লক্ষণ

দিনের পর দিন হৃদয়গুলো যেন পরিণত হচ্ছে পাথরে,
চোখে চোখ পড়ে, তবু অনুভূতির আলো পড়ে না চোখে।
অশ্রু ঝরে কারো, তবু তা আর ব্যথা জাগায় না হৃদয়ে,
বরং বিরক্তি টের পাই,
চুপ করলেই তো শান্তি ,এমন এক স্বার্থপর প্রত্যাশা।

মায়া, দয়া, সহানুভূতি,
এখন শব্দমাত্র, এক বিস্মৃত ঐতিহ্য,
যেন কোনো জাদুঘরের ধুলোধূসর ধ্বনি,
যেগুলো ছুঁতে গেলেই উঠে আসে উপহাস,
এত কোমল মন নিয়ে সমাজে টিকে থাকা দায়!

মানুষ কি তবে রোবট হয়ে উঠছে ধীরে ধীরে?
নাকি যন্ত্রেরা শিখছে মানুষের মুখোশ পরা কলাকৌশল?
একটি ঠান্ডা আচরণ, মাপা হাসি, হিসাবি সম্পর্ক,
এই যেন আজকের চেনা সমাজ, চিহ্নহীন মানবতা।

এ কি কেবল কালের স্বাভাবিক প্রবাহ?
নাকি ভবিষ্যতের পূর্বাভাস,
যেখানে হৃদয়ের আলো নিভে যাওয়ার পূর্বে
একবার শেষবারের মতো জ্বলে ওঠে নিঃশব্দ কাঁপনে?

আমি তাকিয়ে থাকি, ভাবনার গভীরে ডুবে যাই,
যদি সত্যিই একদিন সমস্ত অনুভূতি নিস্তব্ধ হয়ে যায়,
তবে আমরা তখনও নিজেদের
মানুষ বলেই অভিহিত করব?