এটিটিউট গার্ল

অডিও মোড

00:00 00:00
গতি:
ভলিউম:
কিছুদিন ধরে রূপাকে আর আগের মতো হাসিখুশি দেখা যায় না। ওর চোখে সবসময় এক অদ্ভুত ভারী ভাব, যেন ভেতরে জমে থাকা দুঃখ কাউকে বুঝতে দিতে চায় না। ক্লাসে আসলেও চুপচাপ বসে থাকে, লাবন্য ছাড়া আর কারও সাথে কথা বলে না।

অন্যদিকে রিয়াদ নিজের ভেতরেও অস্থির। যদিও সে কঠিন কথা বলে রূপাকে কষ্ট দিয়েছিল, কিন্তু মনের গভীরে একটা অপরাধবোধ কুরে কুরে খাচ্ছিল।

অবশেষে একদিন লাবন্য রিয়াদের সামনে এসে দাঁড়াল। চোখেমুখে বিরক্তির ছাপ—
—“তুমি জানো তোমার কথায় রূপা কতটা কষ্ট পেয়েছে?”

রিয়াদ মাথা নিচু করে বলল,
—“আমি শুধু যা দেখেছি সেটাই বলেছি।”

লাবন্য দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল,
—“তুমি যা দেখেছো সেটাই সব সত্য নয়। ক্যান্টিনে যার সাথে রূপা ছিল, সে তার বড় ভাই। ঢাকা থেকে এসেছিলো কিছু কাজের জন্য। আর তুমি ভেবে নিলে অন্য কিছু!”

কথাগুলো শুনে রিয়াদের বুক কেঁপে উঠল। যেন একটা ভারি পাথর এসে বুকে পড়ল। নিজের ভুলের জন্য ভেতরটা পুড়ে যেতে লাগল।

সন্ধ্যায় রিয়াদ সাহস করে লাইব্রেরিতে গেল। রূপা এক কোণে বসে বই পড়ছিল। ওর চোখে ক্লান্তি, মুখে নিঃশব্দ অভিমান।

রিয়াদ ধীরে গিয়ে বলল,
—“রূপা, আমি… আমি ভুল করেছি। তোমার ভাইকে ভুল বুঝেছি। আমার কথা তোমাকে আঘাত দিয়েছে, আমি সত্যিই দুঃখিত।”
রূপা বই বন্ধ করে শান্ত চোখে তাকাল। ঠোঁটে অল্প একটুখানি হাসি ফুটল, তবে সেটা ব্যঙ্গাত্মক—
—“ক্ষমা তো সহজে পাওয়া যায় না, রিয়াদ। বোঝার চেষ্টা না করলে বিচার করার অধিকারও নেই।”

রিয়াদ নির্বাক হয়ে দাঁড়িয়ে রইল। রূপার কথাগুলো বুকের ভেতর তীরের মতো বিঁধলো।

সে বুঝল—এটিটিউট গার্ল শুধু আত্মবিশ্বাসী নয়, তার হৃদয়ও ভীষণ সংবেদনশীল। আর সেই হৃদয়কে আঘাত দিয়ে সে বড় ভুল করে ফেলেছে।

রূপা উঠে দাঁড়িয়ে চলে গেল। আর রিয়াদ স্থির
34 Views
2 Likes
0 Comments
5.0 Rating
Rate this: