়া- না
শুনুন রাতে উঠলে আমাকে ডাক দিবেন।আর কিছু লাগলে বা সমস্যা হলে বলবেন কিন্তু।
রিয়া:- আমার অনেক ক্ষুধা লাগছে, আইসক্রিম খাবো।
আমারো কিছু টা ক্ষুধা লাগছে। কিন্তু এতো রাতে আইসক্রিম কে দিবে।
আমি-দেখি পাই কি না,আপনি একটু অপেক্ষা করুন।

দরজায় এক ছোট ভাই দোকান দেয় সেখানে গিয়ে,রেজা বলে অনেক ডাকলাম লাভ হলো না। তাই কল দিয়ে বললাম দোকান খোল
রেজা দোকান খুলে বললো- ভাই এতো রাতে কেন?
আমি- অনেক ক্ষুধা লাগছে কিছু দে?
রেজা:- ভাই আপনি যে কেমন মানুষ আগে নিবেন না। বলে একটা কন্ডোম এর প্যাকেট দিল।
আমি রিয়ার কথা ভেবে কষ্ট হলো, সবার মতো বাসর রাতের ভাগ্য যে আমার নাই।কি বলবো বুঝতে পারছি না ‌।না, মানে, হয়। আরো কিছু লাগবে?
রেজা-আর কি?
আমি:- কেক আর কোকা কোলা দে, ভালো আইসক্রিম আছে?
রেজা:-কাপ ছাড়া নাই।
আমি -ঠিক আছে দে।

রুমে ঢুকবো তখন শুনি, রিয়া কার সাথে যেন মোবাইল করছে। রিয়া বলল- বেইমান তুই আর কখনো আমাকে ফোন করবি না।
না, আমি তোর কোন কথাই শুনতে চাই না।
তোর মতো পুরুষ মানুষ আমি ভালো করে চিনি।
আজ তোর জন্য একটা দাঁড়িওয়ালা হুজুর লোক কে বিয়ে করতে হয়েছে। জানি না কেন জানি কষ্ট অনুভব হচ্ছে। চোখের কোনে একটু জল জমে আছে। চোখটা মুছে একটা কাসি দিয়ে রুমে ঢুকলাম।

শুয়ে -শুয়ে ভাবছি এটাই বুঝি বিয়ে? যখন থেকে বুঝতে শিখেছি তখন থেকেই,কখনো কোন মেয়ের দিকে তাকাই নি। কতো ভাই,বন্ধুরা প্রেম করতো। সারাটা রাত, সারাটা দিন পাশে বসে ঘন্টার পর ঘন্টা গল্প করতো। কতো আদর, কতো কিস, কতো রোমান্টিকতা। দেখে দেখে খারাপ লাগতো নিজেকে শুধু একটা কথাই বলে বুঝ দিতাম যে "আমি তাদের থেকে ভালো মেয়ে পাইবো"
দিনের পর দিন, মাসের পর মাস, বছরের পর বছর। কতো বিরহ জ্বালা সহ্য করেছি। কষ্টে-কষ্টে দেহটাকে পুড়ে ছাই করেছি। নিজেকে শুধু বুঝিয়েছি যে, আমার স্ত্রী হবে তাকে কখনো ঠকাবো না। সম্পুর্ণ ভালোবাসা তাকেই দিব। সেই আমার সমস্ত আবেগ, অনুভূতি ভালোবাসা পাওয়া যগ্য। আমি যদি তার জন্য অপেক্ষা করি সেও আমার জন্য অপেক্ষা করবে। আজকে তার প্রতিদান খুব ভালো করে পেলাই। এতোটা বছরের সমস্ত স্বপ্ন, আশা সব কিছুই হৃদয়ে জমে থাকা কষ্টের সাথে মিশে বিদ্রোহ করছে। খুব কষ্ট হচ্ছে শুধু মন কে নতুন করে শান্তনা দিলাম। একদিন সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে।

মা আমি দুপুরে ঘরে খাবো না বলে চলে আসলাম। আজকে খান বাড়িতে দাওয়াত আছে। না গেলে তাদের শত্রু হতে হবে।তারা সুদ, পিলার,চোরাই স্বর্ণ, নারী পাচার সব কিছু করে। কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। ব্যবসা ভালো হলে গরিব আর হুজুর কে দাওয়াত দিবে। অবশ্য এই সমাজে ভিক্ষারী আর হুজুর কে এক ভাবেই দেখে। মসজিদে বড় দান তাদের তাই মসজিদ না শুধু সমাজে তাদের কথাই শেষ কথা। তাদের বিরুদ্ধে গেলে বাড়ি ঘর এমনকি জীবনটাও হারাতে হয়। মন্ত্রী পর্যন্ত তাদের হাত রাজনীতি করে। তাই তাদের নামে কোন মামলা থানায় নেয় না ।এরা সমাজ সেবক হিসেবে পুরস্কার পায়।

করিম গাজী সালাম দিয়ে বললো যাও কৈ মুন্সী?
আমি:-একটু খান বাড়িতে যাই
করিম গাজী:- দাওয়াত আছে বুঝি।
আমি -হুম, না গেলে দোষ হবে।
করিম গাজী:- সারা জীবন মানুষের বাড়িতে ফ্রি খেয়ে ভাল‌ই তো ভুরি বানাই ছো
আমি:-যাই একটু তাড়া আছে।
করিম:- আরে দাঁড়াও ফ্রি পাইলে সবাই ব্যস্ত হয়ে।
শোন হুজুর কত কাল আর মানুষের বাড়িতে খাবা। এতো খাইলে লোভ ভারে।
কিছুটা রেগে চলে আসলাম এই মানুষগুলো, নিজেকে কি মনে করে কে জানে। সারা জীবন মানুষের দোষ খুঁজে বেরায়। হুজুর বলে কি আমাদের মান-সম্মন থাকতে নেই?
প্রচন্ড রেগে একা একা বললাম তোকে মাটি দিতে আমাকেই লাগবে। কোন চেয়ারম্যান আসবে না তখন।

রাতে রকি রিয়া কে মোবাইল করলো-
রিয়া:- তুই ফোন করছো কেন?
রকি:-জান আমি ভুল করেছি। আমি তোকে ছাড়া বাঁচতে পারব না।প্লিজ তুই আমাকে মাফ করে দে
রিয়া:-যখন বলছি তখন মনে ছিল না।
রকি - আমার ভুল হয়ে গেছে।আর এমন হবে না।
বেবী আমার খুব কষ্ট হয়। আমি তোমাকে ছাড়া থাকতে পারি না
রিয়া:-চোখের জল ছেড়ে বললো আমিও তোমাকে ছাড়া বাঁচতে পারবো না। আমার খুব কষ্ট হয় তুমি আমাকে নিয়ে যাও।
রকি:-দুই মাস পর ঢাকা যাবো আমার একটা চাকরির ব্যবস্থা হয়ে গেছে। সাথে তোমাকে নিয়ে যাবো। ঠিক আছে আমি তোমার জন্য অপেক্ষা করবো।
আমি রুমে ঢুকবো তখন শুনি রিয়ার ফোন আলাপ।কাসি দিয়ে ঢুকলাম, রিয়া বললো -
আপনি কান পেতে কথা শুনছিলেন?
আমি- না, আসলে রুমে ঢুকবো তখন একটু শুনছি।
রিয়া:-চেচিয়ে বললো তোর কত বড় সাহস আমার কথা শুনিস।
রিয়ার উপর প্রচন্ড রাগ হলো ইচ্ছে করছে মেরে গাল লাল করে দিতে। আমি রেগে বললাম - এটা তোর বাবার ঘর না যে ইচ্ছে হলেই যখন যার সাথে কথা বলবি।
রিয়া - খুব রেগে বললো আমি তোর সাথে থাকবো না। তুই আমাকে এখন তালাক দিবি।
সবাই চলে আসলো রিয়া ইচ্ছে মতো তুই-তুকারি করছে। আমি খুব রেগে একটা চড় দিলাম।অনু আমাকে ধরলো,ও বিশ্রী ভাষায় গালি দিচ্ছে। আমি ঘর থেকে বেরিয়ে আসলাম।
হঠাৎ শ্বশুর ফোন করলো আমি অবাক হয়ে ভাবলাম মনে হয় রিয়া কিছু বলছে।
হ্যালো বাবা সালামু আলাইকুম?
শ্বশুর:-বড় জামাই ডুবাই থাকে আসবে তুমি রিয়া কে নিয়ে কালকে এসো কিন্তু?
আমি:-ঠিক আছে বাবা।
যাক কিছু বলেনি তাহলে বাঁচা গেল।

ব‌উ নিয়ে শ্বশুরবাড়ি গেলাম বড় ভায়রা এসেছে বিদেশ থেকে। ছোট হাতিনা/সামনের বারান্দায় খাটে শ্বশুর বসে আছে।সলাম দিয়ে বসলাম রিয়া ঘরে চলে গেল।কেউ আসলো না একটু পানিও কপালে নেই মনে হয়। প্রায় আধঘন্টা পরে রিমা শরবত নিয়ে আসলো। বলল- মেহেদী কেমন আছো তুমি?
আমি:-আপা ভালো আছি, আপনারা সবাই কেমন আছেন?
রিমা:- ভালো আছে।
হঠাৎ একটা লোক আসলো অনেক বড় লোক মনে হয়। রিমা বলল- এই তোমার ভায়রা ডুবাই ছিল পাঁচ বছর। অনিক তোমার ছোট ভায়রা মেহেদী।
অনিক:-এটা বলে হেসে দিল তো মুন্সী কি করেন?
আমি: একটা ক‌ওমি মাদ্রাসায় চাকরি করি।
রিমা বলল-তোমরা কথা বলো আমি ঘরে যাই।
অনিক:- কয় টাকা বেতন পাও? আমার শালির কিন্তু কসমেটিক এ মাসে দশ হাজার যায়।
আমি:- পাই মোটামুটি তাতে চলে।

বিকেলে আমাকে আর শ্বশুর কে বারান্দায় ক্ষেতে দিল। শ্বশুর বলল-বড় জামাই ঢাকা বাড়ি করছে। আমাদের বরগুনায় বাড়ি আছে। একটা হসপিটালে করছে। এখন আবার কি যেন করবে। আমার মেয়ে তো রানীর মতো থাকে,
এই সব কথা শুনে আর ক্ষেতে ইচ্ছা করছে না। অনেক কষ্টে কিছু খেয়ে উঠলাম ,সারা দিনে রিয়া একবার আসলো না। বিকেলে দোকানে বসে আছি কিছু ছেলে। আমাকে চিড়িয়াখানা প্রাণীর মতো দেখছে। উঠে রাস্তায় হাঁটতে আছি কিছু ছেলে বলল-আপনি কি রিয়ার স্বামী?
আমি:-হুম, আপনি কে?
রকি:-তোর মালটা কে জিগ্গেস করিস যে রকি কে?
অন্য একটি ছেলে বলল- আপনার ব‌উ নাকি অন্য কাউকে ভালোবাসে।
আমি:- আমি জানি না, আমি যাই।
চলে আসলাম লজ্জায় কষ্টে মরে যেতে ইচ্ছা করছে। অনেক বেশি রাগ হলো বাবার উপর এমন মেয়ে এনে দিল। সমাজে মুখ দেখাতে পারছি না। সবাই ব‌উ নিয়ে গর্ব করে সমাজে মাথা উঁচু করে বেঁচে থাকে।আর আমার ভাগ্য বলে একটা হাসি দিলাম।

এখানে আর থাকা যাবে না রিয়া কে বললাম। তৈরি হ‌ও বাড়ি যাবো, রিয়া বলল- আমি যাবো?
আমি- অবাক হয়ে কেন যাবে না
রিয়া:- ওই বাড়িতে আমি কখনো যাবো না । বলে চলে গেল। আমি বসে আছি রিমা এসে বলল- ও সবার সাথে থাকতে পারবে না। তুমি একটা বাসা রাখো না হলে এখানে থেকে যাও।
নির্উপায় হয়ে বাড়িতে আসলাম, সবাই বলে ব‌উ কোথায়?
আমি:- আসে নি?
সবাই? কেন?
আমি সে ভিন্ন বাসায় থাকবে, তোমাদের সাথে থাকবে না।
কিছু দিন পর বাবা বললো তুই মাদ্রাসার পাশে একটা বাসা রেখে থাক।ব‌উমা কে নিয়ে আয়।

নতুন বাসায় উঠলাম রিয়া বললো-আমি আপনার কাজ করতে পারবো না।জামা কাপড় সব নিজে ধুইতে হবে।
আমি:-ঠিক আছে।
আশায় আছি হয়তো রিয়া এক দিন ভালো হবে, আমাকে ভালোবাসবে।
কিন্তু রিয়া বললো আমাকে তালাক দিন।
আমি বললাম দেখুন এভাবে হঠাৎ করে হয় না। আমাকে মাত্র তিন মাস সময় দিন।
রিয়া কিছু বলনি বসে আছে, আমি মাদ্রাসায় গেলাম। প্রতিদিন রকির সাথে কথা বলতো, মাঝে বোর্ডিং এ দেখা করতো। একদিন শরীর অনেক খারাপ।তাই বাসায় এসে দেখি রিয়া নেই, আসছে বিকেলে সারা দিন আমি দরজা বসে আছি।

বললাম-কোথায় ছিলে?
রিয়া;- আমি কাউকে উত্তর দিতে বাধ্য নয়। আমার যেখানে ইচ্ছা যাবো।
রুমে ঢুকে কোন রকমে গোসল করে শুয়ে পড়লাম। ঘরে কোন খাবার নেই দুপুরে রান্না করেনি। জ্বারে হাঁটতে পারছি না তাই ক্ষুধা নেই শুয়ে পড়লাম। সারা রাত জ্বরে কাঁপছি ঘুম আসে অথচ রিয়া ফ্যান ছেড়ে শুয়ে আছে।বলছি ফ্যান টা বন্ধ করো। রিয়া কিছু না শোনার মতো ঘুমিয়ে পড়লো।ম্যাথায় প্রচন্ড ব্যথা গড়াগড়ি করছি।
রিয়া বলল-ঘুমাই দিবেন? আপনার সমস্যা হলে খাটের নিচে শুয়ে থাকুন।
কষ্টে চোখ দিয়ে অশ্রু পড়ছে ভাবছি এটা বুঝি বিয়ে। শেষ রাতে একটুখানি ঘুম হলো।

ভোরে শরীর কিছুটা ভালো ঔষুধ খেয়ে বসে ভাবি, এমন একটা স্বার্থপর মানুষের সাথে মিছে সংসার আর না। অনেক হয়েছে এভাবেই জীবন চলে।যে থাকতে চায় না তাকে ধরে রাখা যায় না।
হঠাৎ রকি ফোন দিল রিয়া উঠে দুরে যাবে।
আমি বললাম -কে ফোন করে?
রিয়া- আমার বয় ফ্রেন্ড?
কতো বড় সাহস রেগে আমার মাথায় রক্ত উঠে গেলো। বলল- কালকে ওর সাথে দেখা করছো?
রিয়া - আমার মনে চাইছে করছি।
একটা চড় দিয়ে বললাম - নেমক হারাম! আমার তা খেয়ে পড়ে।শোও বয়ফ্রেন্ড এর সাথে।
রিয়া চেঁচিয়ে বললো -আমি তোর তা কিছু চাই না?
তুই এখন তালাক দিবি।
আমি - বললাম এখনি তোকে তালাক দিব সমস্ত কাগজ গুছিয়ে আন।
অনেক বিশ্রী ভাষায় গালাগালি শুরু করলো।
সবাই ভিড় করে আছে হুজুরের ব‌উকে দেখছে।
আমি রাস্তায় চলে আসলাম।

রিয়া রকি কে ফোন করে দেখা করতে গেলে।
রকি কি হয়েছে এতো জরুরি ডাকলি কেন?
রিয়া:-তুমি কি আমাকে ভালোবাসো?
রকি:- হুম, অনেক ভালোবাসি। তোমাকে ছাড়া বাঁচতে পারবো না।
রিয়া -তুমি কি আমাকে বিয়ে করবে?
রকি:-তোমাকে তো বলছি আগামী মাসে বিয়ে করবো
রিয়া:-তুমি এখন,এই মুহূর্তে আমাকে বিয়ে করবে?
রকি:-কি বলো তোমার কি মাথা খারাপ?
রিয়া:-আমি এতো কিছু বুঝি না। তুমি এখন আমাকে বিয়ে করবে না হলে আমি আত্মহত্যা করব।
রকি:- আমি এখন বিয়ে করতে পারবো না। না মানে সম্ভব না।
রিয়া - কেন সম্ভব না?
রকি-আমার চাকরি নেই। আমি থাকি মামার বাসায়।
রিয়া:-তোমার কিছু লাগবে না। শুধু বিয়ে করো
রকি-ঠিক আছে আমাকে মাত্র দুই দিন সময় দেও
রিয়া:-আমার হাত এতো সময় নেই।
রকি:- আজকে দিনটা যাক ভোরে তোমাকে নিয়ে অনেক দূরে যাবো।
রিয়া:- ঠিক আছে। মনে রেখো আমি কিন্তু এখানে অপেক্ষা করবো ‌।

রিয়া ঘরে চলে আসলো কোন কথা বললো না। রান্না তাও করেনি। আমি বললাম-রান্না করবা না?
রিয়া- তোর রান্না তুই করবি?
এভাবে তুই তুকারি আমাকে খুব কষ্ট দিল। কথা না রান্না করতে গেলাম। হঠাৎ ফোন দিল শ্বশুর হ্যালো:- বাবা কেমন আছেন?
শ্বশুর:- তোমার এতো বড় সাহস হয় কিভাবে আমার মেয়ের গায়ে হাত দিও। তোমাকে ভাল ভাবছিলাম তুমি তো খুব খারাপ মানুষ।
আমি:-না বাবা, ভুল বুঝছেন।
শ্বশুর:-থামো মিঞা মুর্খের মতো ব‌উ মারো। তোমার তো লজ্জা থাকা উচিত।
শ্বশুরী ফোন নিয়ে অনেক কড়া কথা বললো -তার মেয়ের গায়ে হাত তোলা সাহস বন্ধ করতে হবে।
না হলে আমার খবর আছে।যাক ফোনটা কেটে দিয়ে বললাম:- মা বাবা কে ফোন করে সব কিছু বলছো। তাহলে কেন হাত তুলছি তা বলনি কেন?
বড় ভায়রা কল দিল -
আমি -কে ভায়রা?
ওপাশ থেকে -না আমি রিমা। তোমার খবর কি?
আমি - ভালো। আপনি কেমন আছেন?
রিমা:- তুমি রিয়ার গায়ে হাত দিসো কেন? ও অন্যায় করলে আমরা আছি তো।
আমি:- না, আসলে
রিমা:- শোন কাজটা ভালো করোনি। ভবিষ্যতে এমন হলে সমস্যা আছে কিন্তু।

ভোরে রিয়া খুব খুশি আজকে তার কলিজা,রকি চিরো দিনের জন্য তার হবে। এতটা বছরের স্বপ্ন পূরণ হবে আজকে।আর কেউ বাধা হতে পারবে না, সারাটা জীবন এক সাথে থাকতে পারবে।
রিয়া সেজে গুজে রকি জন্য অপেক্ষা করছে। ফোন বন্ধ হয়তো চার্জ নেই, অপেক্ষা করতে করতে।ভোর থেকে বিকাল হয়ে গেল রকি আসলো না।রিয়ার চিৎকার দিয়ে রকি বলে কান্না করছে। কোথায় রকি এভাবে ধোঁকা দিল, এতোটা বছরের সম্পর্ক এক দিনে শেষ। না,এ হতে পারে না। আমি কুকুরের বাচ্চাকে কখনো ক্ষমা করবো না। রিয়ার চিৎকারে সমস্ত রাস্তায় মানুষ দাঁড়িয়ে আছে।

আমি চিন্তায় আছি রিয়া কোথায় গেল। তাহলে কি সত্যি আমাকে ছেড়ে চলে গেল? ভাবতেই বুকের ভিতর টা চিন চিন করে ব্যথা করছে। রিয়ার সাথে থাকতে থাকতে কখন যেন তাকে ভালোবেসে ফেলেছি। আজকে বুঝলাম তাকে আমার প্রয়োজন। মনটা খারাপ হয়ে গেল।হঠাৎ পাশের বাসার রহমান ফোন করলো হ্যালো ভাই
আমি - কি খবর?
রহমান:-তারাতাড়ি আসুন ভাবী রাস্তায় বসে কান্না করছে?
আমি:-কি বলো? অন্য কাউকে দোখছো মনে হয়?
রহমান:-না আপনি তারাতাড়ি আসেন?
গিয়ে দেখি রিয়া বসে রকি বলে কান্না করছে।
আমি চলো সবাই দেখছে কিন্তু ও আসবে না। জোর করে নিয়ে আসলাম।

ভোরে ক্লাসে গেলাম হঠাৎ শুনি রিয়া অসুস্থ। এক দৌড়ে বাসায় এসে দেখি রিয়া হাত কেটে বেহুঁশ হয়ে পড়ে আছে। হসপিটালে নিয়ে গেলাম অনু কে ফোন করলাম।অনু রক্ত দিল তারপর বললো- কি হয়েছে?
আমি- তোর ভাবী তার প্রেমিকের জন্য আত্মহত্যা করতে চাইছে।
কথা টা শুনে অনু কি বলবে কিছু বুঝতে পারছে না
কত চেষ্টা করে এই মেয়েকে ভাইর সাথে বিয়ে দিছে। তাহলে কি ভাইর প্রতি সবাই অন্যায় করেছে। ভেবে অনুর কান্না পাচ্ছে। আমি বললাম- কাউকে বলিস না মা বাবা শুনলে কষ্ট পাবে।
অনু -ঠিক আছে।

বিকেলে বাসায় আসলাম,এক সপ্তাহ ছুটি আনছি।
কিছু রুটি আর ভাজি আনলাম বিকেলে জন্য।
রিয়া খাটের উপর বসে শুধু ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কান্না করছে। আমি পাশে বসে তাকিয়ে দেখি রিয়াকে, অনেক সুন্দরী, আপেলের মত গাল, লম্বা নাক,ভাসা ভাসা চোখ,চিকন লাভের মতো আর্ট করা রক্ত জবার মতো লাল টুকটুকে দুটি ঠোঁট।
কতটা কোমল আর মিষ্টি দেখতে, মনে হয় নিষ্পাপ ফুটন্ত একটা গোলাপ।কি অপূর্ব মায়াবী অথচ ওর রুপের আগুনে তীক্ষ্ণ ধাঁচ। একবার তাকালে সাথে সাথে হৃদয়ে হিট করে। মনে হয় তীব্র জোরে হৃদয়ে তীরের আঘাত লাগে।

বললাম - রিয়া রাত অনেক হয়েছে খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ো।
রিয়া:- আমি খাবো না।
রিয়ার হাতে ব্যান্ডেজ তাই ভাবলাম এই সুযোগে আমি খাইয়ে। যদি একটু ভাব ভালোবাসা হয়, তবে তো মন্দ নয়। রুটি মুখের কাছে নিয়ে বললাম - আর কেঁদো না এখন খেয়ে নাও?
রিয়া একটু জোরে বলল- আমি খাবো। আপনি আপনার কাজ যান।রাগ উঠে গেল এক হাতে মাথা ধরে, অন্য হাতে মুখে চেপে ধরে খাইয়ে দিলাম। চোখ রাঙিয়ে বললাম - তুই তো ভালো,তোর বাবায় খাইবে। নাটক অনেক করছো এখন খা।
রিয়া আমার দিকে তাকালো আর কিছু কিছু বলার আগেই চেপে ধরে খাইয়ে দিলাম। খাওয়া শেষ হলে ওষুধ খাইয়ে শুইয়ে দিলাম।

আমার চোখে ঘুম নেই খুব বেশি কষ্ট জীবন যুদ্ধে পরাজিত হয়ে গেছি। এমন একটা সময় ছিল যখন খারাপ মেয়েদের ঘৃণা করতাম।এমনকি যারা প্রেম করো তাদের রাস্তায় হাঁটতাম না।অথচ আমার স্ত্রী অন্য পুরুষের জন্য হাত কাটে। আমি এমন একটা খারাপ মেয়ের প্রেমে পড়ছি। যাকে দূরে সরিয়ে দিতে পারছি না। কাছেও নিতে পারছি না।

দুপুরে রান্না করে রিয়াকে গোসল করিয়ে,জামা কাপড় ধুয়ে দিলাম। সত্যি বলতে কি মনে হয় পৃথিবীতে সবচেয়ে খুশি মানুষ আমি। কারণ রিয়ার কে আমি নিজ হাতে খাইয়ে দিতে পারি,ওর জামা কাপড় ধুয়ে দিতে পারি।ওর সব কিছু করতে আমার খুব ভালো লাগে। দুপুরে খিচুড়ি পাক করে,ডিম ভাজি দিয়ে রিয়া কে খাইয়ে দিই।
রিয়া ভাবছে এই মানুষটি কে কতো খারাপ ব্যবহার করেছি। অসুস্থ হয়ে এখানে সারা রাত কেঁদেছে কিন্তু আমি তাকিয়ে দেখিনি।অথচ আমার জন্য কি না করে। আমাকে রক্ত দিয়ে, চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করছে। যাকে আমি দিনের পর দিন ঠকিয়ে আসছি,সেই মানুষটি নিজ হাতে আমাকে খাইয়ে দেয়। যার জন্য ঠকিয়েছি সে আমাকে ছেড়ে চলে গেল।আমার জন্য রান্না করে, আমার পোশাক ধুয়ে দেয়। আমি সত্যি অকৃতজ্ঞ, ভালোবাসে না পারি খারাপ ব্যবহার করা তো উচিত হয়নি। হঠাৎ রিয়ার চোখ থেকে দুই ফোঁটা অশ্রু গড়িয়ে পড়লো। আমি চোখ মুছে বললাম-তুমি আর কেঁদো না। তোমার ওই সুন্দর চোখে অশ্রু মানায় না।
রিয়া:-আমি খুব খারাপ মানুষ তাই না?
আমি:-না, তুমি খুব ভালো। কথা না বলে খাও।

আজকে পাঁচ দিন হয়ে গেল রিয়ার হাত অনেক ভালো। বলল- এখন থেকে আমি খাবো?
আমি:-তোমাকে খাইয়ে দিতে গিয়ে অভ্যাস হয়ে গেছে।আর দুই দিন না হয় খাইয়ে দিই তারপর তো ক্লাসে যাবো।
রিয়া:- না, আপনার হাতে
আমি:- কি আমার হাতে ? আমি কি মানুষ না? আমার হাত কি পাঁচা?
রিয়া:- তা নয়
আমি:-কোন কথা শুনতে চাই না মাত্র দুটি দিন তো

আজকে আপনি কি খেতে চান বলুন সব কিছু নিয়ে আসবো।
রিয়া -কিছু লাগবে না
আমি:-না বলুন? আইসক্রিম, ফুচকা?
রিয়া:- একটা আইসক্রিম
বাজার থেকে আইসক্রিম, ফুচকা, চকলেট,দধি এবং বিরানি নিয়ে আসলাম। রিয়া অনেক খুশি হয়ে খেয়েছে। রিয়া কে বললাম আপনি তৈরি হোন বাড়িতে যাবো।
রিয়া:- আপনি আমার বড় তুমি করে বলেই হবে। আপনি করে বলতে হবে না।
আচ্ছা তৈরি হোও।আর শোন তোমার মা, বাবা সবাই কিন্তু তোমার উপর রেগে আছে।কেউ কিছু বললে খারাপ ব্যবহার করো না কিন্তু।

বাড়িতে গেলে রিয়া মেহেদীর আদর,যন্ত, ভালোবাসা,মায়া ,মমতা সব কিছু তে রিয়া আস্তে আস্তে মুগ্ধ হয়ে গেল।সে মেহেদীর জন্য মায়া অনুভব করছে। চিন্তা করলো জীবনে যতো ভুল করেছে আর নয়।এই মানুষটি নিশ্বার্থ ভাবে ভালোবেসেছে। বিনিময়ে আমি কিছু দিতে পারিনি। অনেক অন্যয় করেছি এখন তার প্রশ্চিত্ত করার সময় হয়েছে। রিমা ফোন করলো -
রিয়া -হ্যালো আপু কেমন আছো তুমি?
রিমা:- রিমা আমি ভালো আছি। তুই কেমন আছো?
রিয়া:- ভালো আছি।দূলাভাই কেমন আছে?
রিমা:- কি বলবো আমার কপাল খারাপ। আমি বাসায় ছিলাম না, তোর দুলাভাই অন্য একটি মেয়ে নিয়ে ছিল।
রিয়া:-কি বলছো। তুমি জানো কিভাবে?
রিমা:-পাশের বাসায় ভাবী দেখছে। আমি বললাম- আমাকে মেরে বলছে সে যা ইচ্ছে তাই করবে। ভালো না লাগলে চলে যেতে বলছে।
রিয়া:- তুমি মাথা ঠান্ডা করো। আমি ভাইয়ার সাথে কথা বলে দেখি।
রিমা:- তোর কিছু বলতে হবে না। আমি লম্পট চরিত্রহীন নিয়ে থাকতে পারবো না
রিয়া আর কোন কথা বললো না,শুধু ভাবছে মেহেদী তো কখনো দূরে সরিয়ে দেয়নি।অথচ আমার বোন সেই স্বামীর সাথে থাকতে চায় না।যার সাথে এতো কাল রাত কাটিয়েছে।

রাতে রিয়া শুয়ে আছে, মেহেদী তাকিয়ে দেখছে।
রিয়া:- তাকিয়ে আছেন কেন কিছু বলবেন?
আমি:-তোমার চাঁদ মুখটা দেখছি
রিয়া:-কেন?
আমি:-বাহ রে যাকে ভালোবাসি তাকে বুঝি দেখবো না?
রিয়া:- ভালোবাসেন?
আমি:-আমার আশা ছিল একটা হাফেজা মেয়ে বিয়ে করার। কিন্তু বাবাকে খুশি করতে গিয়ে তোমাকে বিয়ে করতে হলো।
জীবনে কখনো মেয়েদের সাথে চলিনি। হঠাৎ তোমাকে কাছে পাওয়া, প্রথম দেখায় ভালো লাগে তোমায়। জানি না কখন যেন ভালোবেসে ফেলেছি। কিন্তু যেদিন তুমি চলে গেলে সেদিন বুঝলাম তুমি আমার কে? কতটা প্রয়োজন তোমাকে? কিন্তু দেখো কি ভাগ্য আমার তোমাকে বিয়ে করে পেলাম না‌। আর অন্য কেউ বিয়ে না কর‌ও তোমার হয়ে গেল। আমি জীবনে কখনো কিছুই পাইনি।
1.38K Views
11 Likes
2 Comments
4.5 Rating
Rate this: