কলেজের সকালটা ছিল একেবারেই সাধারণ। ছাত্রছাত্রীদের হাঁটাচলা, ক্যান্টিনে চায়ের গন্ধ, ক্লাসরুমে হালকা কোলাহল—সবকিছু আগের মতোই। কিন্তু হঠাৎ করেই পরিবেশটা যেন বদলে গেল। গেট দিয়ে ভেতরে ঢুকলো এক মেয়ে—লম্বা খোঁপা, সাদা সালোয়ার-কামিজ, চোখে কালো ফ্রেমের চশমা আর মুখভর্তি আত্মবিশ্বাস। মেয়েটির নাম রূপা।
প্রথম দিনেই ওর হাঁটার ভঙ্গি আর কড়া দৃষ্টি দেখে অনেকেই ফিসফিস করে বলল,
—“কে এই মেয়ে?”
—“নতুন ছাত্রী নাকি? বেশ এটিটিউড তো!”
ক্লাসে ঢুকেই রূপা এমনভাবে সবার দিকে তাকালো, যেন সে কারো সাথে মিশতে আসেনি, বরং প্রমাণ করতে এসেছে যে, ও আলাদা। স্যার যখন পড়াচ্ছিলেন, তখন হঠাৎ রূপা হাত তুলল।
“স্যার, এই ব্যাখ্যাটা কি বাস্তবে খাটে? নাকি শুধু বইয়ের ভেতরে সীমাবদ্ধ?”
পুরো ক্লাস স্তব্ধ। সাধারণত কেউ স্যারের সাথে এভাবে প্রশ্ন করে না। স্যারও একটু থমকালেন, তবে উত্তর দিলেন। রূপা চুপচাপ মাথা নেড়ে লিখতে লাগলো।
কিন্তু সবার মনে তখনো ঝড় বইছে।
ছেলেরা হাসাহাসি করে বলল, “বাহ! এ তো একেবারে এটিটিউট গার্ল।”
মেয়েরাও ভ্রু কুঁচকে ভাবল, “এত দেমাক দেখাচ্ছে কেন?”
দিন শেষে ক্লাস শেষ হলে করিডরে দাঁড়িয়ে রূপা জানালার দিকে তাকিয়ে ছিল। চোখে এক অদ্ভুত শূন্যতা, যেন বাইরে তাকালেও ভেতরের ঝড় কাউকে বুঝতে দিচ্ছে না। হয়তো ওর এই আত্মবিশ্বাসের আড়ালে লুকিয়ে আছে গভীর একাকিত্ব—যা কেউ জানে না।
ঠিক তখনই পিছন থেকে শোনা গেল এক কণ্ঠস্বর—
“তুমি যতই এটিটিউড দেখাও না কেন, এখানে তোমাকে আমি হারাবই।”
রূপা ঘুরে তাকালো। চোখে চোখ পড়ে গেল ক্লাসের প্রথম ছেলে রিয়াদের সাথে।
ওর ঠোঁটে হালকা হাসি খেলে গেল।
“দেখা যাক।”
এটিটিউট গার্ল
অডিও মোড
00:00
00:00
গতি:
ভলিউম:
31
Views
1
Likes
0
Comments
5.0
Rating