জ্বিনের আছর (season 2) Episode 1

অডিও মোড

00:00 00:00
গতি:
ভলিউম:
৩ মাস পর,,,

আজ বহুদিন পর কাকা কাকি রাকিব সবাই মিলে বাহিরে জাবো। মনটা অনেক খুশি লাগছে।গত কয়েকদিন জাবৎ মনটা খারাপ ছিলো। আসলে ভালোবাসার মানুষকে কেউ যদি হারায় তাহলে যে হারায় সে বুঝে হারানোর বেদনাটা কেমন। জানি না কোনোদিনো তার দেখা পাব নাকি।কিন্তু এবার যদি দেখা পাই আর কোনোদিনো তাকে যেতে দিব না।

কিন্তু মানুষ বলে একজন জ্বিন এবং মানুষের ভালোবাসা নাকি সম্ভব না,,তাহলে আমাদের ভালোবাসা কি কেউ মেনে নিবে আদৌ?যাই হক এসব চিন্তা বাদ দেই কেননা তার কথা যত ভাবা পড়বে ততই মন খারাপ হবে। কিন্তু অইদিন আমি সত্যি সারফারাজের চোখে আমার জন্য সত্যিকারের ভালোবাসা দেখছি। কিন্তু সে যে শর্ত দিয়েছে তাও তো মানা সম্ভব না।

কিন্তু এখন বুঝেছি ওকে আমি কতটা ভালোবাসি। কিন্তু সে কি আবার আসবে আমার জীবনে? এসব ভাবতে ভাবতেই আমাদের ঘুরাঘুরি চলছিলো। এমন সময় কাকা বলে উঠেন,,,

- কি ব্যাপার মা? অনেক্ষন ধরে দেখছি তুই চুপচাপ। কিছু কি হয়েছে মা তোর?
- না কাকা কি হবে?
- সারফারাজের কথা মনে পড়ছে নাকি মা?
আমি চুপ করে থাকলাম কারণ এর কোনো উত্তর আমার কাছে এখন নেই। এমন সময় আবার কাকা বলে উঠেন,,
-দেখ মা তোর ভালোবাসা ঠিক, কিন্তু একটা জ্বিন ও মানুষের ভালোবাসা এই সমাজে কেউ মেনে নিবে না। কারণ এই সমাজ অনেক কঠোর। তুই আজকে যতই ভালোবাসস না কেন তোদের ভালোবাসা সম্পুর্ণ হতে দেবে না।তাছাড়া তুইও ভালোবাসলি কিন্তু ভুল মানুষকে। তাই ওর চিন্তা তোর মাথা থেকে বাদ দিয়ে দে।
-আচ্ছা কাকা।(মনটা খারাপ করে)

তাছাড়া কাকা যা বলেছেন ভুল বলেন নি। এই সমাজ কোনোদিনো আমাদের মানবে না।এসব কিছু ভাবতে ভাবতেই সারাদিন পার হয়ে যায়। তাই রাতে বাসায় যাওয়ার জন্য সবাই রওনা দিলাম। কিন্তু আলজার বিপদ শেষ হওয়ার পর ভুলেই গেসিলাম চা বাগানের কথা। তাই আজকে একটা বিপদ যেতে না যেতেই আরেকটা বিপদ এসে হাজির হলো আমাদের সবার সামনে।

আমরা যখন চা বাগানের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলাম হঠাৎ খুব জোরে বাতাস বইতে লাগলো। আকাশগুলো কেমন যেনো মেঘলা হয়ে জমে গিয়েছিলো। এমন সময় কাকি বলে উঠেন,,,,

-এত্তোক্ষন তো আকাশ ভালোই ছিলো। হঠাৎ আকাশের এই অবস্থা কেন?
-হয়তো খুব জোরে ঝড় নামবে আমরা খুব দ্রুত বাসায় যাই।তাই আমাদের জন্য ভালো হবে।
-এখনকার সিজন আসলেই বুঝার কোনো উপায় নেই রে মা। কখন বৃষ্টি কখন রোদ বুঝাই যায় না।
-হ্যা কাকি ঠিক বলছ।আবার পাশে চা বাগান।আমরা বরং তারাতাড়ি বাসায় যাই।

এই বলে আমরা তারাতাড়ি বাসার দিকে যেতে লাগলাম।বাসার দিকে যাওয়ার সময় এক ভয়ানক পরিস্থিতির স্বিকার হলাম আমি। চা বাগানের সামনে যত যাচ্ছি ততই আমার কেমন যেনো গা ভার হওয়া শুরু হলো। মনে হলো ১০০ জন ঘারে হাত রাখলে যেমন অসান্তি লাগে তেমন অশান্তি লাগা শুরু হলো আমার মধ্যে। আমি চেয়েও সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারছিলাম না। আমি বুঝে উঠতে পারছিনা যে আমার সাথে এসব আবার কি হচ্ছে।

আমার পা দুটো প্রচুর ভার হয়ে পড়ে। পা প্রচুর ব্যাথা করতে লাগছিলো। আমি কাকিকে বললাম,,,

কাকি আমার হাটতে প্রচুর কষ্ট হচ্ছে।

কিন্তু আজব ব্যাপার কাকি কোনো কথার উত্তর দিলেন না। উনি সামনের দিকেই হেটে যাচ্ছিলেন।আমি তাকে যত ডাকি উনি ততই সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন।আমার খুব অসহ্য লাগা শুরু হলো। শরীর ও লারাতে পারছিলাম না।

আমি যখন কাকিকে জুড়ে ডাক দিলাম অমনি কে যেনো পিছন দিক দিয়ে খুব জোড়ে আমাকে থাপ্পড় মারলো।
আমি সাথে সাথেই সেখানে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যাই।

চলবে,,,,,
810 Views
16 Likes
4 Comments
4.3 Rating
Rate this: