আমার গ্রামে একসময় এক বৃদ্ধ মহিলা বাস করত। তার ছিল দুই পুত্র ও এক কন্যা সন্তান সে খুবই ভালো ছিল। কিন্তু তার স্বামী মারা যায়। কন্যা সন্তানকে বিয়ে দেওয়ার পর, বিয়ের পর এক মেয়ের সন্তানের জন্ম দেয় এবং তারা বিদেশে থাকতো। তার বড় ছেলে ও ছোট ছেলে বিদেশে কাজের জন্য চলে যায়
এবার গ্রামের মধ্যে বৃদ্ধ মহিলা একাই বাস করতো সেখানে না ছিল কোন পরিবার থাকলেও অনেক দূরে থাকতো। সে সব সময়ের মতো একলা বসবাস করত।
তার বাড়ির পাশে একটি ছিল বড় বটগাছ ।বটগাছটি ছিল খুবই বড় ও চওড়া-চওড়া পাতা। গাছটি ছিল একটু ভয়ঙ্কর মত যেন সেটি ছিল কত পুরনো একটি বটগাছ এবং সেখানে সবাই ছায়া নিতো। কেউ কেউ আবার দূর দেশে যাওয়ার পরে সেই বট গাছের নিচে বিশ্রাম করতো ।
কিছুদিন পরে বৃদ্ধ মহিলাটি মারা যায় এবং তার দুই সন্তান ও এক কন্যা সন্তান তাকে দেখতে আসে । কিন্তু তারা শেষ পর্যন্ত তার মায়ের সঙ্গে দেখা করতে পারল না তার মা মারা গেল।
কিছুদিন পরে তিন ভাই বোন আবার বিদেশের জন্য রওনা দেয় কিন্তু সেই বটগাছে বেড়ে ওঠে তার মায়ের আত্মা । কারণ তার মায়ের ঠিক সময় পড়ানো হয়নি তাই সে দোষ পেয়ে গেছে। এবং সে সেই বটগাছে বসবাস করে।
কয়েক কাল ধরে সে সেখানে ভালোভাবে বসবাস করে কিন্তু একসময় কিছু পাড়ার বখাটে দুষ্টু ছেলেরা এসে সেই গাছটির উপর ঝোলাঝুলি করে। বলতে হয় বট গাছের যে ঝুলন গুলো ছিল সেই ঝুলন গুলোই কিছু ছেলেরা ঝুলছিল এবং তারা খুবই মজা পাচ্ছিল। কিছু ছেলে সেখানেও ইস্যু করে ফেলে, এই দেখে বুড়ি মারতো খুবই রাগ হয় এবং সে চায় না এই বটগাছে আর কেউ থাকো। আর এখানে কেউ আনন্দ করো। কারণ সে কখনো আনন্দিত ছিল না এবং তাকে কেউ আনন্দে রাখত না। তাই তারও রাগ হয়।
কিন্তু বৃদ্ধ মহিলাটি ছিল খুবই ভালো প্রকৃতির তাই তাদেরকে ছেড়ে দেয় এবং দ্বিতীয়বার সুযোগ দেয়। কিছুদিন পরে সেই বকাটে ছেলেগুলি আমার দুপুরের বিকেলে আবার খেলতে আসে। আর তারা কিছু সঙ্গে ডাল -পাল ভেঙে দিয়ে যায়।
তাই তারা যখন গাছে উপরে উঠছিল তাদের কাউকে তো ফেলেই দেয় এবং ভয়ও দেখাতে থাকে। বলে তোরা এই গেছে কখনো আসবি না কারণ আমি এখানে খুবই ভালো থাকি। এবং তাদের কিছু কিছু ছেলে ঠ্যাং ধরে চারদিকে চাইচাই করে দূরের দিকে ফেলে দেয়।
এবং সবাই তো সেটিকে ভয়ংকর বটগাছে নামে পরিচিত হতে। সেখানে কেউ মনে তো আসতো না।
একদিন এক বাচ্চা ছেলে সেই বড় গাছের গোড়ায় খেলা করছিল এবং সে খুব ভালোভাবে বটগাছের সঙ্গে কথা বলছিলাম। এবং তাকে কিছু খাবার বানিয়ে দেয়। এবং আবার বাড়ি ফিরে যায়। বুড়িমার তার জন্য অনেকটা মায়াও হয়। সে আবার পরের দিন সেই বটগাছের গড়ায় খেলা করতে আসে। এবং যে প্রথমবারের মতো এবারেও বটগাছের সঙ্গে খেলা করতে লাগে।
সে ওই বুড়ি মাকে মা বলে ডাকত এবং সে সামনে এসে বুড়িমার সঙ্গে কথা কথা বলতে। এবং তারা খুব ভালোভাবে তাদের মধ্যে একটি বন্ধুত্বের পরিণত হয়।।
এভাবে গল্পটি শেষ হয়ে যায়।
ভয়ংকর বটগাছ
অডিও মোড
00:00
00:00
গতি:
ভলিউম:
825
Views
41
Likes
7
Comments
3.7
Rating