এইবলে আমার হাত ধরে নিয়ে গেল কলেজের পিছনের সাইডে যেখানে সচারাচর কেউ যাই না তারপর সেখানে রিমি যা করল আমি ভাবতেও পারি নাই সেখানে আমাকে নিয়ে গিয়ে ঠাসসসসসস করে দিল একটা থাপ্পড়,,,,,, থাপ্পড় এর টাল সামলাতে না পেরে আমি মাটিতে পরে গেলাম,,,,,,বাপরে কি শক্তি রে হাতে আমার গাল অ একদম লাল করে ফেলেছে। পরে আমার কলার ধরে দাড় করিয়ে ঠাসসসস করে দিল আরেকটা থাপ্পড়। আগের টা দিল বাম গালে এইবারের টা দিল ডান গালে। আমার ২ গালে ১০ আঙ্গুল এর দাগ পড়ে গেছে। তারপর আমার কলার ধরে রিমি বলল,,,,
---- তোরে ২ টা থাপ্পড় মারছি কেন জানস। ১ টা হইল কাল আমারে অনেক কাদাইছস তাই আর আরেকটা হল মাহির সাথে ঘেসাঘেসি করে দাড়িয়ে ছিলিস কেন তাই। আশা করি এইসব কাজ করার আগে আমার থাপ্পড় গুলার কথা মনে রাখবি। কি মনে থাকবে তো?
---- হুম জীবনেও ভুলব না। (গালে হাত দিয়ে বললাম)
---- হুম গুড। চলো এখন,,,,,,,
এইবলে আমার হাত ধরে নিয়ে আসল কলেজ ক্যাম্পাসে। সবাই আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে৷ মাহি তো ড্যাব ড্যাব করে তাকিয়ে আছে আমাদের দিকে। আমি ওইদিকে এত নজর দিলাম না। সোজা ক্লাসে চলে আসলাম।
অন্যদিকে,,,,,,,,
---- মাহি দেখেছিস। আরিফ কত হ্যান্ডসাম কত কিউট৷
---- হুম রে নীলা আমি তো ক্রাশ খাইছি। আর নজর দিস না ও তোর জিজু হই।
---- কিন্তু ও তো রিমিকে ভালোবাসে।
---- হুম৷ বাট আমি তো ক্রাশ খাইছি। আর আরিফ ইই তোদের জিজু হবে। সো বাকিটা বুজে নে।
---- এই মাহি,,,,, তুই কি ওদের ব্রেকআপ করাবি নাকি?
---- অবশ্যই,,,,,আর মাহি যা চায় তাই পাই। আর মাহি এখন আরিফ কে চায় সো আরিফ আমারি হবে। চল ক্লাসে যাই। বাকি টা ক্লাসে দেখিস,,,,,,
অপরদিকে,,,, রিমি আমার পাশে বসে আছে। অনেক মজা করতেছি আমরা হঠাৎ দেখলাম মাহি ক্লাসে ডুকে আমার সামনের বেঞ্চে বসে পড়ল। আর আমার দিকে কিছুক্ষন পর পর তাকিয়ে হাসি দেয়৷ রিমি এই ব্যাপার টা খেয়াল করল,,,,,,,
---- আরিফ,,,,,,কোনো মেয়ের দিকে তাকাবা তো চোখ খুলে ফেলব। সো বিকেয়ারফুল।
---- ওকে।
তারপর স্যার ক্ল্যাসে ডুকে ক্লাস করানো শুরু করল। কিন্তু মাহি কিছুক্ষন পর পর আমার দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে একটা হাসি দেই। আমি খেয়াল করলেও না দেখার ভান করে ক্লাস করতে লাগলাম। কিন্তু ব্যাপার টা রিমি খেয়াল করেছে। তাই ক্লাস শেষ হতেই আমাকে টেনে ক্লাস থেকে বের করে নিয়ে এল।
---- এই মাহি তোমার দিকে ওইভাবে তাকিয়ে ছিল কেন?
---- আমি কি জানি। আমি কি ওর সাথে কথা বলি নাকি?
---- দেখ সাবধান৷ ওর সাথে কোনোরকম কথা বলবা না। আর ওর থেকে যত পার দূরে দূরে থাকার চেষ্টা করবা।
---- ওকে। বাট ক্লাস থেকে বের করে আনলে কেন? ক্লাস করবা না?
---- মাহির হাব-ভাব আমার ভালো লাগতেছে না। তাই চলে আসলাম। আর তোমাকে নিয়ে আনলাম।
---- তাইলে এখম কি করবা?
---- চলো কোথাও ঘুরতে যাই।
---- হুম চলো।
এইবলে আমরা চলে আসলাম নদীর পাড়ে। অনেকক্ষন পর্যন্ত ঘুরাঘুরি করে রিমি বায়না ধরল সে নাকি ফুচকা খাবে। তাই চলে গেলাম ফুচকার দোকানে। তারপর ফুচকা খাওয়া শেষ করে বাসায় চলে আসলাম। বাসায় আসার পর হঠাৎ ফোনটা বেজে উঠল দেখলাম রাকিব ভাই কল দিল তাই সাথে সাথে রিসিব করলাম,,,,,
---- আরিফ কোথায় তুমি? কিছু কি শুনছ?
---- না ভাই কি হইছে?
---- ওই যে Dark Queen সে বাংলাদেশের কুখ্যাত হ্যাকার Dark Spider কে নিয়ে অনেক বাজে মন্তব্য দিয়ে একটা ভিডিও ইউটিউবে আপলোড করেছে। এখন মনে হই না Dark Spider চুপ থাকবে। বাংলাদেশের পুরা সাইবার সিস্টেম শেষ করতে Dark Spider ইই যথেষ্ট। ভাইরে বাংলাদেশকে অনেক বড় একটা ক্ষতির সম্মুখীন করতে হবে এই Dark Queen এর জন্য। কি যে করি। আর ভালো লাগে না এই চিন্তা।
---- না ভাই আমি এখনো বেচে আছি। এই Dark Queen রে তো ধরবই। কিন্তু Dark Spider আগে থামাতে হবে। নাহলে বাংলাদেশকে ওর আক্রমণ থেকে কেউ থামাতে পারবে না।
---- হুম বেস্ট অফ লাক। তুমি ইই এখন ভরসা।
এইবলে কল কেটে দিলাম। তারপর দেখলাম রিমি কল দিল,,,,,
---- আরিফ তুমি কে সত্যি করে বলবা?
---- আমি আরিফ... কেন আমায় চিন না তুমি?
---- আমি যে আরিফ রে চিনি সেই আরিফ আর এই আরিফ এক না। সো সত্যি করে বলো। তুমি কে। আর আমি তোমার সব কথায় শুনেছি। সো মিথ্যা বলবা না।
---- রিমি দেখ,,,,আমি যা বলার কাল বলব প্লিজ। আর আমার কথা তুমি শুনলা কেমনে?
---- তুমি হয়ত ভুলে গেছ তোমার ফোন আমার কন্ট্রোলে তুমি কি কর না কর সবি দেখি আমি। সো কাল বলবা তুমি কে। ওকে?
---- হুম ওকে।
তারপর কল কেটে দিয়ে চিন্তা করতে লাগলাম কিভানে Dark Queen কে থামানো যায় ধরা যায়। না আজ আর পড়া হবে না তাই শুয়ে শুয়ে চিন্তা করতে লাগলাম। কিন্তু কোনো উত্তর পেলাম না। কারন Dark Queen কে না থামালে বাংলাদেশ অনেক ঝুকির সম্মুখীন হয়ে পড়বে। না এই বিষয় বাদ দিয়ে রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম। সকালে উঠে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করে চলে গেলাম কলেজে গিয়ে দেখি রিমি আগে থেকেই বসে আছে। তাই সরাসরি ওর কাছেই গেলাম,,,,
---- কি হল আজ এত তাড়াতাড়ি যে কোনো কারন আছে নাকি?
---- হুম। কারন টা হল তুমি। তুমি কে আরিফ? সত্যি করে বলবা
---- হুম। বাট এইখানে এইসব বলা ঠিক না চল অন্যকোথাও যাই।
পরে আমি আর রিমি নদীর পাড়ে আসলাম। রিমি বলল
---- এইবার বল কে তুমি? আর কি কাজ তোমার?
---- দেখ রিমি তোমায় আমি বলতে পারি কিন্তু তুমি কাউকে বলতে পারবে না প্রমিস দাও।
---- হুম বলব না। প্রমিস।
---- রিমি কিছুদিন আগে শুনছিলা Dark ডেভিল এর কথা।
---- হুম। সে তো অনেক বড় একজন হ্যাকার। আমি কেন পুরা দুনিয়া তাকে একনামে চিনে Dar Devil. আর কিছুদিন আগেও Dark Queen এর কবল থেকে বাংলাদেশ স্পেস রিচার্চ অরগানাইজেশান এর সার্ভার মাত্র ১০ মিনিটে নিয়ে এসেছে। কিন্তু তার সাথে তোমার সম্পর্ক কী?
---- হুম সম্পর্ক আছে৷ অনেক গভীর সম্পর্ক আছে৷ কারন সেই Dark Devil অন্য কেউ না আমি। আমি ইই সেই dark devil। কিন্তু আমার পরিচয় কেউ জানে না। আজ তুমি জানলা।
---- কিইই,,,,,,আরিফ তুমি মজা করতেছ তাই না।
---- না আমি মজা না আমি ঠিক ইই বলতেছি।
---- মানে পৃথিবীর ডার্ক হ্যাকার দের অন্যতম Dark Devil তুমি। আমার কেন যেন বিশ্বাস হয়তেছে না। সত্যি ইই তুমি তো
---- আমি কি মিথ্যা বলব তোমার সাথে।
---- কেমন যেন স্বপ্ন লাগতেছে আমার৷ যাকে দুনিয়ার সবাই দেখতে চাই সে আমার সামনে ইই বসে আছে।
---- হুম। বাট কাউকেই বলা যাবে না।
---- না কাউকেই বলব না। প্রমিস
এইবলে আমরা অনেকক্ষন হাটলাম। হঠাৎ দেখলাম সামনে মাহি আর ওর ফ্রেন্ড নীলা দাড়িয়ে আছে। মাহি আমাদের সামনে এসে বলল,,,,
---- আরে আরিফ তোমরা এখানে। ক্লাস করবা না।
আমি উত্তর দেয়ার আগেই রিমি উত্তর দিল,,,,
---- না রে মাহি,,,,,আজ ক্লাস করব না। আজ আমি আর আরিফ ঘুরব। তোরাও তো ঘুরার জন্য এসেছিস তাই তো। তোদেরও তো টাইম শেষ হয়ে যাচ্ছে তাই না। তোরা ঘুর আমরাও ঘুরি।
এইবলে আমাকে নিয়া সেখান থেকে চলে আসলো। আর মাহি আমাদের দিকে তাকিয়ে ছিল।
অন্যদিকে,,,,,
---- এই মাহি রিমি আর আরিফ তো দেখি সারাদিন একসাথে থাকে তুই ওদের আলাদা করবি কি করে?
---- ওয়েট এন্ড সি।
আমরা হাটতে ছিলাম হটাৎ ইই আমাদের সামনে,,,,
আমরা হাটতে ছিলাম হটাৎ ইই আমাদের সামনে কিছুলোক আসল। সবাই মুখে রুমাল বেধে হাতে হকিস্টিক নিয়ে আসল আমাদের সামনে। এইসব দেখে রিমি আমায় আরো জোরে ধরে রাখি। ওদের মধ্যে একজন বলতে শুরু করল,,,,,,
---- এই তুই আরিফ না রে?
---- জিইই কেন?
---- ওকে।
এইবলে ওরা আমায় মারতে শুরু করল ওরা প্রায় ১০/১৫ জন। রিমি এইসব দেখে ওদের হাতে পায়ে ধরতেছে যাতে আমায় ছেড়ে দেই। কিন্তু ওরা আমায় মারতে থাকে। তারপর আমার আর কোনো হুশ নেই।
যখন হুশ ফিরল নিজেকে হাসপাতালের বেডে আবিষ্কার করলাম। আর আমার পাশে আমার হাত ধরে রিমি শুয়ে আছে। আমি হালকা করে আমার হাত টা সরিয়ে নেয়ার সাথে সাথেই রিমি জেগে উঠল।
---- আরিফ কখন হুশ ফিরল তোমার।
এই বলে আমাকে ধরে কান্না শুরু করে দিল। ও কে দেখে বুজলাম অনেক কেদেছে মনে হয়। কারন চোখ গুলা খুব ফোলা চোখের নিচে কালো হয়ে পড়েছে। মেয়েটা আমার জন্য অনেক কষ্ট পেয়েছে।
----আরিফ তুমি শুয়ে থাক। আমি ডাক্তার কে নিয়ে আসছি।
এইবলে রিমি একজন ডাক্তার নিয়ে আসল। ডাক্তার আমার চেক আপ করতেছিল আর বাইরে রিমি ফোনে কার সাথে যেন কথা বলতেছিল। হঠাৎ ডাক্তার বলে উঠল,,,,,
---- ভাই আপনি অনেক লাকি। এত কেয়ারিং একজন ওয়াইফ পাইছেন। আজ কাল এত কেয়ারিং ওয়াইফ পাওয়া যায় না। আপনার ওয়াইফ আপনার হুস না আসা পর্যন্ত সে আপনার পাশেই বসে ছিল।
---- আচ্ছা আমি কতদিন ধরে অজ্ঞান আছে একটু বলবেন?
---- আজ নিয়ে ৭ দিন।
ওহহ আল্লাহ। মানে ৭ দিন ধরে আমি এখানে। বাইরের দুনিয়ার সাথে আমার ৭ দিন ধরে কোনো সম্পর্ক নেই। আর ওই লোকগুলা কে ইই বা ছিল কেন ইই বা মারল আমায়। অনেক প্রশ্ন মাথা ঘুরপাক খাচ্ছে। কিন্তু কিছুতেই কিছুর উত্তর পাইতেছি না। না কে আমাকে মেরেছে তাদের খুজতেই হবে। তারপর দেখলাম রিমি রুমে ডুকে।ডাক্তার কে জিজ্ঞেস করছে,,,,,,,
---- এখন আরিফ কেমন আছে?
---- আগে থেকে ভালো আছে। তবে ১৫ দিন বেড রেস্ট করতে হবে।
এইবলে ডাক্তার চলে গেল। আর রিমি আমার হাত ধরে কান্না শুরু করে দিল।
---- আরে আরে কান্না করতেছ কেন?
---- আমার জন্যই তুমি আজ হাসপাতালে। আমার জন্যই তো আজ তোমার এই অবস্থা। ( এই বলে কান্না শুরু করল)
---- আরে থামো রিমি। তোমার জন্যই কিছুই হয় না আমার। বাদ দাও।
রিমির সাথে কথা বলতেছিলাম। দেখলাম আম্মু,, আব্বু,,আকিব আরো একজন লোক আসল। কে সে আমি চিনলাম না। আম্মু আমার কাছে এসেই কান্না শুরু করে দিল।
এতক্ষন করল রিমি কান্না এখন করে আম্মু কান্না সবাই শুধু কান্নাই করে। পরে আম্মুকে বললাম,,,,,
---- আম্মু থামো প্লিজ। আমি তো এখন সুস্থ আছি তাই না। প্লিজ কান্না করিও না আর।
---- বাবারে তোরে কেন এইরকম করল?
----আম্মু আমি জানি না। বাদ দাও এইসব। তারপর একে একে সবাই দেখা করল শেষে আসল ওই অপরিচিত লোক টি
---- কে আপনি আপনাকে তো চিনলাম না?
---- আমি রিমির ভাই। আর রিমি আমাদের সব কিছুই বলেছে তোমাদের সম্পর্কে। তুমি আগে সুস্থ হউ তারপর এই নিয়ে কথা বলব।
আমি রিমির দিকে তাকালাম। রিমিও হ্যাঁ সূচক উত্তরে মাথা নাড়াল। আব্বু আম্মু ও আমার দিকে তাকিয়ে রইল।
আমি সরমে ওদের দিকে তাকায় নি। কিছুক্ষন পর সবাই চলে গেল৷ হঠাৎ দেখলাম আমার ফোনটা বেজে উঠল। দেখলাম আর কেউ না রাকিব ভাই কল করল,,,,,
---- হেলো ভাই আসসালামু আলাইকুম কেমন আছেন?
---- ওয়ালাইকুম আসসালাম। আলহামদুলিল্লাহ ভালো। তুমি কেমন আছ? শুনলাম তোমার ওপর কারা নাকি এট্যাক করেছিল।
---- হুম ভাই। এখন আপাতত ঠিক আছি। তা ভাই Dark Queen এর কি খবর?
----- Dark Queen এর জন্যই তোমাকে কল দিয়েছি। এই Dark Queen বাচা মুশকিল করে দিছে। নিজেকে অনেক বড় হ্যাকার ভাবে। সে রীতিমতো এটাও দাবি করেছে যে সে নাকি Dark Devil এর থেকেও বড় হ্যাকার। আর এই Dark Queen প্রতিদিন অগনিত সাইবার ক্রাইম করেই যাচ্ছে৷ এবার ওকে থামানো দরকার।
---- হুমমমম,,,,,,,ভাই ঠিক। আর না। এইবার Dark Queen কে থামানো দরকার।
---- হুম। দেখ কি করতে পারো তুমি। আর নিজের যত্ন নিও। আল্লাহ হাফেজ।
--- হুম ভাই।
এই বলে কল কেটে দিলাম। আর ভাবতে লাগলাম কিভাবে থামাবো এই Dark Queen কে এই নিয়ে অনেকক্ষন ভাবলাম কিন্তু কিছুতেই কিছু করতে পারলাম না। কিছুক্ষন পর রিমি রুমে প্রবেশ করে বলল,,,,,,
---- এখন কেমন লাগছে তোমার আরিফ?
---- হুম ভালোইইই
---- জানো আমি খুব ভয় পেয়ে গেছিলাম তোমার যদি কিছু হয়ে যেত তাহলে আমি কিভাবে বাচতাম।
---- আরেহহহহ ধুররর পাগল আমি তো ঠিক আছি
---- হুমম,,,,,রেস্ট নাও৷ ডাক্তার বলেছে কাল তুমি বাসায় যেতে পালবা রিমি রাতেই আমার সাথেই ছিল। মেয়েটা আমাকে অনেক ভালোবাসে। আমার অনেক যত্ন করেছে। তারপর রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম। সকালে আব্বু - আম্মু এসে আমাকে হসপিটাল থেকে বাসায় নিয়ে গেল আর রিমি ওর বাসায় চলে গেল। বাসায় এসে শুয়ে শুধু একটাই চিন্তা কিভাবে Dark Queen কে ধরা যাই। পুরা সাইবার ঘেটে ফেললাম কিন্তু Dark Queen কে নিয়ে কোনো কিছুই পেলাম না। এইসব ভাবতেছিলাম,,,,,দেখলাম রিমি কল দিল তাই রিসিব করে বললাম,,,,,,
---- হেলো কি কর?
---- এইতো বসে আছি তুমি?
---- আমিও বসে আছি। বসে বসে একটা কথা ভাবতেছি।
---- কি কথা?
---- Dark Queen কে নিয়ে। কিভাবে Dark Queen কে ধরব সেই চিন্তা। সারাদিন ভাবলাম তারপরেও কোনো উপায় পেলাম না।
---- আরিফ দেখ তুমি এইসব একদম ভাববে না। সবে মাত্র তুমি ঠিক হয়েছ। আর এইসব ভেবে আবার অসুস্থ হয়ে পড়বে। সো এইসব চিন্তা মাথা থেকে বের করে দাও।
---- হুম দেখি। এইবলে আরো কিছুক্ষন পর কথা বলে কল কেটে দিলাম। হঠাৎ একটা বুদ্ধি মাথায় আসল। তাই সাথে সাথে রাকিব ভাইকে কল দিলাম,,,,,,
---- হেলো ভাই আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন?
---- ওয়ালাইকুম আসসালাম। আলহামদুলিল্লাহ। তুমি কেমন আছ?
---- আলহামদুলিল্লাহ ভাই। ভাই আপনাকে একটা কথা বলার জন্য কল দিলাম
---- হুম বল কি কথা?
তারপর রাকিব ভাইকে প্ল্যান বুজিয়ে বললাম। প্ল্যান এর শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত।
---- ওয়াও। ওয়াট এ গ্রেড আইডিয়া। আরিফ আশা করি তোমার এই প্ল্যান কাজ করবে।
---- হুম ভাই আশা করি। যদি মাছ টোপ খায় তাইলে তো ভালোই
---- হুম। তাহলে তুমি প্ল্যান মোতাবেক কাজ শুরু করে দাও। আর মনে রেখ কাজ টা কিন্তু অবশ্যই ২/৩ দিন পরে করতে হবে।
---- হুম ভাই হয়ে যাবে।
এইবলে কল কেটে দিয়ে লেগে পড়লাম কাজে। কাজ করতেছি হঠাৎ দেখলাম আকিব কল দিল তাই রিসিব করলাম,,,,
---- হেলো আরিফ কেমন আছত?
---- হে রে বন্ধু ভালো তুই কেমন আছত?
---- হুম ভালো। বন্ধু কলেজের ব্যাপারে কিছু শুনছস?
---- না রে কেন কি হয়েছে
তারপর আকিব যা ভালল আমার মাথা তো পুরাই হট হয়ে গেছে,,,,,কারন
চলবে----------?
কেমন হল সবাই জানাবেন। ধন্যবাদ।
-----------------------------------------------------------------------------------------------গল্পের নাম ক্ষেত ছেলেটি যখন হ্যাকা
ক্ষেত ছেলেটি যখন হ্যাকার (পর্ব ০৮)
অডিও মোড
00:00
00:00
গতি:
ভলিউম:
399
Views
8
Likes
0
Comments
5.0
Rating