পিচ্চি মেয়ে ও রাগী ছেলের প্রেম

অডিও মোড

00:00 00:00
গতি:
ভলিউম:
ছোট্ট এক গ্রামে পরিবারের সঙ্গে বেড়ে ওঠে এক মেয়ে সে ছিল খুবই মিশুক প্রকৃতির। তার বাবা মা ও এক ভাই বোন ছিল । বড় মেয়েটির নাম ছিল সোনা ও ছোট বোনের নাম ছিল রুপা। আর ছোট্ট একটি ভাই ছিল যার নাম ছিল বাপন। এই পরিবারটি ছিল খুবই নম্র স্বভাবের। কখনো কারো সঙ্গে ঝামেলা করত না এবং ঝামেলায় জড়াতো না। কিন্তু একসময় খুবই অশান্তি মধ্য দিয়ে যেতে হয় তাদের বাবা-মাকে। কারণ বড় মেয়েটি ছিল খুবই ভদ্র এবং মিশুক প্রকৃতির।
বড় মেয়েটি ছোট থেকেই এক স্বাভাবিক স্কুলে বড় হয়েছে এবং সেখানেই লেখাপড়া করে। এক বড় স্কুলে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তি হয়েছে। যে স্কুলে তার বন্ধু-বান্ধবিকেউ ছিল না তার পাশে। আর এখানে বলে রাখি তার ছোট থেকে একটা ছেলের প্রতি তার বন্ধুত্ব ছিল কিন্তু সে কখনো তাকে বন্ধুত্বের কথা বলতে পারেনি। কারণ সে খুবই শান্ত প্রকৃতির ছিল। তাই তার বাবা মা তার ভালো পড়াশোনার জন্য বন্ধুত্বের কাছ থেকে আলাদা এক স্কুলে ভর্তি করায়, যেখানে তার কোন বন্ধু ছিল না বান্ধবী ও ছিল না
তার যেই পছন্দের যে বন্ধুটি ছিল সেও আলাদা এক স্কুলে ভর্তি হয়। এবং এখান থেকে দুজনের যাত্রা আলাদা হয়। মূলত ছেলেটির নাম ছিল রূপ। ছেলেটিকে দেখতে খুবই সুন্দর এবং রাগী প্রকৃতির সব সময় যেন তার ওপর কিছু রাগ প্রয়োগ করা হয়।
এক সময় তারা খুবই ভালো রেজাল্টও করে, কিন্তু পরবর্তী মেয়েটি যে স্কুলে ভর্তি ছিল সে স্কুলে সমস্ত স্টুডেন্ট খুবই অদ্ভুত ছিল। তাই তার বাবা মা সেই স্কুল থেকে বের করে নিয়ে আনে। আর তাকে তার বাকি বন্ধুরা যে স্কুলে ভর্তি হয়েছিল সেই স্কুলে তাকে ভর্তি করানো হয়।
এবং সেখানে সোনা গিয়ে খুবই খুশি হয়েছিল এবং ছোট ছোট খুনসুটি সকল বন্ধুদের সঙ্গে করে থাকতো। সেখানে তার কোন শত্রু ছিল না। সেখানে তার ছোটবেলার এক বান্ধবীর সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় ও তার সঙ্গে ভালোভাবে কথা বলে এবং ভালোভাবে বন্ধুত্ব হয়ে যায়,তাদের মধ্যে।
কিন্তু তখনও সেই স্কুলে রোগ ভর্তি হয়নি, আর রুপে রেজাল্ট খুবই ভাল ছিল। তাই তাকে এই স্কুলে ভর্তি করানো হয়নি। আর এই স্কুলে তেমন কোন সুশিক্ষা ছিল না।
