তারপর আকিব যা বলল আমার মাথা তো পুরাই হট হয়ে গেছে কারন,,,,,
মাহি নাকি পুরা কলেজে বলতেছে নাকি ওর বয়ফ্রেন্ড। ( আসলে আমার আর রিমির ব্যাপারে কলেজের কেউ ইই তেমন জানে না তাই মাহি এইসব বলতেছে। কিন্তু ও কেন এইসব বলতেছে কি লাভ ওর এইসব করে)
---- দোস্ত তুই যা বলছস তা কি সব সত্যি?
---- হুমমম রে বিশ্বাস কর আমিও প্রথমে ভাবতে পারি নাই কিন্তু যখন সবাইকে এই বিষয় নিয়ে জিজ্ঞেস করলাম সবাই ইই বলেছে যে মাহি নাকি ওদের বলেছে তুই নাকি মাহির বয়ফ্রেন্ড।
---- মাহি যদি এইসব বলে থাকে তাহলে ওর কপালে খুব দুঃখ আছে। কারন আমি রিমি কে ছাড়া আর কাউকেই ভালোবাসতে পারবো না। আর রিমি এইসব শুনলে খুবই কষ্ট পাবে।
---- হুম,,,, রে রিমি এইসব শুনলে খবই কষ্ট পাবে।
---- হুমমম,,,,,কাল মাহির একদিন আর আমার একদিন।
---- হুম।
---- আচ্ছা বাই।
এইবলে কল কেটে দিয়ে ভাবতে শুরু করলাম। কেন করতেছে মাহি এইসব। এইসব করে ওর লাভ কী। এইসব চিন্তা করতে করতে মাথা শেষ। তারপর ইই দেখলাম রাকিব ভাই কল দিল তাই রিসিব করলাম,,,
---- হেলো আরিফ তোমার কথা মোতাবেক ৮০% কাজ শেষ। বাকি কাজ টা এখন তোমাকে করতে হবে।
---- ওকে ভাই।
---- যেভাবেই হোক আমাদের Dark Queen কেউ ধরতেই হবে।
---- হুম ভাই। এখন যা করার আমি করব।
এই বলে কল কেটে দিয়ে সব চিন্তা মাথা থেকে ফেলে দিয়ে ল্যাপটপ নিয়ে কাজ শুরু করে দিলাম। এমন একটা টোপ বানাইতেছি Dark Queen বুজতেও পারবে না। অনেকক্ষন কাজ করার পর দেখলাম রিমি কল দিল,,,,,
---- হেলো আরিফ কি কর?
---- এইত কাজ করি। তুমি?
---- বসে আছি খাইছ?
---- না,,,, কাজ করতেছি। আজ মনে হই খাব না।
---- কি এমন কাজ করতেছ? এখনো সুস্থ হও নাই ঠিক করে,,,,, কাজে লেগে পরছ
---- আরে খুব দরকারি কাজ। যদি সময়ের মধ্যে কম্পলিট করতে না পারি তাহলে অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যাবে।
---- কি কাজ বলবা তো
---- কাল বলব। বাই
এইবলে রিমির মুখের ওপর কল কেটে দিলাম। জানি ও খুব রাগ করেছে কিন্তু আমাকে তো আমার কাজ করতেই হবে। তাই ওইসব ভাবা বাদ দিয়ে কাজের প্রতি মনোযোগ দিলাম। প্রায় রাত ২ টা বাজে কাজ শেষ হল। কাজ শেষ করে দিলাম একটা ঘুম। সকালে ঘুমাইতেছি হঠাৎ দেখলাম ফোনটা বেজে উঠল,,,,,
---- আরিফ তুমি কোথায়? অনেকটা ভারি কন্ঠে বলল,,,,,,
---- এইতো বাসায়। বল কি হয়েছে?
---- আরিফ তুমি তাড়াতাড়ি কলেজে আসো। কলেজের সবাই আমাকে নিয়ে হাসাহাসি করতেছে। ( এই কথা শুনার পর তো মাথা তো প্রচুর হট হয়ে গেলা।)
---- রিমি তুমি একটু ওয়েট কর। আমি আসতেছি।
এই বলে কল কেটে দিয়ে ফ্রেশ হয়ে দিলাম কলেজের দিকে দৌড়। কলেজে গিয়ে দেখি রিমি কলেজের একটা কোনে দাড়িয়ে আছে তাই সরাসরি তার দিকে গেলাম। কাছে গিয়ে দেখি রিমি মন খারাপ করে বসে আছে । তাই ওর কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করলাম,,,,,,
---- রিমি তোমার কি হয়েছে মন খারাপ কেন?
---- তারপর রিমি ডাইরেক্ট আমাকে ধরে কান্না শুরু করল।
---- আরে রিমি কি হল বলবা তো।
তারপর রিমি বলল তাকে নাকি অনেক অপমান করেছে মাহি ও তার বান্ধবীরা। এই শুনে আমার মাথা তো পুরাই বিগড়ে গেল,,,,,,
---- মাহিদের এত বড় সাহস কিভাবে হয় যে তোমাকে অপমান করে?
---- আমি নাকি তোমার যোগ্য না। তোমার পাশে দাড়ানোর আমার নাকি কোনো যোগ্যতা নাই। আরও অনেক কথা বলল
---- তুমি কিছু বলতে পার নাই। অন্য সময় তো অনেক ঝগড়া কর।
---- আমি একা আর ওরা অনেকে। আমি ওদের যা বলি ওরা আমাকে তার ৩ গুন বেশি বলে।
---- ওকে চল মাহির কাছে।
এইবলে রিমি কে নিয়ে কলেজ খুজলাম কিন্তু পেলাম না। তখন কেউ একজন বলল মাহি নাকি কলেজ ক্যান্টিনে। তাই তাড়াতাড়ি কলেজ ক্যান্টিনে গেলাম। গিয়ে দেখি মাহি আর তার বান্ধবীরা হাসাহাসি করতেছে। আমি সরাসরি মাহির কাছে গেলাম,,,,,,
---- এই যে মিস মাহি আপনার প্রবলেম টা কোথায়?
---- আমার আবার কিসের প্রবেলম?
---- আপনি আজ রিমিকে কি বলছেন?
---- কই তেমন কিছুই তো বলি নাই। শুধু এইটুকুই বলছি যে ওর কোনো যোগ্যতাই নাই তোমার পাশে দাড়ানোর। তুমি আমার মত কাউকে ডিসার্ব কর। রিমির মত কাউকে না।
---- জাস্ট সাট ইউর মাউথ। আপনার সাহস কি করে হয় রিমি কে এইসব বলার। আপনি কে রিমি কে এইসব বলার? নিজের চরকায় তেল দিন।
---- আরিফ সত্যি বলতে কি আমি তোমাকে ভালোবেসে ফেলেছি৷ তোমার স্টাইল,,,,তোমার এটিটিউড সব কিছুর ওপর আমি ফিদা। প্লিজ রিমি কে ছেড়ে দিয়ে আমায় এক্সেপ্ট করে নাও।
----- হাহাহাহা,,,,আপনি আর ভালোবাসা সত্যি হাসালেন। আপনি ভালোবাসেন আমার টাকাকে৷ আর রিমি ভালোবাসে আমাকে। আর আমি যখন কলেজে নরমাল কাপড় পড়ে আসতাম আপনি ইই তো আমায় বেশি অপমান করেছেন। তখন শুধু রিমিইইই আমার পাশে ছিল।
---- প্লিজ আরিফ। আগের সব কথা ভুলে যাও। আমাকে প্লিজ এক্সেপ্ট করে নাও।
---- না। এটা পসিবল না। আমি শুধু একজনকেই ভালোবাসি। আর সে হল রিমি। আর কাউকেই না।
----- ওকে,,,,,,সোজা আঙ্গুলে ঘি না উঠলে আঙ্গুলে বেকাতে হয়। আমিও দেখব রিমি কিভাবে তোমার হয়। দরকার হলে ওরে আমি দুনিয়া থেকেই সরাই দিব।
মাথা তো পুরাই হট হয়ে গেল। তাই দিলাম কষিয়ে একটা থাপ্পড়। এক থাপ্পড়ে প্রায় ২/৩ হাত দূরে গিয়ে পড়ল মাহি। আর ক্যান্টিনের সবাই আমাদের দিকে তাকিয়ে ছিল। তারপর মাহিকে বললাম,,,,,,
---- তুই যদি রিমির কোনো ক্ষতি করস তাহলে আমার থেকে খারাপ কেউ হবে না।
এইবলে রিমির হাত ধরে সোজা বাড়ি চলে আসলাম।
---- আরিফ তুমি কেন এমন করলে মাহির সাথে? আর আমায় কোথায় নিয়ে যাচ্ছ?
---- তো কি করব। ও আমার সামনে তোমাকে অপমান করবে আর আমি চুপচাপ দেখব। দেখ মাথা গরম আছে উল্টাপাল্টা কিছু বলিও না।
---- ওকে।
অন্যদিকে,,,,,
----- মাহি দেখলি আরিফ তোরে সবার সামনে থাপ্পড় মারল। তাও ওই রিমির জন্য।
---- হুম রে নীলা । এখন আমি যে কতটা ভয়ংকর হতে পারি তা আরিফ দেখবে। রিমিকে আমি ওর থেকে চিরকালের মত দূরে সড়িয়ে দিব। ওই রিমির জন্যই তো আজ আরিফ আমার গায়ে হাত তুলল। এর ফল অনেক ভয়ংকর হবে।
---- কি করবি রে তুই?
---- এমন ব্যবস্থা করব যাতে রিমি আর কখনোই আরিফ এর কাছে না আসতে পারে। সরে যায় চিরকালের মত। শুন আমার মাথা এখন অনেক গরম আছে। বাসায় গেলাম আমি।
অপরদিকে,,,,,,
আমি আর রিমি আমার বাসায় চলে আসলাম।
---- এইটা কার বাড়ি আরিফ?
---- আমার বাড়ি।
---- তুমি আমায় কেন তোমার বাড়িতে নিয়ে আসলে?
---- কাজ আছে চলো। এই বলে রিমিকে বাড়ির ভিতরে নিয়ে গেলাম।
আম্মু আম্মু কোথায় তুমি দেখ কে এসেছে,,,,,,,,
---- কি রে ষাড়ের মত চিল্লাইতেছস কেন? আর কে আসলো ? ( এই কথা বলে আম্মু রান্নাঘর থেকে বেড়িয়ে আসল)
----- আম্মু দেখ কাকে নিয়ে এসেছি৷
----- আসসালামু আলাইকুম আন্টি কেমন আছেন।
----- ওয়ালাইকুম আসসালাম। আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আস আস বস এখানে। (এইবলে আম্মু রিমিকে সোফায় বসিয়ে দিল আর রিমির পাশে বসে পড়ল)। তা মা বল কেমন আছ?
----- আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি আন্টি।
---- আরিফ এর আব্বু তো বলতেছিল কাল ইই তোমাদের বাড়ি যাবে। তোমাদের বিয়ের ব্যাপারে কথা বলতে।
---- ওহহ। আংকেল কেমন আছেন?
---- জিহহহ আলহামদুলিল্লাহ সেও ভালো আছে। শুন আজ দুপুরে কিন্তু খেয়ে যাবে আমি কিন্তু রান্না করতেছি।
----- না না আন্টি। আজ না অন্যদিন।
---- বড়দের কথা শুনতে হয়। এই বলে আম্মু চলে গেল।
তারপর রিমি বলল,,,,,,
----- আরিফ তোমার রুম কোথায়?
---- ওইতো ওপরে। (এই বলে রিমিকে আমার রুমে নিয়ে এলাম। রিমি আমার রুম টা ঘুরে ঘুরে দেখতেছিল।)
----- আচ্ছা রিমি শুনো। তুমি এখানে একটু বসো। আমি একটা ভিডিও করব। এই বলে রিমি কে বসিয়ে দিলাম আর আমি ভিডিও তে বলতে শুরু করলাম,,,,,,,,
----আচ্ছা রিমি শুনো। তুমি এখানে একটু বসো। আমি একটা ভিডিও করব। এই বলে রিমি কে বসিয়ে দিলাম আর আমি ভিডিও তে বলতে শুরু করলাম,,,,,,
আসসালামু আলাইকুম। আজকের এই ভিডিও টি Dark Queen কে নিয়ে। আপনারা সবার হইত ধারনা আছে যে কে এই Dark Queen। সে বাংলাদেশের একজন হ্যাকার। আর বাংলাদেশকে বিভিন্ন ভাবে ক্ষতি করার চেষ্টা করছে এই Dark Queen। কিন্তু সে ভুলে গেছে যে বাপেরও বাপ আছে। সে কিছুদিন আগে বাংলাদেশ স্পেস রিসার্চ অরগানাইজেশান কে হ্যাক করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু সফল হয়েও হতে পারেনি। মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যে এই সার্ভার কে আমি ফিরিয়ে আনতে সফল হয়েছি। কিন্তু সেখানে Dark Queen ছোট একটা ভুল করে ফেলেছে। সেখানে সে তার কিছু তথ্য ভুলবসত রেখে যায়। আর সেই তথ্যকে পর্যালোচনা করে আমরা Dark Queen পর্যন্ত পৌছাতে পেরেছি। কিন্তু সে এই ব্যাপারে একদম ইই জানে না। আগামীকাল সকাল ১০ টায় বাংলাদেশ হ্যাকার এক্সপোজ নামের এই ওয়েবসাইটে Dark Queen কে দুনিয়ার সামনে আনা হবে এবং এই ওয়েবসাইটে Dark Queen এর সকল তথ্য রয়েছে। আর Dark Queen এর নামে সাইবার অপরাধের জন্য এরেস্টও করা হবে। আগামীকাল সারা দেশ বাসী Dark Queen কে দেখতে পাবে ধন্যবাদ।
এই বলে ভিডিও শেষ করে দিলাম। আর রিমি আমার দিকে একনজরে চেয়েছিল।
---- আচ্ছা আরিফ তুমি কি সত্যি সত্যি Dark Queen কে ধরতে পেরেছ? না সব মিথ্যা বলছ।
---- না সত্যি সত্যি,,,, আমাদের টিম Dark Queen কে পেয়ে গেছে। এবং কাল সকালেই তাকে দুনিয়ার সামনে দেখানো হবে। ( মিথ্যা বললাম কারন এখন সত্যিটা কাউকেই বলা যাবে না।)
---- ওহহহহ,,,,,,আচ্ছা Dark Queen এর কি কোনো ছবি আছে তোমার কাছে? থাকলে দেখাও না প্লিজ প্লিজ।
---- না রিমি এখন কাউকেই দেখানো যাবে না। তোমাকেও না। সরি।
---- আরিফফ প্লিজ প্লিজ,,,,,,দেখাও না একটু। আমি দেখলে তো আর কাউকে বলব না প্লিজ প্লিজ।
---- রিমি তোমায় একবার বললাম তো দেখানো যাবে না। তার মানে না। ( একটু ধমকিয়ে বললাম)
---- আচ্ছা লাগবে না দেখানো। আমি নিজেই দেখে নিব।
এইবলে আমার ঘর থেকে বেরিয়ে রিমি রান্নাঘরে আম্মুর কাছে চলে গেল। আর রিমির শেষের কথাটা আমায় বেশি ভাবাচ্ছে। ও কিভাবে দেখবে?
অন্যদিকে,,,,,,,
---পাপা পাপা তুমি কোথায়।
---- হ্যাঁরে মা বল। চেচাচ্ছিস কেন?
---- পাপা জানো আজ কলেজে অনেক বড় ঘটনা ঘটে গেছে ৷ তোমার মেয়েকে আজ অনেক অপমান করেছে।
---- কি বলছিস কি? কার এত বড় সাহস যে আমার মেয়েকে অপমান করে?
---- পাপা অপমান না আমার গায়ে হাত ও তুলেছে।
---- কিইইইইই,,,,,,তোর গায়ে কে হাত তুলেছে তুই শুধু একবার নামটা বল তাকে এই দুনিয়া থেকে চিরতরে সরিয়ে দেব।
---- আব্বু,,,,, তুমি আমার বন্ধু রিমি কে চিন না?
---- হ্যাঁ চিনি তো। তোরা তো অনেক ভালো বন্ধু।
---- না আব্বু ও আমার বন্ধু না আমার শত্রু। আজ ওর জন্য আরিফ আমার গায়ে হাত তুলেছে।
---- মানেইইইই,,,,,কি হয়েছে ব্যাপার টা আমায় একটু বল তো।
---- আব্বু আমি আরিফ কে অনেক বেশি ভালোবাসি। আর ওই রিমি আমার থেকে আমার ভালোবাসাকে চিরতরে নিয়ে চলে গেছে। রিমি আরিফকে ওর ভালোবাসার জালে ফাসিয়ে নিয়ে গেছে। আর আজ ওই এই রিমির জন্যই আজ আরিফ আমার গায়ে সবার সামনে হাত তুলেছে অপমান ও করেছে।
---- কি বলছিস কি তুই এইসব?
---- হ্যাঁ আব্বু আমি যা বলছি একদম সত্যি বলছি। আরিফকে খুব ভালোবাসি আর আমি আরিফকে ই চাই
---- মামনি আমার কথা বুজার চেষ্টা কর,,,,,,আরিফ চৌধুরি অনেক পাওয়ারফুল একজন মানুষ। তার একটা ধমকে এই দেশের চিফ মিনিস্টার ও থরথর করে কাপে। আর আমার মত লোককে মুহূর্তের মধ্যে সরিয়ে দিতে পারে আরিফ চৌধুরি।
---- পাপা আমি কিছু জানি না। আমি আরিফ কে চাই ইই চাই। ওকে যদি না পাই তাহলে আমি নিজেকে শেষ করে দিব বলে দিলাম।
---- মামনি তুই নিজের ক্ষতি করিস না। আমি কাল ইই চৌধুরি হাউস যাব তোদের বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে।
---- না পাপা আরিফ রাজি হবে না। আরিফ কে রিমি ওর প্রেমের জালে পুরোপুরি অন্ধ করে ফেলেছে।
---- তাহলে কি করার???
---- পাপা আমার কাছে একটা প্ল্যান আছে শুন। ( প্ল্যান টা কি তা গল্পের মধ্যেই যেনে যাবেন।)
---- কিন্তু মামনি এইটা তো অনেক ঝুঁকিপূর্ন কাজ। আর একবার কিছু ভুল হয়ে গেলে আমাদের কি হবে সেটা কল্পনাও করতে পারবি না।
---- না পাপা কিছুই হবে না। তুমি আমার ওপর বিশ্বাস রাখ। তুমি আজ ইই তোমার লোকদের বলে কাজ টা করে ফেল।
---- আচ্ছা।
অপরদিকে,,,,,,
আমি রিমির শেষ কথাটা ভাবতে ভাবতে হঠাৎ ভিডিও দিকে দেখলাম মাত্র কিছুখনের মধ্যেই 125k views লাইক,,,,কমেন্ট আর শেয়ার তো আছেই। নিশ্চয়ই Dark Queen আমার এই ভিডিও দেখেছে। তারপর আরও কিছুক্ষন কিছু কাজ করার পর আম্মু ডাক দিল খেতে যেতে। টেবিলে গিয়ে আমি অবাক কারন আজ আমার ফেবারিট খাবার সব রান্না করেছে।
---- আম্মু এইগুলো কে রান্না করেছে?
