এই নে তোর বউকে।ষারের মত নাক ডাকে এ তো আমায় আজ বয়ড়া করে দিত।(দাদী)
--হি হি হি।(আমি)
--হি হি দাদী তুমি খুব ফাজিল।আমি তো ওনার সাথে থাকি উনি তো কখন রাগ করেন না।(পিচ্চি)
--হ তুই তোর ওনার সাথেই থাক বোন আমায় মাপ করে দে।আর যা যা বলছি সব মনে আছে তো।(দাদী)
--হুম সব মনে আছে একটাও মিস করবো না।(পিচ্চি)
--মনে থাকে যেন আবার যেন ভুলে যাস না।।(দাদী)
--আমি কখন ভুলি না কোন কথা মনে করে থেক হা আর এজন্যই ক্লাসের প্রথম ছিলাম।(পিচ্চি)
--হইছে থাক আর বেশি কথা বলস না।এই সালা বউকে বস এখন করতে পাড়লি না কেমন মরদ তুই হা।(গুতা দিয়ে চলে গেল)
--ওরে দাদী তুই থাকলে বুঝতি আমার জায়গায়। এই গাধার বাচ্চা আমায় প্যারা দিতে দিতে শেষ করে ফেলেছে।
--হি হি হি।
--হাসছোস কেন হা ওমা,দৌড়ে এসে সালাম করা শুরু করে দিল।কি ব্যাপার আজ এত সালাম কেন করছো
--আজ থেকে আপনি আমার স্বামী।বমি কখন আপনাকে আর কারো হতে দিব না।আপনাকে সারাদিন মশার মত করে জ্বালাবো।আপনাকে খেতে বসতে রাস্তায় যেতে সব জায়গায় সালাম করব।আপনাকে ভালবাসার আদরের চাদরে বেধে রাখব।আপনার সকালে ঘুম না ভাঙ্গলে আদর করে ঘুমিয়ে দিব।চাদনি মাখা রাতে আপনাকে নিয়ে ছাদে গিয়ে রোমান্টিক মহৃতে রাত কাটাবো।
--আমি তো শুনে অবাক এত পরিবর্তন তুমি সত্যি বলছ নীলা।তুমি এখন থেকে আমায় এত ভালবাসে।
--আহা দাড়ান না পড়ের গুলো মনে নেই। যা কথা বলে তো সব গুলিয়ে দিলেন এখন।
--মানে কী বলছ।
--পড়ে যে দাদী কী বলেছে কিছু মনে নেই।
--আমি তুই দাদীর কথা শুনে এসব বলছিস চল এখন ঘুমা সালা মন টাই খারাপ করে দিল।
--ওই।
--হুম কী হইছে।
--একটু জড়িয়ে ধড়েন না খুব ভাল লাগে আমার।
--আমি আর কিছু না বলে জড়িয়ে ধড়লাম কথা বাড়ালেই কেদে বাবার ভয় দেখাবে।
--আচ্ছা নীলা তোমার বান্ধবী ছিল না।
--ছিল তো অনেকগুলো।
--ওহ ওরা প্রেম করত না।
--হুম করত তো।একজন ৩ টার সাথে একজন ২ টার সাথে।একজন মাসে মাসে বয়ফ্রেন্ড নাকী কি জানি বলে না ওটা পাল্টাত সবাই অনেক জায়গায় ঘুড়তে যেত কত কী করত।
--আর তুমি করতা না।
--না না ছি ছি আমি ওসব করি নাই।
--কেন কর বাই।
--আমার মা আমাকে খুব মাড়ত কোন ছেলের সাথে কথা বললে ছোট থেকেই।আবার মা আমাকে স্কুলে রেখে আসতো আবার আসার সময় মা বাহিরে দাড়িয়ে থাকত আনার জন্য।আর সারাক্ষন শুধুই পড়তাম। একটা রাক্ষসী আমার আগে রোল করেছিল তখন থেকে আমি আরো দিন রাত পড়তাম।তাড়পড় ওকে আর আগে যেতে দেই নি।জানেন আমি সময় চকলেট খেতাম আর যাওয়ার সময় আইসক্রিম খেতাম খুব মজা লাগত।
--এজন্যই তুমি এত গাধী।
--আচ্ছা আমার কথা শুনে কেউ তেমন হাসে না আপনি সবচেয়ে বেশি হাসেন কেন।
--এমনি😁ঘুমাও।সারারাত নাকের ডাকে কেমন লাগে।সকালে উঠলাম আজ একটু আজ থেকে অফিসে যেতে হনে ফ্রেশ হয়ে সবাই মিলে নাস্তা করতে যা।
--ভাইয়া যাওয়ার সময় আমার একটু স্কুলে রেখে যাস তো।(বোন)
--আচ্ছা একটু তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নিস কারন অনেকদিন পড় অফিসে যাচ্ছি অনেক কাজ আছে।
--হুম।
মাঃবাবাকে উদ্যশো করে। শোন খেয়ে ওয়াশরুমে যাও।
--কেন।
--অনেকগুলো কাপড় আছে ওগুলো ধুয়ে শুকাতে দিয়ো।
--হুফ হুফ কাশতে কাশতে। কী আমি কেন এগুলো কাজ করব হা।এগুলো তোমার কাজ
--না পাড়লে পুরানো গালফ্রেন্ড দের ডেকে নিয়ে এসে কাপড় কাচবে।আর কথা না শুনলে একবেলা খাবার বন্ধ হা মনে থাকবে।
--😬😬😬
--বাবা আপনি আর একটা মা নিয়ে আসেন উনি কাপড় ধুবে আর আমরা আর একটা মা পাব হি হি।(পিচ্চি)
--নীলা সব বিষয় নিয়ে সবসময় ফাজলামি না।(আমি)
--ঠিক বলেছিস মা তাই করা লাগবে।(বাবা)
--বাবা এ তো দেখি সবাই ওর পক্ষে ও যতই রাগের কথা বলুক কিছু বলবে না।এ ছেমরি তুই কী যাদু যানস নাকি রে(মনে মনে)
--ওই একটু খাইয়ে দিন না।(পিচ্চি)
জানি আমাকে বলছে কিন্তু নিচের দিকে তাকিয়ে তাও খাচ্ছি।
--ওই কি হল।
পাড়ব না তোর হাত নেই।(রাগ নিয়ে)
--ভ্যা ভ্যা বাবা দেখছেন খালী রাগ দেখায়।।(এই থাপ্পড় মনে হয়) খেলাম।
--নিজের বউকে তুলে খাওয়াবি না তো কাকে খাওয়াবি। যা বলছে তাই কর মা তুই কাদিস না।(বাবা)
কী করব তুলে খাওয়তে লাগলাম।সবাই😁খেয়ে রেডি হয়ে নিচে গেলাম।
--পরী কই তুই তাড়াতাড়ি আয়।
--এইতো ভাইয়া আসছি।
বাবা মা দাদী সবাই দাড়িয়ে আছি।পিচ্চি কোথা থেকে দৌড়ে এসে।এই এই কে কে।একি তুই পা,ধড়ে সালাম করছিস কেন।
--পা ধড়ে সালাম করতে হয় স্বামী বাইরে গেলে।
--কেমন ডা লাগে এই গাধার বাচ্চা তুই বাইরে যাচ্ছিস তাই পা ধড়ে সালাম করবি।এটা কে শিখাইছে তোরা।
--নখ তুলে ওইতো উনি।
দাদী😠😠😠😠তুই।
সবাই😁😁😁
(Next....)
জিমি
খুব sweet একটা গল্প
আতিক আহমেদ
ধন্যবাদ