কিন্তু এখন বলে রাখি সোনাকে কেমন দেখতে সুন্দরী ছিল না কিন্তু তার ব্যবহার তার আচরণ এক একটি ছেলেকে মুগ্ধ করে দিত। এবং সব ছেলে তার প্রতি মুগ্ধ হতে থাকে। এবং কিছু কিছু ছেলে তাকে প্রপোজও করে, কিন্তু সোনা ছিল খুবই কিউট ও নম্র মেয়ে আগে বলেছি, সে খুব সুন্দর করে সবাইকে না করে দিত আর সবাই তা ভালোভাবে মেনেও নিতো আর বন্ধুত্বের মতো ব্যবহার করত। কিন্তু সোনার এখনো সেই রূপের কথা সে কখনো ভুলতে পারেনি। এবং সে এখন ক্লাস টেনে পড়ে। রেজাল্টও ভালো করে এবং সে ডিসিশন নাই যে সে এবার রূপকে তার ব্যাপারে কথা বলবে। কিন্তু কিছুদিন পরে সে জানতে পারে যে রূপ সেই স্কুলে থাকা এক মেয়েকে ভালোবাসে তাই সে ভাবল তাকে ভুলে যাওয়ার কথা এবং সে পড়াশোনায় মন দেবে ভালোভাবে। কিন্তু রূপের বোন সোনার সঙ্গেই পড়তো ।
সোনাকে বলল যে তার দাদা এই স্কুলে ভর্তি হবে এবং ক্লাস ইলেভেন থেকে কারণ সে স্কুলের ফ্রিজ বেশি ছিল তাই তাকে এই স্কুলে ভর্তি করাবে। এতে সোনা খুবই আনন্দ পাই কিন্তু সে ভেতর থেকে খুবই কষ্ট পাচ্ছিল যেটা তাকে বলতে পারেনি। কিছুদিন বাদে তাদের মাধ্যমিকে রেজাল্ট আউট হয়ে যায়।
তার কিছুদিন পরে তার দাদা এই স্কুলে চলেও আসে। কিন্তু তার বিপদ আরো বাড়ে কারণ সে ছিল খুবই হ্যান্ডসাম তাই তার প্রতি সব মেয়েদের একটি ভালোবাসার জন্মায় এবং তাকে সবাই প্রপোজ করতেও থাকে কিন্তু সে সবাইকে রিজেক্ট করে দেয়। কারণ সে তো জানে ছোটবেলা থেকে তাকে সোনা ভালোবাসে সেও সোনাকে খুব ভালোবাসে তাই সবাইকে রিজেক্ট করে দেয়। কিছুদিন পরে ক্লাস শুরু হয় এবং ক্লাসের সবাই মিলে রূপের তার পাশে ঘিরে যায় এবং তার সঙ্গে সবাই কথা বলে। সেখানে সোনা দাঁড়িয়ে খুবই জেলাস ফিল করে। কারণ সে রূপকে খুব ভালোবাসে। আর তার পাশে কোন মেয়েকে দেখলে তার রাগ এমনিতেই হবে। সেটা যখন রুপের বোন বুঝতে পারলাম তখন সে তার দাদাকে আবার একবার বললেও শোনার কথা। এবং এখান থেকে তার বোনকে বলে যে সে কেন এই কথাটি তাকে সরাসরি বলছে না।
সোনা তাকে এবার সরাসরি গিয়ে প্রপোজ করে দেয় এবং বলে আমি তোমাকে ভালোবাসি।
তা আমাদের রূপ এক্সেপ্ট করে নায়।
শেষ পর্যন্ত তারা ভালোবাসা পেয়ে যায় এবং তারা খুবই খুশি হয় দুজনে এবং তাদের বাড়িতে বলে। যেহেতু দুজন খুবই পড়াশোনায় ভালো ছিল তাই তাদের বাড়ি থেকে মেনে নেয় এবং তাদের বিয়ে হয়ে যায় এইভাবে গল্পটি শেষ হয়ে যায়।
1.37K Views
15 Likes
4 Comments
4.1 Rating
Rate this: