স্বপ্ন ডানা

সকালবেলা সূর্যের আলোয় ভরে ওঠে ছোট্ট টাঙ্গাইলের এক গ্রামের স্কুলমাঠ। মাঠের একপাশে বসে থাকে মিষ্টি হাসি আর স্বপ্নের ঝিলিক নিয়ে ছোট্ট মেয়েটি— রুমি। তার চোখে লুকিয়ে আছে অগণিত স্বপ্নের ডানা।

রুমি ছোট্ট হলেও স্বপ্ন বড়। সে চায় একদিন বড় শহরে গিয়ে পড়াশোনা করবে, চিকিৎসক হবে, আর গ্রামের মানুষদের ভালো করে সাহায্য করবে। তার মা বলত,
“বাবা নেই, তাই তোমারই হবে আমাদের আশা।”

স্কুলের প্রতিদিনের ক্লাস শেষে রুমি বাড়ি ফিরে বই পড়ে, আবার লেখাপড়ার মাঝে কাজ করে মা-বাবার ছোট্ট খামারে। তার ছোট্ট হাতের ডানায় লেগে আছে মাটির গন্ধ আর সংগ্রামের ছোঁয়া।

একদিন স্কুলে নতুন শিক্ষক আসলেন—সোহেল স্যার। তিনি দেখলেন রুমির মধ্যে এক অদ্ভুত একাগ্রতা, ভালোবাসা।
“রুমি, তুই চাইলে বড় হওয়ার স্বপ্ন পূরণ করতে পারবি,” বললেন তিনি।

রুমি চোখ বড় করে তাকাল। তার মনের ভিতর একটা আলোর ঝলকানির মতো জ্বলে উঠল।

তার পর থেকে সে আরও কঠোর পরিশ্রম করতে লাগল। দিনের পর দিন বই পড়ল, পরীক্ষায় প্রথম হলো, আর গ্রামের মানুষদের মধ্যে নতুন আশা হয়ে উঠল।

একদিন রুমি গ্রামের পুরনো গাছের নিচে বসে বলল,
“আমার স্বপ্নগুলো আমার ডানা, আমি একদিন আকাশে উড়ে যাব।”

তার স্বপ্নের ডানাগুলো সত্যি হয়ে উঠল— সে বড় শহরের কলেজে ভর্তি হলো, চিকিৎসা পড়তে লাগল। মাঝে মাঝে গ্রামের খবর জানত, বাবা-মায়ের মুখে তার নাম শুনে হাসি ফুটত।

স্বপ্ন মানে শুধু দেখা নয়, সেগুলোকে জীবনে বাস্তবায়িত করাই সত্যিকারের জয়। রুমি সেই জয়লাভ করল— তার স্বপ্নের ডানা মেলে উড়ে গেল।