এটিটিউট গার্ল

অডিও মোড

00:00 00:00
গতি:
ভলিউম:
কলেজে দ্বিতীয় সপ্তাহ চলছে। রূপা আগের মতোই একা একা থাকে। ক্লাস শেষে সবাই যখন আড্ডা দেয়, ক্যান্টিনে হাসি-তামাশায় মেতে থাকে, তখন রূপা বই নিয়ে লাইব্রেরির কোণে বসে যায়। ওর চারপাশে যেন এক অদৃশ্য দেয়াল তৈরি হয়ে আছে—যা কেউ ভাঙতে সাহস করে না।

কিন্তু একদিন বিকেলে, হঠাৎ লাবন্য এসে পাশে বসলো। লাবন্য পুরো ক্লাসের সবচেয়ে শান্ত-স্বভাবের মেয়ে। সবসময় মাথা নিচু করে থাকে, কাউকে কিছু বলে না।

ও আস্তে বলল,
—“তুমি কি সবসময় একা থাকতে ভালোবাসো?”

রূপা একটু অবাক হয়ে তাকাল।
—“হয়তো। একা থাকলেই শান্তি।”

লাবন্য মুচকি হাসল।
—“তোমাকে সবাই এটিটিউট গার্ল বলে। কিন্তু আমি মনে করি তুমি খারাপ নও, বরং ভেতরে অনেক ভালো। শুধু সেটা কাউকে দেখাও না।”

কথাটা শুনে রূপা প্রথমবারের মতো চুপ হয়ে গেল। ওর বুকের ভেতরে যেন চাপা কষ্ট নড়েচড়ে উঠলো। অনেকদিন পর কেউ ওকে বোঝার চেষ্টা করল।

রূপা ধীরে বলল,
—“মানুষ মুখ দেখে বিচার করে। কেউ জানতে চায় না কেন আমি এমন।”

লাবন্য মাথা নেড়ে বলল,
—“আমি জানতে চাই। হয়তো আমি তোমার বন্ধু হতে পারি।”

রূপার ঠোঁটে হালকা হাসি ফুটলো। ওর চোখে ভেসে উঠলো এক অদ্ভুত কোমলতা। সেই মুহূর্তেই দুজনের মধ্যে অদৃশ্য এক সেতু তৈরি হলো—একাকিত্ব ভাঙার সেতু।

কিন্তু ঠিক তখনই করিডোর থেকে শোনা গেল রিয়াদের কণ্ঠস্বর— —“বন্ধুত্ব হোক বা এটিটিউড, আমি দেখে নেবো কে আসল বিজয়ী।”

রূপা আর লাবন্য একে অপরের দিকে তাকাল। মনে হলো সামনে আরও বড় ঝড় আসছে।
28 Views
2 Likes
0 Comments
5.0 Rating
Rate this: