দিনলিপি : বিয়ে

আজ তানু University ভিতরে প্রবেশ করার
আগেই হঠাৎ বহুদূরে চোখ পড়লো,কেউ ১জন
অগোছালো ভাবে এলোমেলো ভাবে বসে
পাগলামি করছে,আর হয়তো কাঁদছে......
কি জানি কোন Students হবে.........
তানু দ্রুত দৌড়ে গেলো কাছে আর কাছে যেতেই দেখতে পেলো.... এএএএএ কি????
ও তো Ali.....
Tanu : Ali? কি হয়েছে? Is Everything ok
My boy????What Happened???
Ali : (আরও জোরে জোরে কান্না)..... আমি শেষ তানু ম্যাম.......
Tanu : পাশে বসে, মাথায় ১বার হাত বুলিয়ে দিয়ে মনে মনে ভাবছে, পুরুষ মানুষের চোখে
পানি,,আর এভাবে কান্না.....?? তারপর বললো,
listen calm down..ব্যাগ থেকে পানির বোতলটা দিয়ে বললো,এই নাও পানি খাও।
আর আমাকে বলো কি হয়েছে?

Ali: আজ মিহরাব এর বিয়ে (কাঁদতে কাঁদতে)
Tanu : (একটা গভীর নিঃশ্বাস নিয়ে) জিজ্ঞেস করলো _ভালোবাসা?
Ali: 2টো ছলছল চোখ নিয়ে তানুর দিয়ে তাকিয়ে ইশারায় জবাব দিলো,হুমমমম।
Tanu : বুঝেছি....(১/২মিনিট চুপ থাকার পর)
listen..আমি এতো বিশ্লেষণে যাবো না,
আমাকে শুধু এতটুকু বলো,তুমি কি এটা অনুভব করো যে,,তুমি মিহরাব কে ছাড়া শূন্য হয়ে যাবে? তোমার পক্ষে বেচে থাকা Difficult হয়ে যাবে?
Ali : কাদো কাঁদো গলায়.. মিহরাব আমার জীবন ম্যাম, আমার স্বস্তি, নিঃশ্বাস,ওর জন্য আমি সব করতে পারি, সব ছাড়তে পারি,আর কি বলবো কিছু বলার হিম্মত নেই.. ..
Tanu : ok..এবার বলো,তোমার কি পরিপূর্ণ বিশ্বাস আছে যে,,মিহরাবও তোমায় ভালোবাসে? সে তোমার জন্য রহমত?
Ali : আমার মিহরাব আমায় ভীষণ ভালোবাসে ম্যাম!! আল্লাহর দেওয়া শ্রেষ্ঠ উপহার মিহরাব আমার জীবনে।

Tanu : মাশাআল্লাহ। তাহলে যাও,এখনই উঠো আর নিয়ে এসো নিজের ভালোবাসা কে।
Ali : অবাক হয়ে তাকিয়ে তানুর দিকে........ Mam????????
Tanu : হুমমম..নিয়ে এসো। তোমার জায়গায় আমার সন্তান থাকলে আমি তাকেও আজ এটাই বলতাম। even তোমার জায়গায় যেকোন পুরুষ, যেকেউ থাকলে তাকে এটাই বলতাম। ভালোবাসা কোন পাপ নয়। দুনিয়ার জমিনে ঈমানের পর শক্তিশালী হচ্ছে ভালোবাসা। ভালোবাসা যদি কোন অপরাধ হতো তাহলে মহানবী ও হযরত আলী কখনোই বলতো না যে,,তোমরা যাকে ভালোবাসো তাকেই আপন করো। ভালোবাসা অপরাধ হলে,,আল্লাহ কখনোই ইউসুফ জুলেখার ইতিহাস তৈরি করতো না। ভালোবাসা অপরাধ হলে আল্লাহ কখনো ২ পবিত্র আত্নার দোয়া কবুল করতো না!! বরং আল্লাহ তা'আলা স্বয়ং সেই আত্নাগুলোকে এক করে দেন,যে আত্নাগুলো সত্যি একে অপরকে ভালোবাসে।
মাঝখান দিয়ে শুধু একটু পরীক্ষা নেন এতটুকুই।

Ali...my boy... এসবের পর যে সবচেয়ে বড় কথা তা হলো,,একজন পুরুষ, আসল পুরুষ
কখনোই তার ভালোবাসা ছাড়ে না।ঐ মুহুর্তে দরকার পড়লে সে villain হয়ে যায়, কিন্তু ভালোবাসা হাসিল করেই ছাড়ে। আল্লাহ ছাড়া পুরো কায়নাত তাকে আটকাতে পারেনা।
একজন নারীর ভালোবাসাকে পরিবার, সমাজ মিলে গলাটিপে মেরে ফেলতে পারে।তার কিছু করার থাকে না। কারণ নারীরা সবসময়ই বন্দী খাঁচার পাখি।কিন্তু তোমরা পুরুষরা নও। তুমি যদি Sure থাকো,বিশ্বাস থাকে যে মিহরাবের ভালোবাসাও তোমার প্রতি অটুট.... তাহলে যাও। আর দেরী করো না।
আর,,যদিও বিশ্বাস না থাকে,দ্বিধা দ্বন্দ্বে থাকো,এখনও মিহরাব তোমায় ভালোবাসে কি না,তুমি গেলে তোমার হাত ধরবে কি না,,,তাও আমি বলবো,,তুমি ঐখানে যাও। খালি হাতে ফিরো বা ভরা হাতে যেটাই হোক....ভালোবাসার
ময়দানে অন্তত তোমার গিয়ে দাড়ানো উচিত।
নয়তো সারাজীবনের এ আফসোস তোমাকে তিলে তিলে আরও দ্রুত মেরে ফেলবে।

Ali : চোখের পানি মুছে,,আমি যাবো ম্যাম।আমি আমার ভালোবাসা নিয়ে আসবো।যদিও সে আমাকে ভালো নাও বাসে তাও আমি আজ তাকে সারাজীবন এর জন্য আমার কাছে নিয়ে আসবো। দরকার হলে,আপন করে নিয়ে আবার না হয় তার ভালোবাসা জিতবো ধীরে ধীরে......
Tanu : এইতো পুরুষের মতো পুরুষ 🔥
এবার তাড়াতাড়ি চলো,আমিও যাবো তোমার সাথে........!!
কিছুক্ষণের মধ্যে তানু ও আলী মিহরাব এর বাসায় পৌছে গেল......
পুরো বাড়ি বিয়ের সাজে সজ্জিত।
আলী বাইক থেকে নেমেই একদম villain এর দ্রুত গতির কদম ফেলে সামনের দিকে এক পা এক পা করে এগিয়ে যাচ্ছে... কোন ১জনকে জিজ্ঞেস করলো খুবই শান্ত ভাবে মিহরাব কোথায়?
উত্তর দিল... ডান পাশের রুমে।
আবার তার villain এর বেশে চলন। তার চোখমুখ,চুল পুরো অবয়বে আজ যেনো শুধু মিহরাব এর জন্য লড়াই সব ভুলে......
ডান পাশের রুমে ঢুকেই কেউ ১জনকে দেখেই
আলী থমকে গেলো...... আর ১টা নিঃস্তব্ধতার সুর.......... Mihrab??????
হঠাৎ মনে হলো কেউ আঁতকে উঠলো এমনভাবে যেন তার বুক আর সারা শরীরে এক শিহরণের জোয়ার বয়ে গেল.....
আলীর দিকে ফিরতেই.... তার্কিশ রীতী অনুযায়ী রানীর সাজে কেউ ১জন বউয়ের সাজে সজ্জিত।
হ্যা সেই কেউ ১জন..... Mihrab!!
Ali ও Mihrab ২জন সামনাসামনি অনেক দিন পর।
Ali : চোখ ছলছল করছে..........
Mihrab : কান্নার আগেই চোখ দিয়ে পানি গড়িয়ে পড়ছে...... মনে হচ্ছে আজ শুধু মিহরাব না বরং তার চোখ ২টোও বেশ দুখী এবং একা।

(পরবর্তী কাহিনী আবার পরবর্তী পর্বে)