---- রিমি নিজের হাতে করল সব
---- কিন্তু ও তো রান্না পারে না।
---- হুম পারে না তো। আমি সব বলে দিলাম আর রিমি রান্না করল।
---- ওহহহ আচ্ছা।
তারপর আব্বু ও চলে আসল। আমরা ৪ জন অনেক মজা করে দুপুরের খাবার টা খেলাম। আমি ভাবতে পারি নাই যে রিমি আমার পরিবার এর সাথে এত সহজে এত ফ্রী হয়ে যাবে। খাওয়া শেষে,,,,,,
---- আচ্ছা আন্টি আজ তাহলে আমি আসি। ভাইয়া আবার অনেক টেনশনে করবে।
---- আচ্ছা ঠিক আছে। ভালো থেকো। এই আরিফ যা রিমি কে ওর বাড়িতে দিয়ে আই।
---- আচ্ছা আম্মু। আমি গাড়ি বের করতেছি তাইলে
---- না না আরিফ,,,,গাড়ি বের করা লাগবে না আমি একা যেতে পারব সমস্যা হবে না।
---- কি বলছ তুমি একা যাবে কেন? আরিফ তোমাকে দিয়ে আসবে। এই আরিফ যা গাড়ি বের করে রিমি কে বাড়ি পৌছে দে।( আমাকে ধমকিয়ে বলল আম্মু এইসব)
---- না না আন্টি। সত্যি ই আমি যেতে পারব। বিশ্বাষ করুন।
---- আচ্ছা,,,,, ঠিক আছে।
---- আচ্ছা আন্টি যাই কেমন। আল্লাহ হাফেজ
---- তুমিও ভালো থেকো আল্লাহ হাফেজ।
এইবলে রিমি চলে গেল। আর অবাক করার বিষয় হল যে যাওয়ার সময় একটুও আমার সাথে কথা বলে নাই। মনে হই ওই সময়ের কথায় রাগ করেছে। কিন্তু আমারো তো কিছু করার নাই। আমারো তো হাত পা বাধা। কিন্তু আমার সব থেকে বেশি ভাবাচ্ছে রিমির শেষের কথা। এই কথা ভাবতে ভাবতে আমি আমার রুমে এসে ল্যাপটপে একটু কাজ করতেছিলাম। বেশ কিছুক্ষন পরে দেখলাম আমার ল্যাপটপে একটি লাল বাত ধরছে। মানে নিশ্চয়ই ইই কেউ আমার ওয়েবসাইট টি হ্যাক করার চেষ্টা করছে। তাই দেরি না করে দ্রুত ওয়েবসাইটের সিকিউরিটি সিস্টেমে গিয়ে চেক করলাম যে কারা আমার ওয়েব সাইট হ্যাক করার চেষ্টা করতেছে। দেখলাম ২ টা লোকেশন থেকে হ্যাক এর জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে। অবাক করার বিষয় হল একটি লোকেশন রিমি দের এরিয়া থেকে আসছে আরেকটি আসছে শহর থেকে একটু দূরে গ্রাম থেকে। তারপর হঠাৎ ইই আমার ফোনে একটি কল আসে আর আমার দুনিয়া দারী মনে হই উল্টে গেল কারন,,,,,,,,,,,,,
চলবে....
পরবর্তী পর্বের জন্য একটু অপেক্ষা করুন, প্লিজ।