রূপা আর রিয়াদের দূরত্ব যেন অনেকটা কমে এসেছে। দুজন এখন প্রায়ই ক্লাসে বা লাইব্রেরিতে একসাথে বসে থাকে। কিন্তু তাদের মাঝে এখনো এক অদৃশ্য দেয়াল দাঁড়িয়ে আছে—যেখানে লজ্জা, দ্বিধা আর ভয় জমে আছে।
লাবন্য মাঝে মাঝে মজা করে বলে,
—“তোমাদের দুজনকে দেখে মনে হয়, দুটো চুম্বক পাশাপাশি আছে, শুধু একে অপরকে আকর্ষণ করছে, কিন্তু কেউ সাহস পাচ্ছে না একেবারে কাছে যাওয়ার।”
রূপা শুধু মুচকি হেসে এড়িয়ে যায়, আর রিয়াদ মুখ নামিয়ে ফেলে।
একদিন কলেজ শেষে রূপা একা বাড়ি ফিরছিল। হঠাৎ বৃষ্টি নেমে এলো। বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে ভিজে যাচ্ছিল সে। তখনই রিয়াদ এসে দাঁড়াল পাশে, হাতে একটা ছাতা।
রূপা অবাক হয়ে তাকাল। রিয়াদ নরম স্বরে বলল—
—“তুই ভিজে যাবি, ছাতার নিচে আয়।”
রূপা কিছুক্ষণ ইতস্তত করল, তারপর ধীরে ধীরে রিয়াদের পাশে এসে দাঁড়াল। বৃষ্টির শব্দ, ভেজা বাতাস আর নীরবতা—সবকিছু যেন তাদের হৃদস্পন্দনকে আরও জোরালো করে তুলল।
রিয়াদ কয়েকবার বলতে চাইল মনের কথা, কিন্তু গলা শুকিয়ে গেল। রূপার হাত হালকা ছুঁয়ে যেতেই বুকটা কেঁপে উঠল।
বাড়ির কাছে পৌঁছে রূপা ধন্যবাদ জানাতে গিয়েও কিছু বলতে পারল না। শুধু মায়াবি চোখে একবার তাকাল রিয়াদের দিকে।
রিয়াদ বুঝল, কিছু একটা বলতে হবে… কিন্তু ঠিক সেই মুহূর্তে রূপা বিদায় জানিয়ে ভেতরে চলে গেল।
রিয়াদ দাঁড়িয়ে রইল ভেজা রাস্তায়, নিজের মনে বলল—
বলা কথাগুলো আর কতদিন বুকের ভেতর লুকিয়ে রাখব?”
সেদিন রাতে রূপাও ঘুমোতে পারল না। জানালার পাশে বসে বৃষ্টি দেখতে দেখতে মনে মনে বলল—
“আমিও তো ওকে বলতে চাই… কিন্তু সাহস পাই না।”
এভাবেই দুজনের মনে জমতে থাকল না বলা কথার বোঝা।
এটিটিউট গার্ল
অডিও মোড
00:00
00:00
গতি:
ভলিউম:
31
Views
1
Likes
0
Comments
5.0
Rating