জ্বিনের আছর (Season 1) Episode 8

অডিও মোড

00:00 00:00
গতি:
ভলিউম:
আমি পাশে ফিরে ছেলেকে যেতে বলব তার আগেই ছেলেটা কোথায় যেনো চলে গেলো।
এমন সময় কাকি দুধ হাতে ভিতরে প্রবেশ করেন।
-কিরে মায়া কার সাথে কথা বলছিলি?কেউ কি ছিলো নাকি ঘরে?
-না কাকি কে থাকবে আমি কারো সাথেই কথা বলছিলাম না।
-তাহলে আমি যে তোর কথার আওয়াজ শুনলাম।
-না কাকি এরকম কিছুই না।দাও দুধ দাও দুধ খাই।(মনে মনে অনেক ভয় পেয়েছিলাম)
এমন সময় কাকি তার কাজে আবার চলে গেলেন।আমিও ভাবতে লাগলাম ছেলেটা এত্ত তারাতাড়ি কোথায় চলে গেলো। এমন সময় আমি জানালার পাশে গিয়ে দেখি ছেলেটা জানালার নিচে ঝুলে আছে।দেখে অনেকটা হাসি পেল। এমন সময় ছেলে বলে উঠে খালি কি হাসবেন নাকি আমাকে উপরে তুলবেন।আমি তারপর দরজা আবার বন্ধ করে ছেলেটাকে উপরে উঠালাম।
-আচ্চা এবার আপনি যান।কাকি আবার এসে যদি দেখে আমাদের তাহলে অনেক সমস্যা হবে।
-আপনি যেভাবে বলছেন মনে হচ্ছে আমরা প্রেম করছি।
-যাই হক জান আপনি। জানেন আমি তো আরো ভাবছে আপনি এত্ত তারাতাড়ি কোথায় চলে গেলেন।
-আমি কি কোন জিন ভূত নাকি এত তাড়াতাড়ি চলে যাব। এটা কোন মানুষের পক্ষেই সম্ভব না।
-হইছে আর জ্ঞান দিতে হবে না। আমি জানি আপনি জিন বা ভূত কিছুই নয় এবার যান আপনি। এখন কেউ দেখলে আবার অনেক বড় সমস্যা হবে।
-আচ্ছা ঠিক আছে যাচ্ছি কিন্তু আমি আবার আসবো প্রতিদিন আসবো কথাটা মাথায় রাখবেন। যেতে যেতে একটা কথা বলি?
-বলেন।
-আপনাকে আজ অনেক সুন্দর লাগছে।
-হইছে আর চাপা মারা লাগবেনা জান আপনি।
এটা বলার সাথে সাথে ছেলেটা চলে গেল।মনের মধ্যে খারাপ লাগছে ছেলেটা যাওয়ার পরে থেকে। আমি ভাবতে লাগলাম আমি কি ছেলেকে ভালবেসে ফেলেছি। না এটা সম্ভব না ও শুধু আমার ফ্রেন্ড আর কিছুই না। কিন্তু কিছুতেই মন কে বুঝাতে পারছিলাম না। মন চাচ্ছিলো আবার ছেলেকে ডাক দেই।
এমন সময় এক ছায়ার মত জিনিস আবার আমার চোখের সামনে চলে আসলো। কিন্তু আমার এবার ভয় করছিল না। আমি খুব সাহসিকতার সাথে জিজ্ঞেস করলাম,,,,
-কে তুমি আর তুমি আমার থেকে কি চাও?
-কিছুই না শুধু তোর মৃত্যু চাই।
-কিন্তু কেন কি করেছি আমি? তোমার নাম কি তুমি আমার পিছুনেই কেন লেগে আছো?
তারপর হঠাৎ কি হলো বুঝতে পারলাম না আমি আবার চা বাগানের দিকে যাওয়া শুরু করলাম। কিন্তু এবার আমার পিছু পিছু আমার কাকা চলল। সে দেখতে চাচ্ছিল যে আমি কোথায় যাই। যেই আমি চা বাগানে পারাদেবো তখনই কে যেন আমার পিছনে হাত দিল। পিছনে ফিরতে না ফিরতে আমি অজ্ঞান হয়ে পড়ে গেলাম। চোখ খুললে আমি নিজেকে চা বাগানের ভিতর আবিষ্কার করি। আশেপাশে তাকিয়ে কাউকে খুঁজে পাইনা। কিছু আজব আজব শব্দ আমার কানের মধ্যে আসতে লাগল। ওর সামনে তাকে দেখে আর কেউ না ওই মেয়েটা এনাকে গতরাত্রে আমাকে হুমকি দিয়েছিল। আবারো বলতে লাগলাম কি চাও তুমি আমার কাছ থেকে।
-তোর মনের মধ্যে এখন যে আছে তাকে ভুলে যা।
-আমার মনে কেউ নেই তুমি হয়তো ভুল বুচ্ছ।
তখন সে আমাকে একটা থাপ্পর মারে আর আমি সাথে সাথে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যাই। চোখ যখন খুলেই আমি নিজেকে আমার বাসায় পাই। আমার সামনে আবারো আরেকটা কবিরাজ। আমাকে জিজ্ঞেস করতে লাগলো
-তোমার সাথে কি কি হয়েছে সব খুলে বল আমাকে -?
-আমি জানিনা আমার সাথে কি হচ্ছে কিন্তু শুধু এতোটুকু জানি একটা মেয়ে আমাকে অনেক বিরক্ত করছে। আমি মেয়েকে চিনিও না জানিও না কিন্তু সে যখন আসে অনেক ভয়ানক একটি রূপ নিয়ে আসে আমাকে ওর হাত থেকে বাঁচান প্লিজ।
-তুমি কি কাউকে ভালোবাসো?
এমন সময় কাকা বলে উঠেন,,,
-কি বলছেন হুজুর আমার মেয়ে এরকম কিছুই না আমার মেয়ে অনেক ভদ্র -।
-আপনি দয়া করে মাঝখানে কথা বলবেন না। আমাকে মাইয়ার সাথে কথা বলতে দেন। ততক্ষণ এর জন্য আপনারা রুম থেকে বের হয়ে যান কেউ এই রুমে আসবেন না।
আমি মনে মনে খুব ভয় পাচ্ছিলাম আমার সাথে এসব কি হচ্ছে তাই ভাবতে লাগলাম।
এমন সময় কবিরাজ আবার বলে উঠেন,,,,
-তোমার উপর অনেক ভয়ানক একটি জিন আছর করেছে।তাই তোমাকে সব জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে।
-আপনি কি আমার সাথে মজা করছেন।
-আমি তোমার সাথে মজা করবো কেন আমি একজন হুজুর।
-মনে হচ্ছে আপনি আমার সাথে মজা করছেন। কারণ যদি জিনের আছর পড়তো তাহলে আমার অবস্থা আরও খারাপ হতো কিন্তু আমি তো সুস্থই আছি।
-এর পিছনে অনেক বড় রহস্য আছে মায়া যা তুমি চোখে দেখছ না।
-রহস্যটা কি একটু বলবেন আমাকে?
-রহস্য ওই ছেলেটা।

চলবে,,,,,,,,,,
745 Views
32 Likes
5 Comments
4.5 Rating
Rate this: