সিনিয়র মামাতো বোনের প্যারা (পর্ব ০৫)

নীলা আপু থুক্কু নীলা রুমে ঢুকেই দরজাটা জোড়ে ধাক্কা মেরে আটকে দিলো,😡😡 তারপর আমার দিকে এগিয়ে আসতে লাগলো।🙁

একদিকে আমার ফ্রী-ফায়ার খেলতেছি আর ওদিকে নীলা আমার দিকে তেড়ে আসতেছে, এখন আমি যে কি করি?😪 যাহ্, মোবাইলটা বিছানায় রেখে দিলাম, না জানি পরে আবার কি হয়?🙈🙈

—তুই বিকেলে কই গেছিলি?😬😬
(নীলা রেগেমেগে)

—বাহিরে গেছিলাম!🙁🙁
(আমি)

—কার সাথে গেছিলি?😡😡😡
(নীলা আমার সার্টের কলার ধরে)

—ক. ক. কই কার সাথে আবার?😒😒
(আমি তোতলাতে তোতলাতে)

নীলা আমাকে কিছু বলতে যাবে, তখনি আমার ফোনটা বেজে উঠলো!😁😁
নীলা আমার সার্টের কলার ছেড়ে বলল,😪

—ফোনটা রিসিভ করে লাউড স্পিকারে দে?🤨
(নীলা)

আমি মোবাইলটা হাতে নিয়ে দেখি আননাম্বার থেকে কল আসছে!😏
আমি ফোনটা রিসিভ করে লাউড স্পিকারে দিলাম।

—হ্যালো কে বলছেন?🤔
(আমি)

—বাবু, তুমি আমাকে এত তাড়াতাড়ি ভুলে গেলে?😊
(মেয়েটি ওপাশ থেকে হাসি দিয়ে)

নীলার দিকে তাকিয়ে দেখি ও রাগে চটপট করতেছে?😭😭😭

—ওই ছেমরি আমি তোর কোন জন্মের বাবু রে, আর তুই কে?😡😡😡😡
(আমি রেগে)

—বিকেলেই তো আমরা দেখা করলাম, এত তাড়াতাড়ি আমাকে তুমি ভুলে গেলে।🙁
(মেয়েটি মানে মীম)

—ওহহহ, তুমি।😍😍
(আমি)

—হুম।
(মীম মন খারাপ করে)

—সরি, কি করো এখন।😘
(আমি)

—তোমার কথা ভাবি?😌
(মীম)

—সত্যি?😍😍
(আমি খুশি হয়ে)

হঠাৎ মনে হলো, আরে হ যাহ্?
নীলা তো আমার সামনে দাঁড়িয়ে এ্যা।😳😳

আমি ফোনটা কেঁটে নীলার দিকে তাকাতেই? নীলা আমার হাত থেকে ফোনটা কেড়ে নিয়ে জোড়ে এক আছাড় মেরে ভেঙ্গে ফেললো।😭😭😭

—তুমি আমার ফোন ভাঙ্গলে ক্যান?🙁🙁🙁
(আমি কান্না মিশ্রিত কণ্ঠে)

আমার কথা শুনে নীলা আমার গালে জোড়ে কষে দুটো থাপ্পড় বসিয়ে দিলো।🙁🙁
তারপর বলল,

—মীমের সাথে তোর এত কিরে?😡😡😡
(নীলা এবলেই আমার গালে আরো দুটো থাপ্পড় বসিয়ে দিলো)

এদিকে আমার রাগ চরম উপরে উঠে গেছে।😡😡

—দেখো, আমার ভাল লাগছেনা।
তুমি এখন আমার রুম থেকে যাও!🙁
(আমি)

আমি আর কিছু না বলে, আমার ফোনটা নিচ থেকে কুড়য়ে নিলাম। তারপর ফোনটা হাতে নিয়ে দেখি ফোনটা দুভাগ হয়ে গেছে।😭😭😭

নীলা একবার আমার দিকে চেয়ে রুম থেকে চলে গেল।
রুমের দরজাটা আটকে দিয়ে কাঁদলে লাগলাম।
আমার কত শখের ফোন ছিল এটা, ৩০ হাজার দিয়ে নতুন কিনছি। ফোনের কথা মনে হতেই আমার কান্না আসে?😭😭😭

আর ওদিকে নীলা একাএকা,

—আমি কি কাজটা ঠিক করেছি?🙁
(নীলা)

নীল এসব ভাবতে ভাবতে কখন যে খাবার সময় গেছে। তারপর নীলা নিচে গিয়ে দেখে, সবাই খাবার টেবিলে বসে আছে, শুধু অভ্র বাদে!

—নীলা অভ্রকে ডেকে আয় তো!
(নীলার আব্বু/মামা)

—হুম।
(নীলা)

তারপর নীলা আমার রুমের কাছে গিয়ে,

—অভ্র,
অভ্র দরজাটা খুলো।🙁
(নীলা মন খারাপ করে)

আমি বিছানায় থেকে উঠে দরজাটা খুলে দিয়ে আবার ভিতরে এসে বসলাম। নীলা ভিতরে এসে,

—নিচে আয়,
খেতে ডাকছে?😊
(নীলা)

—আমার খিদে নেই,
তুমি আসো?🙁
(আমি)

নীলা মনটা খারাপ করে আমার দিকে চেয়ে দেখে ভাবছে,
ইশশ ওকে তখন থাপ্পড় মারা আমার উচিৎ হয়নি।🙁
ওর গাল দু'টোতে দাগ লেগে আছে, আর চোখ গুলো লাল হয়ে গেছে। বোধহয় কান্না করেছে!😒

—অভ্র আমি তখন,
(নীলা)

আমি ওকে থামিয়ে,

—আমার ঘুম আসছে, তুমি বরং আজ আসো!🙁
(আমি)

নীলা মন খারাপ করে নিচে চলে গেল। আমি আর দরজাটা আটকে দিয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম।🙁

নীলা নিচে যেতেই,

—কিরে অভ কই?🥰
(নীলার আম্মু/মামি)

—ওর না-কি খিদে নেই,
আচ্ছা আম্মু আমি যাই!
(নীলা)

—তুই খাবি না?
(নীলার আম্মু/মামি)

—নাহ।
(নীলা)

এবলেই নীলা রুমে গিয়ে দরজাটা আটকে দিয়ে কাঁদতে লাগলো।😭😭😭
আর ওদিকে নিচে।

—অভ্র আর নীলার দুজনের মধ্যে মনে হয়ে কিছু হয়ছে!🤔
(মামা)

—আমারও মনে হয়,
কারণ নীলাকে দেখে মনে হচ্ছে ওর মন খারাপ।🤨
(মামি)

—আমারও।
(আম্মু)

—আচ্ছা আমরা খেয়ে নিয়,
সকালে ওদের ব্যাপারটা নিয়ে কথা বলা যাবে।
(মামা)

তারপর যে যার মতো খেয়ে ঘুমাতে চলে গেল,
আর ওদিকে মোবাইলের কথা মনে আসতেই আমার কান্না যেন আরো বাড়ছে।😭😭😭
আমাকে আরো দুটো থাপ্পড় মারলেও আমি কিছু মনে করতাম না, আর সে কি-না আমার কলিজায় আগহাত করছে?😭😭😭[বাস্তবেও আমি এমন🤪]

আজকে খুব সকালে আমার ঘুম ভেঙে গেল, তারপর ফ্রেস হয়ে নিচে নামতেই!😪

—কিরে তুই আজ এত সকাল ঘুম থেকে উঠলি যে?🤔
(আম্মু আমার দিকে চেয়ে)

—এমনিই।
(আমি)

—তোর ফোনটা দে তো, তোর আব্বুকে একটা কল দিতাম।
(আম্মু)

—ফোন নেই।
(আমি আম্মুর দিকে তাকিয়ে)

—ফোন নেই মানে!🤔
(আম্মু)

—ভেঙে গেছে।🙁🙁
(আমি)

আমি আর কিছু না বলে বাহিরে চলে আসলাম।
বাহিরে ঘুরাঘুরি করে ৯ টার দিকে বাসায় গেলাম।
তারপর নাস্তা করে রুমে যেতেই নীলা আমার রুমে এসে!

—অভ্র,
(নীলা)

আমি নীলাকে থামিয়ে দিয়ে,

—সকালে বাহিরে গেছিলাম,
তাই তুমি এখন আমাকে মারতে আসছ তাই না, হুম মারো!😡😡
(আমি রেগেমেগে)

নীলা কান্না করতে করতে চলে গেল।😭😭

#চলবে............

গল্পটা কেমন হয়েছে জানাবেন?😍😍