আমি নির্দোষ

আমি নির্দোষ সকল দোষ অন্যজনের কথাটি বর্তমানে অধিক প্রচলিত। জোয়ান মরদ বুয়া শিশু এ বিষয়টা সবার মাঝে বিদ্যমান নিজের দোষ আমরা কেউ স্বীকার করতে নারাজ।
যদি বলেন কেমনে আপনার ছোট বাচ্চাটাকে দিয়ে বুঝাই আমার বাচ্চা আর পাশের বাড়ির বাচ্চা একসাথে খেলছিল হঠাৎ আপনার বা পাশের বাসার বাচ্চা কান্না শুনতে পেলেন দুই প্রতিবেশী বা দুই বাচ্চার মা বাচ্চাদের কাছে আসলেন এসে যদি দেখেন আপনার বাচ্চা কান্না করছে তখন বলবেন পাশের বাড়ির বাচ্চা আপনার বাচ্চাকে মেরেছে যদি ওনার বাচ্চা কান্না করছে তাহলে উনি বলবেন আপনার বাচ্চা ওনার বাচ্চাকে মেরেছে ।
আসলে কে কাকে মেরেছে বাচ্চাদের জানার জন্য জিজ্ঞেস করেন ঠিক আমতা আমতা করে উত্তর দেবে ও আগে আমাকে মেরেছে দ্বিতীয় বাচ্চা জিজ্ঞেস করলে এরকম উত্তর দিবে তাহলে দোষটা কার।কেউ দোষ নিজের গায়ে নিতে নারাজ হয়তো বলবেন ওরা বাচ্চা তাই ওরা এরকম করে আপনি যদি দোষ করতেন আপনিও কি ঠিক এরকম করতেন বিশ্বাস হচ্ছে না তো একটা উদাহরণ দেই। যদিও হাস্যকর তারপরও সত্য আপনি যখন একটা অন্য কারো বাচ্চা কোলে নিয়ে দুষ্টামি করছেন তার পাশে কেউ নাই আপনার অজান্তেই বা দুষ্টামি ছলে বাচ্চাটা ব্যাথা পেয়ে কান্না শুরু করে দিল তখন আপনি কি ভাববেন হায় হায় তার মা তো ভাববে আমি মেরেছে। মনে করেন এই মুহূর্তে বাচ্চার মা ও চলে এসেছে তখন আপনি কি উত্তর দিবেন জানেন বলবেন কোলে তো ছিলো হঠাৎ এমনি এমনি কান্না শুরু করলো ভাবি ভয় পেয়েছে মনে হয় না হয় আমাকে চিনেনা তো বিভিন্নভাবে দোষটা আপনি কিন্তু এড়িয়ে যাবেন।
এভাবে আমরা আমাদের হাজারো দোষ এড়িয়ে যাচ্ছি কিন্তু সে দোষ গুলো ঠিক কারো না কারো উপাযর গিয়ে চেপে পড়ছে ।
আমরা চাপিয়ে দিচ্ছি কিভাবে? শালিশে একতরফা বিচার করে টাকাযর জুরে নিজে দোষ করে টাকা দিয়ে নির্দোষ নিজে হয়ে অন্যকে বানাচ্ছি দোষী তবে সেটা প্রার্থী লাভ হল ভয়ানক ক্ষতি করে নিচ্ছি নিজেরাই নিজেদের ।
মহান রাব্বুল আলামিন পবিত্র কুরআন সূরা নিসার ১১২ নং আয়াতে বলেন

কেউ কোনো দোষ বা পাপ করিয়া পরে উহা কোনদ্ নির্দোষ ব্যক্তির প্রতি আরোপ করিল সে তো মিথ্যা অপবাদ ও স্পষ্ট পাপের বোঝা বহন করে ।

অতএব আমরা মুসলিমরা জানি সবই কিন্তু মানি না । রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন।
শেষ জামানায় আমরা উম্মতরা হাসতে হাসতে গুনা করে তারা বুঝতেও পারবে না যে তাদের গুনাহ হয়ে যাচ্ছে ।

আল্লাহ আমাদের সবাইকে হেদায়েত দান করুক আমিন।