অপেক্ষা

অডিও মোড

00:00 00:00
গতি:
ভলিউম:
শ্রুতি, এক মিষ্টি স্বভাবের মেয়ে, সবার সঙ্গে হাসিমুখে মিশে চলে। এখন তার বয়স 24 বছর, সে কাজ করে এক নামকরা কর্পোরেট অফিসে। দেখতে গেলে সে অফিসের প্রাণ, যেন এক চলন্ত রসের হাঁড়ি!

অফিসে ঢুকেই সে এমনভাবে সবার মন ভালো করে দেয়, যেন ক্লান্তি শব্দটা কারও অভিধানে নেই। হাসি, গান, খুনসুটি-সব মিলিয়ে সে পুরো অফিসটাকে এক আনন্দময় জায়গা বানিয়ে রেখেছে। কাজের চাপে কেউ হাঁপিয়ে উঠলে, শ্রুতি এসে মিষ্টি করে বলে, "চা খাও, আর এক চামচ মজাও নাও!"

শ্রুতি মানেই দমকা খুশির হাওয়া। যেখানেই সে যায়, সঙ্গে নিয়ে যায় আনন্দ, মজা আর একরাশ হাসি।আজ রবীন্দ্র জয়ন্তী অফিসে অনুষ্ঠান, তাই সকাল সকাল উঠে তৈরি হচ্ছে শ্রুতি। এমন সময় দরজার কলিং বেল বেজে ওঠে।
মিনাক্ষী (শ্রুতির মা) গিয়ে দরজা খোলেন। বাইরে দারিয়ে প্রিয়া আর স্নেহা।
প্রিয়া: কাকীমা শ্রুতি কোথায় ?
মিনাক্ষী:" ঘড়ে আছে তৈরী হচ্ছে যা.."তারপর তারা শ্রুতির ঘড়ে যায়। তারা হঠাৎই চলে আসায় শ্রুতি ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে উঠে বসে এবং আরালে চোখ মুছতে থাকে। ওরা ঘড়ে ঢুকতেই শ্রুতি বলল : ও তোরা চলে এসেছিস পাঁচ মিনিট দারা আমি তৈরি হয়ে আসছি
স্নেহা: সে না হয় বুঝলাম কিন্ত এই ভাবে আর কতদিন থাকবি ?শ্রুতি : মানে? কীভাবে রয়েছি আমি ! সবই তো ঠিকই আছে ।
প্রিয়া : সব কিছু যদি ঠিকই থাকে তাহলে কাঁদছিলি কেন ?
শ্রুতি : আমি ! আমি আবার কান্না। আমি হাসতে ভালোবাসি , আমি কাঁদতই পারি না ।
প্রিয়া : এখন তুই আমাদের শেখাবি তুই কী পারিস কী পারিস না। আমরা তো সবটাই জানি লুকিয়ে কী হবে,তার চেয়ে আমাদের কাছে কেঁদে একটু হালকা হয়ে নে।
এই বলতে বলতেই ইশান (শ্রুতির দাদা ) ঘড়ে ঢোকে.......


( চলবে.... )
92 Views
1 Likes
0 Comments
0.0 Rating
Rate this: