গত পর্বে.....
সময় নিজের মতো বয়ে চলেছে,সমীর আর নিরার বিয়ের ১০ দিন হয় গেছে।এই কয়দিনে তারা দুজন একে অপরের প্রতি কেয়ারিং হয়ে গেছে।
একে অপরের প্রয়োজন,ভালো লাগার দিকে খেয়াল রাখে।দুজনের মনেই একে অপরকে দেখলে এক অদ্ভুত ফিলিংস হয়।আসলে দুজনে একে অপরকে মনের অজান্তেই ভালোবেসে ফেলেছে।🤭
চলুন ওদের কাছে যাই,,,,,
উফ্!কতো বেলা হয়ে গেছে!নিরা আমাকে ডাকলো না কেন?একটু কফি পেলে জমতো।(সমীর মনে মনে বলল)
Thanks.(সমীর)
Your welcome.(নিরা)
তুমি আমাকে আগে ডাকো নি কেন?আজ তো আমার মিটিং আছে।(সমীর)
আপনি বোধহয় ভুলে যাচ্ছেন আজ শুক্রবার।(নিরা)
ওওও,তাই তো।ভালো করেছ আমাকে না ডেকে।আরও একবার ধন্যবাদ।কফির কাপে ছোট্ট করে চুমু দিয়ে বলল সমীর।
আর আপনার কি মনে আছে ৫ দিন পরে রাইসার বিয়ে।আজ সবাই মিলে শপিং করতে যাওয়ার কথা?(নিরা)
রাইসা হলো সমীরের ছোট বোন।
হ্যাঁ!ভুলবো কেন?তা কখন যাওয়া হচ্ছে?(সমীর)
১১ টার দিকে।এখন উঠুন,ব্রেকফাস্ট করতে হবে তো।আমি গেলাম দাদু - দাদিকে চা দিয়ে আসতে।(নিরা)
হুম।(সমীর)
নিরা রুম থেকে বেরিয়ে গেলো,ওর যাওয়ার দিকে কিছুক্ষণ অদ্ভুত দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো সমীর।
মেয়েটা সবার সাথে কি রকম মানিয়ে নিয়েছে!কিন্তু আর তো কয়েকদিন,তারপর ওর আর আমার রাস্তা আলাদা।কিন্তু কেন যেন মনে হচ্ছে ওকে ছাড়া আমি থাকতে পারবো না!কারণ কী???(সমীর মনে মনে বলল)
এদিকে,নিরা সমীরের রুম থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর কিছুটা আবেগপ্রবণ হয়ে গেলো।----
সমীর,,,আর কয়েকদিন পর আমাদের আলাদা হয়ে যেতে হবে!কিন্তু আমার যে এটা একদম ভালো লাগছে না।আমি যে তোমায় ভালোবেসে ফেলেছি,হুম প্রথম দেখাতেই ভালোবেসে ফেলেছি।তবে,এতোদিন বুঝতে পারিনি।এখন বুঝতে পারলও বলতে পারছি না শুধু,বলেও কী খুব একটা লাভ হবে?
"New shoping complex"শহরের সবচেয়ে নামী শপিং মল।এখানেই এসেছে সমীর ও নিরা পরিবারের সাথে।
প্রথমে গেলো লেহেঙ্গার দোকানে।সেখান থেকে রাইসার জন্য একটা লাল টুকটুকে লেহেঙ্গা কেনা হলো।
তাতে সোনালী রঙের সুতো দিয়ে কাজ করা।লেহেঙ্গাটা অনেকটা শাহী ধাঁচের।এরপর পর সবাই দোকান থেকে বের হয়ে গেলো,সবার শেষে ছিলো নিরা।
হঠাৎ কেউ ওর হাত চেপে ধরলো,তখনই কেউ ওর মুখে হাত রেখে ওকে দুই দোকানের মাঝখানের ফাঁকা জায়গায় নিয়ে গেলো!চমকে দেখলো একজন ২৬-২৭ বছরের ছেলে তার হাত ধরেছে!
বাহ্!খুব সুন্দর তো তুমি?(ছেলেটি)
এই কে আপনি?ছাড়ুন,ছাড়ুন আমাকে।(নিরা কাঁপা কাঁপা গলায় বলল)
সুন্দরী,তোমাকে আমি তাড়াতাড়ি ছাড়ছি না।হা হা হা।
ছেলেটার ঠোঁট জোড়া নিরার ঠোঁটের দিকে এগিয়ে যেতে লাগলো।নিরা ছটফট করে নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করেও না পেরে চোখ বন্ধ করে ফেলল।
কিন্তু কিছু হলো না,কয়েক মুহূর্ত পরেই একটা চাপা গোঙানির আওয়াজ শুনতে পেলো।
নিরা চোখ খুলে দেখলো ছেলেটার বাম হাত পেছনে নিয়ে গিয়ে ধরে রেখেছে সমীর।চোখে রাগ স্পষ্ট।
ছেলেটার গালে কষে একটা চড় মারলো সমীর।
তোর সাহস তো কম না!আমার নিরাকে টাচ করেছিস!
কী করা উচিত তোর সাথে?আমি তোকে পুলিশে দেবো।(সমীর)
সময় এক মাস
অডিও মোড
00:00
00:00
গতি:
ভলিউম:
71
Views
1
Likes
1
Comments
3.0
Rating