এটিটিউট গার্ল

অডিও মোড

00:00 00:00
গতি:
ভলিউম:
বৃষ্টির রাতের পর থেকে রূপা আর রিয়াদের মন যেন আরও অস্থির হয়ে উঠল। দুজনেই জানত, কিছু একটা পরিবর্তন দরকার। আর লুকিয়ে রাখা যাবে না।

একদিন বিকেলে কলেজে সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ছিল। রূপা আবৃত্তি করছিল, আর রিয়াদ সঞ্চালনার দায়িত্বে। মঞ্চে দাঁড়িয়ে যখন রূপা তার মায়াবি কণ্ঠে কবিতা পড়ছিল, তখন পুরো হল নিস্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল।

কবিতা শেষে হাততালি পড়ে গেল, আর ঠিক সেই মুহূর্তে রিয়াদ মাইকে উঠে বলল—
—“আজ আমি শুধু সঞ্চালক নই। আজ আমি একজন মানুষের কাছে একটা সত্যি কথা বলতে চাই। হয়তো এটা আমার জীবনের সবচেয়ে সাহসী কাজ হবে।”

সবাই অবাক হয়ে গেল। রূপার বুক জোরে ধকধক করতে লাগল।

রিয়াদ সরাসরি রূপার দিকে তাকিয়ে বলল—
—“রূপা, তোকে প্রথম দিন দেখে মনে হয়েছিল তুই খুব অহংকারী, শুধু এটিটিউড দিয়ে ভরা। কিন্তু সময়ের সাথে বুঝলাম, তুই আসলে ভীষণ শক্ত মনের মেয়ে, ভেতরে ভেতরে অনেক কোমল। তোকে ছাড়া আমি নিজের ভবিষ্যত কল্পনাই করতে পারি না। আমি তোকে ভালোবাসি, রূপা।”

হলঘরে শোরগোল পড়ে গেল। রূপা হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে রইল। চোখে জল চলে এলো। কিছুক্ষণ পর ধীরে ধীরে মাইকের দিকে এগিয়ে এসে বলল—
—“তুই আমাকে ভুল বুঝেছিলি, ঠিক। আমি তোকে ক্ষমা করেছি অনেক আগেই। কিন্তু একটা কথা আজ আমিও বলব… আমিও তোকে ছাড়া আমার পৃথিবী কল্পনা করতে পারি না, রিয়াদ।”

হলঘরে হাততালি আর উল্লাসে ভরে গেল। লাবন্য চিৎকার করে বলল—
—“এবার তোরা অফিসিয়ালি এটিটিউট গার্ল আর ওর হিরো!”

রূপা আর রিয়াদ একে অপরের চোখের দিকে তাকাল। যেন সব অভিমান, দ্বিধা আর না বলা কথা মিলিয়ে গেল এক নিমিষে।

সেদিন থেকে তাদের গল্প নতুন পথে পা রাখল—একটা স্বপ্নের পথে, যেখানে একে অপরের হাত শক্ত করে ধরে এগিয়ে যাওয়া ছাড়া আর কিছু নেই।

48 Views
2 Likes
0 Comments
5.0 Rating
Rate this: