প্রথম প্রেম

অডিও মোড

00:00 00:00
গতি:
ভলিউম:
আমরা হয়তো প্রথম ভালোবাসা টাকে কেউ চিনতে পরে উঠিনা। আসলে প্রথমে প্রেমটা বোধহয় সবার জীবনেই আসে তুই তুকারি পরিসীমা মধ্যে। সবকিছুই বেখেয়ালে হয় , কিন্তু খেয়াল রাখি সবকিছুই তার জন্য। গোপনে ভালো লাগা, মন কেমন করা সব একটা অভ্যাস হয়ে যায়। অনন্ত আমার জীবনে ঝুমের অবস্থান টা ওরকম ই ছিলো। আমি ভালো ডাস পিয়ারা পেলে ওর জন্য রাখতাম, ও আমাকে আচার চুরি করে খাওয়াতো। টিয়াপাখির দেখানোর নামে জড়িয়ে ধরা, মানে যেকোনো অজুহাতে ওকে ছোঁয়া জন্য ওর পারমিসন কিংবা আই লাভ  ইউ বলি নি কোনোদিন। সময় আমাদের দূরে নিয়ে গেছে। কিন্তু স্মৃতি গুলো ট্রাম লাইনের মতো সাথে সাথেই চলছে   সমান্তরাল ভাবে। কোনো দিন মিলনের দাবি রাখে নি। যাইহোক সেই দিন একটা সোস্যাল মিডিয়া আমি একটা ছবি পোষ্ট করলাম। সবাই বিভিন্ন রিয়েক্টর দিলো। একটাই সেড রিয়েক্ট । মেসেজ বক্স মেসেজ" কি হয়েছে তোর? "
আমি বললাম " কিছু হয়নি"
না ছড়ো বন্ধা ও বললো " আগেতো সব কিছুই বলতি আমায় , আজ ও বলে হল্কা হয়ে নে"
ঘড়িতে বারোটা বাজতে ই লিখলাম "শুভ জন্মদিন।"
ও বললো" তুই এ বছর ও আমাকে প্রথম উইস করলি। জানিস আমাকে আমার জন্মদিন এ যাতে উইস করতে পারে তাই, ফ্রেন্ডবুকে আমার জন্মদিনটা ভুল ভাল দিয়ে রেখেছে আমার বর। ও বলে ও একা উইস করবে আমাকে। এবার ও বোধহয় ভুলে গেছে। যাইহোক তুই অন্তত ভুলিস নি এখনো"
আমি বললাম" আমার লেখার ভিতর অর্থ আজো তো তুই শুধু বুঝতে পারিস।"
দুই জনে ই চুপচাপ হারিয়ে গেলাম রাতের অন্ধকারে,
মাঝে মাঝে তারপর থেকে কথা হতো আমাদের।
সব কিছু ছিলো ওর তবুও ওর হাসিটা হারিয়ে গেছিলো।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত ওর মুখে হাসি ফুটলো। না হাসি খুশি ও ছিলোই। তবে কৃত্রিম হাসি। রঙ চঙ মেখে, বিউটি পার্লারে গিয়ে ও ওর রূপ চর্চা তেই বেশি সময় কাটাতো। বড়লোকের বউ সময় কাটাতে অনেক কিছুই আছে। তবে তবু ওর ঠোঁটে র হাসিটা ছিলো কিছুটা মেকি।
ও কে আমিতো ছোট্ট বেলা থেকেই চিনি। কিছু বলতেই এ বিষয়ে চাইলেই খেঁকিয়ে উঠতো। কখনো এরিয়ে যেতো যেনো ওটা আমার দেখার ভুল। তারপর একদিন বলেই ফেললো, অনেক ডাক্তার দেখিয়েছে তবু কেউ বলতে পারছে না কেন ও মা হতে পারছে না। শেষ মেষ আমি ওকে বললাম একবার গোকুল থেকে ঘুরে আসতে। ওর বর প্রথমে যাবে না। বললে ছিলো, "ও সব ধাপ্পা বাজী।"
আজ ওর কোলে গোপাল, খিল খিল করে হাসছে কোল আলো করে। আপনজন দের মধ্যে একটা খুশির হাওয়া। যেনো উৎসব চলছে। ওর বাবা তো বাজারের সবাইকে মিষ্টি খাইছে। আশ্রমে মানি ওডার করে বেশ কিছু টাকা পাঠিয়েছেন।
কিন্তু ওদের দেখতে আসতে, যে আমারো ইচ্ছে করেছিলো। কিন্তু ফোনে বুঝতে পারলাম। শুধু খুশি হবার ভান করলেও খুশি নয়, ওর বর। আমি যেনো আরো চক্ষু শুল হয়ে গেছি ওর বরের । আমি এতো অপমানিত কখনো হয়নি।ও ওর বরে সব কথা শুনতে পেয়েছিলো। ওর কাছেও অপমানের।
আমাদের প্রথম প্রেম পবিত্র এবং সৎ। সেটা আমরা দুই জনেই জানি।
ও বললো অনেক কিছুই। আমি ওকে সান্ত্বনা দিয়ে বললাম "সব ঠিক হয়ে যাবে গোপাল সব কিছু ঠিক করে দেবে।"
ও অনেক বার কলকাতা ফিরে যেতে বললো আমাকে। কিন্তু আমি আবার ঠিকানা বদল করলাম। কারণ আমি চাই ও আমাকে যাতে আর খুঁজে না পায়।

38 Views
0 Likes
0 Comments
0.0 Rating
Rate this: