পরদিন সকাল। কলেজের মাঠে ছাত্রছাত্রীদের ভিড় জমে উঠেছে। রূপার প্রথম দিনের “সাহসী প্রশ্ন” নিয়ে সবার মুখে মুখে আলোচনা। কেউ বলছে—“মেয়েটার ভীষণ দেমাক।” কেউ আবার ফিসফিস করে—“আরে না, ও শুধু আত্মবিশ্বাসী।”
রূপা করিডোর দিয়ে হাঁটছিল। চারপাশে যে কৌতূহলী দৃষ্টি, সেগুলোকে যেন ওর কোনো গুরুত্বই নেই। কেবল চোখেমুখে সেই একই দৃঢ়তা।
ক্লাস শুরু হতেই রূপার সামনের বেঞ্চে বসা রিয়াদ উঠে দাঁড়াল। ও সবার সামনে উচ্চস্বরে বলল,
—“স্যার, গতকাল নতুন ছাত্রী একটা প্রশ্ন করেছিল। আমি মনে করি ও প্রশ্নটা বইয়ের বাইরে গিয়ে অহেতুক নাটক করার চেষ্টা।”
সবাই ফিসফিস শুরু করে দিল। রূপা চুপচাপ তাকিয়ে রইল রিয়াদের দিকে। স্যারের সামনে দাঁড়িয়ে এত বড় অভিযোগ—কারও মুখে হাসি, কারও ভ্রু কুঁচকে গেল।
রূপা ধীরে ধীরে উঠে দাঁড়াল। শান্ত গলায় বলল,
—“প্রশ্ন করা কখনো নাটক নয়। যদি কেউ সত্য জানতে চায়, তবে সেটাকে অহেতুক বলা মানে জ্ঞানকে থামিয়ে দেওয়া।”
ক্লাস নিস্তব্ধ। স্যারের চোখে একরাশ বিস্ময়। তিনি ধীরে মাথা নেড়ে বললেন,
—“ভালো বলেছো, রূপা। জ্ঞানী মানুষ সবসময় প্রশ্ন করে।”
রিয়াদের মুখ কিছুটা লাল হয়ে উঠল। ও কিছু না বলে চুপচাপ বসে পড়ল।
তবে মনে মনে শপথ নিল—“এই মেয়ে আমাকে সবার সামনে ছোট করেছে। আমি দেখিয়ে দেবো, ওর আত্মবিশ্বাস আসলে একধরনের অহংকার। এবং সেই অহংকার আমি ভাঙব।”
রূপা জানালার বাইরে তাকিয়ে রইল। চোখেমুখে এক রহস্যময় হাসি—যেন বুঝেই গেছে, তার সামনে আসছে নতুন এক চ্যালেঞ্জ।
এটিটিউট গার্ল
অডিও মোড
00:00
00:00
গতি:
ভলিউম:
27
Views
2
Likes
0
Comments
5.0
Rating