ক্ষেত ছেলেটি যখন হ্যাকার (পর্ব ৩)

অডিও মোড

00:00 00:00
গতি:
ভলিউম:
♡পর্ব ৩ღ

--- আচ্ছা ঠিক আছে স্যার উনি যখন চাই না আমি ওনার দলে না থাকি তাহলে থাক। আমি ওনার দলে থাকব না।
তখনি আকিব বলে উঠল,,,,,,

---স্যার আমিও তাহলে এই দলে থাকব না। কারন যেখানে আমার বন্ধু থাকবে না সেখানে আমিও থাকব না।

--- স্যার বলল,,,,দেখেছ মাহি তোমার সিদ্ধান্তের জন্য আজ তোমার দল ভেঙ্গে যাচ্ছে।

--- না স্যার,,,,এই ক্ষ্যাত কে আমি কখনো ইই আমার দলে নিব না।

--- আমি বললাম,,,,আকিব দেখ তুই থাক আমি না থাকলেও চলবে। তুই এই দলে থাক।

---না বন্ধু,,,,, যেখান তুই থাকবি না সেখানে আমিও থাকব না।

---চুপপপ শালা,,,,কোনো কথা না যদি না থাকস তোর সাথে আমার কথা নাই। স্যার আকিব থাকবে এই দলে।

---ওকে তাহলে ডিসিশন ফাইনাল হয়ে গেল,,,,,,সো স্টুডেন্টস বেস্ট অফ লাক ফর কম্পিটেশন। বাই

--- আকিব বলল,,,দেখ বন্ধু আমি পারব না থাকতে।

--- না তোকে থাকতেই হবে নাহলে তোর গার্লফ্রেন্ডরে বলে দিব যে তুই কলেজে এসে মেয়েদের পিছনে ঘুরস।

---ওহ সালা,,,,এই কাজ একদম করবি না। জানে মেরে ফেলবে আমায়।

---বন্ধু তুমি জানো যেটা আমি বলি সেটা আমি করি। এখন তোর সিদ্ধান্ত কি? হ্যাঁ নাকি না?

---আচ্ছা সালা,,,, থাকব। নাইলে তুই যা জিনিস ঠিক বানিয়ে বানিয়ে মিথ্যা কথা বলে দিবি আমার নামে। আর বাশ খাওয়া লাগবে আমার।

---গুড বয়। আমারে চিনছ তাহলে।

--- চুপ শালা। আমারে হুদাই ব্ল্যাকমেইল করস।,,,,

হঠাৎ মাহি বলে উঠল,,,,,,

--- এই তোমরা এইদিকে আসো। তোমাদের সাথে কিছু আলোচনা আছে প্রতিযোগিতা নিয়ে।

---আমিও গেলাম শুনতে মাহি কি বলে। যখন আমি গেলাম তখন মাহি বলল,,,,,,

--- এই আলোচনায় কোনো ক্ষ্যাত না থাকলেই আমি খুশি হব।

--- আমি বুজলাম কথা টা আমায় বলল মাহি,,,,,তাই চুপ চাপ মাথা নিচু করে চলে আসলাম ক্লাস থেকে। ক্লাস থেকে বেরিয়ে কলেজের সামনে একটা বড় পুকুর আছে সেখানে গিয়ে বসে পড়লাম৷ আর চোখ থেকে নিজে নিজেই পানি পড়তে লাগল। আসলে দুনিয়ায় গরীব মানুষদের প্রতি পদে পদে অত্যাচার এর শিকার হতে হই। সর্বত্রই শোষনের শিকার হয়ে থাকে গরীবরা। গরীবদেরকে সব সময় ইই তাচ্ছিল্যের নজরে দেখা হয়। এসব কথা ভাবছিলাম আর চোখ থেকে পানি পড়ছিল। হটাৎ অনুভব করলাম কেউ আমার কাদে হাত রাখল। তাই যখন দেখার জন্য ঘুরলাম আমি তো হতবম্ব। এ আর কেউ না এ হচ্ছে রিমি। মানে মাহির বান্ধবী।

--- তুমি যদি কিছু না মনে কর আমি কি এখানে বসতে???

--- হ্যাঁ হ্যাঁ,,,, অবশ্যই বসুন।

--- তা এখানে একা একা কি করছ??

--- কিছুই না এমনেই বসে আছি।

--- তোমার মন খুব খারাপ তাই না। মাহির ব্যবহারে খুব আঘাত পেয়েছ তাই না।?

--- না না,,,,কি যে বলেন। এটাই তো আমার কপালে লেখা ছিল। কথায় আছে না ভাগ্যের লিখন কেউ পাল্টাতে পারে না। আমি এই কপাল নিয়ে ইই এই পৃপৃথিবীতে এসেছি।

--- দেখ সত্যি বলতে কি,,,,,,আমি মাহির এইসব কাজ কর্ম একদমি দেখতে পারি না। আমার মতে সবাই মানুষ। সবাইকেই সমান চোখ দেখা উচিত।

--- হা হা হা,,,,,,কিন্তু আমাদের মতো ছোটলোকদের সম্মান বলতে কিছুই নেই। আমাদের কপালে আছে অত্যাচার সহ্য করা আর বড়লোকদের গোলামী করা। তা আপনি যে আমার সাথে এখানে বসে কথা বলছেন এতে তো আপনার প্রেস্টিজ ডাউন হবে আর আপনার বান্ধবীও তো রাগ করবে। সে তো আমায় সহ্যই করতে পারে না।

--- দেখ আমি কোনো বড়লোক ছোটলোক মানি না। তুমি আমার ফ্রেন্ড তোমার সাথে কথা বললে কেন আমার প্রেস্টিজ ডাউন হবে বলতে পারো। আর আমি মাহির মত এত অহংকারী না। আর তুমি না আমার ফ্রেন্ড তাহলে আপনি করে বলছ কেন তুমি করে বলো।

--- হা হা হা ফ্রেন্ড,,,,দেখুন আমাদের মত ছোটলোকদের সাথে কথা বলা আপনাদের শোভা পাই না। আর ফ্রেন্ডশিপ তো দূরে থাক। এটি হচ্ছে দয়া।

--- দেখ আর একবারো এইসব বললে খুব খারাপ হয়ে যাবে একবার বলছি না আমি ওত অহংকারী না। তাহলে কেন তুমি এইসব আমায় বলতেছ? রেগে গিয়ে এইসব বলল

--- আচ্ছা আচ্ছা সরি,,,,ফ্রেন্ডস

--- এইতো গুড বয়। ওকে ফ্রেন্ডস। আমাকে আর আপনি আপনি না তুমি করে বলতে হবে। ওকে???

--- ওকে। একটা জিনিস খেয়াল করলাম রিমি যখন রেগে যাই খুবই কিউট লাগে। বেশি রেগে গেলে গাল গুলো লাল হয়ে যাই।

--- কি হলো। কি ভাবছ???

--- না কিছু না,,,,,,আচ্ছা একটা কথা জিজ্ঞেস করব।

--- কি কথা বল?

--- আচ্ছা এই যে তুমি আমার সাথে ফ্রেন্ডশিপ করলে,,,, আর আমার সাথে কথা বললে তা যদি মাহি জানতে পারে তখন কি হবে??

--- কি হবে আবার। আমি কি মাহিকে ভয় পায় নাকি।

--- তবুও। আমার জন্য তোমাদের ফ্রেন্ডশিপ ভেঙ্গে যাক তা আমি কখনো চায় না।

--- এই তুমি তো বেশি কথা বল এখন একদম চুপ করে থাক। এই টপিকস বাদ দাও। এখন তোমার সম্পর্কে কিছু বল৷ তোমার পরিবারে কে কে আছে??

--- আচ্ছা ওকে বাদ দিলাম। আমার পরিবারে আমরা ৪ জন। আমি, আমার আম্মু,,,,আমার আব্বু,,,,,আর আমার ছোট বোন। তোমাদের পরিবারে কে কে আছে?

--- আমার পরিবারে আমরা ৩ জন। আমি আমার ভাইয়া আর আমার ভাবি।

--- কেন তোমার আম্মু আব্বু তোমার সাথে থাকে না??

--- না আসলে,,,,,, আমি যখন ছোট ছিলাম আমার আম্মু-আব্বু একটি গাড়ি এক্সিডেন্ট এ মারা যায়। তখন থেকেই আমার ভাইয়া আমাকে পালন করেছেন।

--- ও আচ্ছা সরি। আমি আসলে বুজতে পারি নাই। আমাকে মাফ করে দাও।

--- ধুর পাগল এখানে মাফ চাওয়ার কি আছে। আচ্ছা চল এখানে বসে থাকতে ভাল লাগতেছে না কোথাও থেকে ঘুরে আসি।

--- আচ্ছা চল। অনেকক্ষন পর্যন্ত আমরা ঘুরাঘুরি করলাম। এই সময়টুকু রিমির সাথে কাটিয়ে বুজলাম রিমির মধ্যেই আসলে কোনো অহংকার নেই। মেয়েটা অনেক ভালো।

---আজ অনেক মজা হয়েছে তাই না।

--- হুম অনেক মজা করলাম আজ। তোমার কেমন কাটছে জানি না কিন্তু আমার খুব ভালো সময় কাটছে।

--- আমারও খুব ভালো সময় কাটছে। আচ্ছা আজ বাসায় যায় কেমন। ভাইয়া অনেক বার ফোন দিয়েছে।

--- আচ্ছা ওকে। কাল কলেজে কথা হবে। বাই

--- ওকে বাই। ও হ্যাঁ ভালো কথা তোমার নাম্বার টা দাও তো। দরকার আছে।

--- আমার নাম্বার,,,,,,,,আচ্ছা ওকে নাও। ০১৭*******।

--- ওকে বাই। পরে কথা হবে।

--- আমিও বাসায় গিয়ে ফ্রেশ হয়ে খাবার খেয়ে দিলাম একটা ঘুম। বিকালে যখন আমি ঘুমের রাজ্যে তখন হঠাৎ খাট কাপতে লাগল। প্রথমে ভাবলাম ভূমিকম্প। পরে দেখলাম আমার ফোনে একটা আননোন নাম্বার থেকে কে যেন কল দিছে। আমিও রিসিব করলাম,,,,,,,হেলো কে?

--- আমি।

--- আমি টাকে। নাম বলুন।

--- ওম্মা,,,,,আজ সকালেই তো কতক্ষন আমার সাথে ঘুরলা এখন বলছ কে???

--- ও আচ্ছা রিমি। তা আগেই পরিচয় টা দিলে কি হত?

--- হিহিহি,,,,,,,এমনেই দেই নাই। তা বলো কি করতেছ।

--- এইতো ঘুমাইতেছিলাম।

--- ও তাহলে তো আমি তোমার ঘুম শেষ করলাম। আই এম সরি।

--- ধুর পাগলী,,,,সরি বল কেন। তারপর আরো কিছুক্ষন কথা বললাম রিমির সাথে। আজ আর বিকালে খেলতে যাই নাই। পুরো বিকাল টাই রিমির সাথে কথা বলতে বলতে কাটিয়ে দিলাম। সন্ধ্যার সময় কথা শেষ করে নামাজ পরে

আগের পর্ব আমার টাইমলাইনে দেয়া আছে।

ধুর পাগলী,,,,সরি বল কেন। তারপর আরো কিছুক্ষন কথা বললাম রিমির সাথে। আজ আর বিকালে খেলতে যাই নাই। পুরো বিকাল টাই রিমির সাথে কথা বলতে বলতে কাটিয়ে দিলাম।

সন্ধ্যার সময় কথা শেষ করে নামাজ পরে একটু ফেসবুকে ডুকে ঘাটাঘাটি শুরু করলাম। হটাৎ একটি ভিডিও চোখে পড়ল। ভিডিও টা আর কারো না বরং Dark Queen এর। তাই একটু উৎসাহ নিয়ে ভিডিও টা ওপেন করলাম। তারপর Dark Quenn যা বলল তাতে আমি পুরোই শকড।

--- হাই আই এম Dark Queen। আজ আপনাদের সামনে আসার আমার একটাই কারন। আমি পুরো বাংলাদেশের জনগন দের উদ্দেশ্য একটা কথা বলতে চাই। আমি আগামী ২৫ তারিখের মধ্যে বাংলাদেশ স্পেস রির্সাচ অরগানাইজেশন এর সার্ভার হ্যাক করে আমার আয়ত্বে আনব। আমি সবাইকে ওপেন চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছি কেউ পারলে আমাকে থামিয়ে দেখাও। আর আপনারা যদি না চান আমি এই কাজ টি করি তাহলে আমার একটা শর্ত আছে। Dark Devil কে বলুন আমার সামনে আসতে। আমার চাওয়া শুধু একটাই। আর যদি এই চাওয়া পূরন না হয় তাহলে বাংলাদেশ অনেক বড় বিপদের সম্মুখীন হতে চলেছে। আল্লাহ হাফেজ।

--- Dark Devil নাম টা শুনে আমার ভিতর টা কেমন যেন মোচড় দিল। আবার ভাবতে লাগলাম এই ২ দিনের হ্যাকার নাকি ওপেন চ্যালেঞ্জ দেই। এ যদি জানত Dark Devil কি জিনিস তাহলে স্বপ্নেও এই কথা ভাবত না। থাক আমার এত মাথা ঘামিয়ে লাভ নেই দেশে পুলিশ আছে আইন আছে ওরাই যা করার করবে। আমার এই বিষয়ে ভাবা দরকার নাই। নাস্তা করে পড়তে বসলাম। পড়া শেষে রাতের খাবার খাওয়া শেষ করে একটু পড়তে ছিলাম হটাৎ কে কল দিল। আমিও নাম না দেখে রিসিব করে বললাম

--- হেলো কে?

--- আমি ভূত। তোর ঘাড় মটকিয়ে খাব।

--- ওওও আচ্ছা রিমি। সরি সরি৷ আসলে না দেখে রিসিব করছিলাম তো তাই আর কি ভুল হয়ছে।

--- ওকে। মাফ করলাম। কি করতেছ?

--- এইতো পড়তেছিলাম। তুমি কি কর?

--- এইত শুয়ে আছি। রাতের খাবার খাইছ?? এত রাত পর্যন্ত পড় নাকি?

--- খাইলাম। না একটু পড়া বাকি ছিল। তাই সেটা কমপ্লিট করতেছিলাম।

--- ওওও গুড বয়। ঘুমাবা কখন?

--- এইযে পড়া টা কমপ্লিট করেই ঘুমিয়ে পড়ব।

--- আচ্ছা ওকে পড় তাহলে বাই। কাল কথা হবে কলেজে।

--- ওকে বাই। তারপর আমিও একটু পড়া শেষ করে ঘুমিয়ে পড়লাম। শুয়ে শুয়ে একটা কথাই ভাবি রিমি কতটা ফ্রি আর ভদ্র। সবাইকে সম্মান জানাতে জানে। আর অপরদিকে মাহি যে কিনা মানুষকে মানুষ হিসেবে গন্য করে না। একটা দীর্ঘশ্বাস দিয়ে হারিয়ে গেলাম ঘুমের রাজ্যে। সকালে নাস্তা করে চলে গেলাম কলেজে। আজ নাকি আকিব কলেজে আসবে না। তাই একা একা ক্যাম্পাসে ঘুরাঘুরি করতেছি। হটাৎ দেখি রিমি একটা নীল কালারের ড্রেস পড়েছে চোখে হালকা কাজল আর মুখে হালকা মেকআপ। আমি তো অবাক চোখে তাকিয়ে রইলাম। মনে হচ্ছে আমার সামনে কোনো নীল পরী দাড়িয়ে আছে। আমি বিভোর চোখে তাকিয়ে রইলাম রিমির দিকে

--- ওই কি দেখছ এমন করে৷ (আমার সামনে এসে রিমি এই কথা বলল)

---- কইইই না না কিছু না। আসলে আজ না তোমায় খুবি সুন্দর লাগছে।

--- ধন্যবাদ। চলো ক্লাসে যাই।

--- হুম চলো। এই কথা বলে আমরা।ক্লাসের দিকে যাচ্ছিলাম আর সবাই আমার দিকে তাকিয়ে আছে। হঠাৎ একজন ফিসফিস করে বলে বানরের গলায় মুক্তার মালা বাহ ভালোই তো। আমি কিছুই বললাম না। আসলে কথা তো সত্যিই আমি হচ্ছি একটা ক্ষ্যাত আর রিমি কত স্মার্ট। এই কথা ভেবে হাটছিলাম আর পিছন থেকে কে যেন ডাক দিল এই ক্ষ্যাত দাড়া। আওয়াজ শুনে বুজলাম এ আর কেউ না এ হচ্ছে মাহি।

--- কিরে ক্ষ্যাত তোরে যত টা আবুল ভাবছিলাম তুই তো ততটাও আবুল না। তুই তো অনেক চালাক।

--- মানে আপনি কি বলতে চান। আমি আপনারে কি করছি?

--- তুই আমারে কি করবি। আমার কিছু করার সাধ্য আছে তোর। তা রিমি তুই এই ক্ষ্যাতের সাথে কি করে এত ক্লোজ হলি। এই ক্ষ্যাত তোর ওপর কি জাদু করল রে??

--- দেখ মাহি প্রথমে তুই আরিফ কে ক্ষ্যাত বলা বাদ দে। আর দ্বিতীয় আরিফ আমার ওপর কোনো যাদু ই করে নাই। আমিই ওর সাথে ফ্রেন্ডশিপ করেছি।

--- কিইইই ফ্রেন্ডশিপ তাও এই ক্ষ্যাতের সাথে। হা হা হা হা হা হা ওরে কেও আমায় ধর রে।

--- রিমি তুই এই ক্ষ্যাতের সাথে থাকিস কি করে রে এর জামা কাপড় এর অবস্থা দেখছস এরে দেখলেই আমার কেমন যেন বমি আসে। ইনফেক্ট আমার এখনি ঘা ঘুলাচ্ছে। মাহির সকল বান্ধবী একসাথে হো হো করে হেসে দিল

--- এই মাহি একদম চুপপপ। আরিফ কে নিয়ে একটা বাজে কথাও বলবি না তুই। আর আরিফকে অপমান করা তোরা সবাই বন্ধ কর। ও তোদের খায়ও না পরেও না। সো তোরা ওকে অপমান করবি না। আমি ডে-১ থেকে দেখছি তুই আরিফ রে সহ্য করতে পারস না। কেন রে? কি এমন করেছে আরিফ।

--- আসলে কি জানিস এই ফকিন্নি রে দেখলে আমার পায়ের রক্ত মাথায় উঠে যায়। এ কীভাবে যে আমাদের কলেজে এডমিশন পেয়েছে সেটাই আমার অবাক লাগে। সমস্যা নাই পাপাকে বলে একে কলেজ থেকে বাইর করার ব্যবস্থা করতেছি।

--- ছি মাহি ছি তুই এতটা নিচ। তোকে আমার বান্ধবী বলতেও ঘৃনা হয়। ছি ছি তোদের থেকে আরিফ হাজার গুন ভাল আছে।

এতক্ষন এদের সব কথাই মাথা নিচু করে শুনতে লাগলাম। আসলে গরীব দের জীবনে সুখ বলতে কিছুই নেই। গরীবদের কপালে অত্যাচার সহ্য করাই লেখা আছে। বড়লোকরা গরীবদের মানুষ বলেই গন্য করে না। সবসময় পায়ের নিচেই রাখা হয় গরীবদের। সমাজে সর্বস্তরে গরীব দের তাচ্ছিল্য করা হই।

--- হা হা হা হা এই ক্ষ্যাতরে শীঘ্রই কলেজ থেকে বাইর করার ব্যবস্থা করতেছি ওয়েট আন্ড সি।

--- এই আরিফ চলো তো। এই কথা বলে রিমি আমার হাত ধরে ক্লাসে নিয়ে গেল। আর আমার পাশে বসে পড়ল। জানো মাথা পুরাই হট হয়ে গেছে এই সব কথা শুনে মাহির

--- কেন? মাহি যা বলল সবই তো সত্যি। আসলেই তো আমারে দেখলে তো সবার বমি আসারই কথা৷ গরীব ঘরের সন্তান বলে কথা।

--- আরিফ দেখ একদম উল্টা পাল্টা কথা বলবা না। তুমি যদি নিজেকে সম্মান না দাও তাহলে সমাজও তোমায় সম্মান দিবে না। তাই আগে নিজেকে সম্মান দাও। আর নিজেকে একা ভাববা না কোনোদিন আমি তোমার পাশে থাকব সবসময়।

--- ধন্যবাদ। সত্যিই তুমি অনেক ভাল। আমি কখনও তোমায় ভুলব না।

--- ইটস ওকে। এখন ক্লাস কর স্যার চলে এসেছে।

--- হুম। তারপর একে একে সব ক্লাস করলাম। ক্লাস শেষে আমি আর রিমি হাটতেছি রিমি বলে উঠল

--- আচ্ছা আরিফ তোমার কি জিএফ আছে?

--- হঠাৎ এই প্রশ্ন করলা কেন?

--- আহহহ বলোই না৷ তোমার কি জিএফ আছে বা কাউকে কি তুমি ভালবাসো?

--- হা হা হা গরীবের আবার ভালোবাসা। কেউ তো কথাই বলে না আবার ভালোবাসা। তা হটাৎ এইরকম প্রশ্ন কেন?

--- না এমনে জিজ্ঞেস করলাম। আচ্ছা তোনার ফেসবুক আইডির নাম কি?

--- কেন বলোতো?

--- এমনে কেন দিলে কি প্রবলেম? আচ্ছা যাও লাগবে না।

--- আরেহহহহ রাগ কর কেন। আচ্ছা নাও বলতেছি। তারপর কি আর করার দিলাম ফেসবুক আইডি। আচ্ছা আইডি কেন চাইছ বলো তো।

--- এমনে বাই। রাতে কথা হবে। এখন বাসায় যাও

--- ওকে তুমি যাবা না।

--- না আমি একটু পরে যাব। আমার একটু কাজ আছে।

--- ওকে বাই। এই কথা বলে আমি বাসায় চলে আসলাম। ফ্রেশ হয়ে খাবার খেয়ে দিলাম শান্তির একটা ঘুম। ঘুম থেকে উঠে একটু ফেসবুকে ডুকলাম। ডুকেই মাথায় বাজ পরল। আল্লাহ গোওওওওও

চলবে.........???

কেমন হলো সবাই জানাবেন।

ধন্যবাদ
গল্পের নাম ক্ষেত ছেলেটি যখন হ্যাকার
571 Views
9 Likes
0 Comments
3.8 Rating
Rate this: