গল্প সমাহার
---
📘 গল্প: অশরীরী ছায়া
🕯️ পর্ব ৭: ছায়ার নিচে ছায়া
---
রাহুল এখন জানে—শান্তা রায়চৌধুরী শুধু একটা আত্মা না। সে এক অসমাপ্ত ভালোবাসা, এক মিথ্যা আশ্বাস, আর এক ভয়ঙ্কর অভিশাপ।
রাতের পর রাত, রাহুল ঘুমাতে পারছে না। ঘুমালেই শান্তা তার সামনে এসে দাঁড়ায়।
> “তুই আমার লাশ বের করে দিবি… নাহলে আমি তোর ভেতরে ঢুকে যাবো।”
শেষপর্যন্ত রাহুল সিদ্ধান্ত নেয়—সে সেই পুরনো কুয়োর পাশে খুঁড়বে।
দাদার পুরনো ঘর থেকে একটা কোদাল নিয়ে, সে রাতে বেরিয়ে পড়ে।
বৃষ্টির রাতে কুয়োর পাশে দাঁড়িয়ে, সে খুঁড়তে লাগল...
১ ফুট… ২ ফুট… হঠাৎ কোদালের নিচে কোনো কিছু শক্ত জিনিসে ধাক্কা লাগে।
সে হাত দিয়ে মাটি সরিয়ে দেখে… একটা হাড়ের টুকরো। আর তার পাশে ছেঁড়া সাদা জামার অংশ…
ঠিক যেমন শান্তা পরে ছিল।
কিন্তু তখনই ঘটে কিছু অস্বাভাবিক।
আকাশের কালো মেঘের গর্জনের ভেতর—রাহুল দেখতে পায় তার পেছনে কেউ দাঁড়িয়ে।
ঘুরে তাকাতেই দেখে… সে নিজেই।
একটা আয়নার মতো প্রতিফলন। কিন্তু ভয়ঙ্কর রূপে। চোখদুটো কালো, মুখে অদ্ভুত হাঁসি।
সে বলল—
> “তুই ভাবছিস তুই শান্তাকে বাঁচাতে চাস।
কিন্তু তুই জানিস না, আসলে… শান্তাকে প্রথম ধাক্কাটা কে মেরেছিল?”
রাহুল অবাক হয়ে বলে—
“আমি? আমি তো জন্মাইওনি তখন!”
ছায়া-রাহুল বলল,
> “তুই দাদার নাতি না…
তুই দাদার পুনর্জন্ম…
শান্তা যা দেখে ফেলেছিল, সেটা ঢাকতেই তো তাকে মারা হয়েছিল…”
> “আর এখন… শান্তা চায় তুই নিজের হাতে নিজের অতীতকে মুছে ফেলিস… নয়তো তোকে ওর মতো করে বেঁচে থাকতে হবে… একটা ছায়া হয়ে…”
রাহুল হঠাৎ টের পেল—তার হাত কাঁপছে…
আর আয়নার কাচের মতো মাটির ভেতর থেকে একটা হাত বেরিয়ে আসছে!
শান্তা উঠে আসছে।
কিন্তু মুক্তির জন্য না।
প্রতিশোধ নিতে।
---
🔚 (চলবে…)
---
📌 পরবর্তী পর্বে:
রাহুল হয়তো দৌড়ে পালাতে পারবে না...
কারণ এবার সে নিজেই অর্ধেক মৃত, অর্ধেক ছায়া...
যদি গল্পটি ভালোলাগে তাহলে একটি লাইক দিয়ে ও পেজটি ফলো দিয়ে বসে থাকে। ভালো থাকবেন ভালো রাখবেন আল্লাহ হাফেজ।
28
Views
0
Likes
0
Comments
0.0
Rating