পঞ্চগড় সরকারি কলেজের প্রাচীন রাজ্যের গম্বুজের ছায়ায় ফাহিম দাঁড়িয়ে ছিল। পড়াশুনার চাপ আর ভবিষ্যতের চিন্তায় তার মন ভারাক্রান্ত, কিন্তু চোখে ভেসে উঠছিল ঋতুর মৃদু হাসি।
ঋতু, কলেজের এক উজ্জ্বল ছাত্রী, যার চোখে পঞ্চগড়ের নদীর মতো শান্তি আর শহরের ব্যস্ততার মাঝে এক অনিন্দ্য মাধুর্য ছিল। তারা দুজনে কলেজের একই বিভাগে পড়ে, অনেক ক্লাস একসাথে নেয়, কিন্তু তাদের সম্পর্ক ছিল ধীরে ধীরে গড়ে ওঠা এক কোমল বন্ধুত্ব।
এক বিকেল, কলেজের প্রাঙ্গণে যখন সূর্য ডুবে যেতে শুরু করছিল, ফাহিম আর ঋতু একসাথে করতোয়া নদীর ধারে হাঁটছিল। চারপাশে নদীর ধারা মৃদু সুর তুলছিল, আর দূরে ছোট্ট শহরের আলো ঝলমল করছিল।
“তুই জানিস ঋতু,” ফাহিম বলল, “আমাদের পঞ্চগড় সরকারি কলেজের এই ছোট্ট পৃথিবীটা আমার কাছে সবচেয়ে ভালো জায়গা। এই শহরের গলির ধোঁয়া, কলেজের সেই পুরনো বইয়ের গন্ধ, আর তোর সঙ্গ... এগুলো সব মিলিয়ে আমার স্বপ্ন।”
ঋতুর গাল লাল হয়ে উঠল, “আমার ও তাই, ফাহিম। এই কলেজ, এই শহর আর তুই—আমার জীবনের সবচেয়ে বড় উপহার।”
দুজনের হাত ধরা হয়ে গেল, যেন দুটো সঙ্গীতের সুর মিশে এক হয়ে গিয়েছে।
পঞ্চগড় সরকারি কলেজের বাগান থেকে শুরু হয়ে, করতোয়া নদীর পাড়, শহরের ছোট্ট রেস্টুরেন্ট আর গ্রন্থাগারে তাদের ভালোবাসার গল্প ছড়িয়ে পড়ল। কলেজ বন্ধের পরও তারা সেখানেই দেখা করত, গপ্পো করত, একসাথে পড়াশোনা করত।
একদিন ঋতু বলল, “আমাদের জীবনের গল্পটা এই শহরের মানুষের মতো সাদাসিধা, কিন্তু আমার মনে হয়, সেই গল্পে থাকবে অনেক ভালোবাসা আর স্বপ্ন।”
ফাহিমের চোখ জ্বলে উঠল, “আমরা দুজনই জানি, এই শহরেই আমাদের পথ চলবে, সপ্নগুলো সত্যি হবে। তুই থাকবি পাশে, আমি থাকব পাশে—তখনই এই ছোট্ট শহরটা আমাদের বড় জায়গা হয়ে উঠবে।”
বছর শেষে তারা দুজনে কলেজ থেকে উত্তীর্ণ হয়ে নিজেদের ছোট্ট জগৎ গড়তে শুরু করল। পঞ্চগড় সরকারি কলেজের স্মৃতি আর ভালোবাসা তাদের জীবনভর সঙ্গী হয়ে রইল—একটি শহরের মধ্যে লুকানো এক অসাধারণ প্রেমের গল্প।
---
বাইরে গরম হলেও পঞ্চগড় সরকারি কলেজের ভেতরে তাদের ভালোবাসার ঠাণ্ডা মায়া গুঞ্জরিত থাকত, যেটা যে কেউ শুনতে পেত—যা কেবল দুই হৃদয়ের জন্য লেখা হয়েছিল।
ভালোবাসা
অডিও মোড
00:00
00:00
গতি:
ভলিউম:
41
Views
5
Likes
0
Comments
5.0
Rating