আয়না ঘর

ইস্তানবুল শহরের প্রান্তে শত বছরের পুরোনো এক ভিলায় ফিরলেন ৩৮ বছর বয়সী এলি সুরায়া। একসময় নামকরা সাইকোলজিস্ট ছিলেন তিনি, কিন্তু ৫ বছর আগে হঠাৎ করে হারিয়ে যান। এখন তিনি ফিরেছেন একেবারে একা, তার অতীত ঢাকা পড়া রহস্যে।

ভিলাটা ছিল তার পরিবারের পুরোনো বাসস্থান, যেখানে ছোটবেলায় তার যমজ বোন সেলিন মারা গিয়েছিল এক দুর্ঘটনায়। কেউ বলে সেটা দুর্ঘটনা ছিল না, কেউ বলে এলির হাতেই হয়েছিল সেই মৃত্যু।

বাড়িতে ঢুকে এলি দেখতে পান, আয়নার ঘর এখনো আগের মতোই আছে — এক দিক ঘেরা কাঁচে, যেখানে যে-ই ঢোকে, নিজেকে অনেকভাবে প্রতিফলিত দেখতে পায়। সেই ঘরে রাতের বেলায় অদ্ভুত ছায়া দেখতে পান এলি। আয়নায় কখনো নিজের চেহারা বদলে গিয়ে সেলিনের মতো মনে হয়, আবার কখনো আয়না ফাটল ধরে যায়, যদিও সকালে সব ঠিকঠাক থাকে।

দিনের পর দিন এলির মানসিক অবস্থা ভেঙে পড়তে থাকে। তিনি শোনেন সেলিনের কণ্ঠ, মনে হয় কেউ তার নাম ধরে ডাকছে। তার চেম্বার থেকে পুরোনো রেকর্ডিং বের হয়, যেখানে দেখা যায় এলি যেন সেলিন হয়েই কথা বলছেন।

এলি বুঝতে পারেন, তিনি হয়তো পুরো সময়টাই একা ছিলেন না।

এক রাতে আয়নার ঘরে মুখোমুখি দাঁড়ান এলি ও "সেলিন"। দুজনের চোখে জল, কিন্তু কেউ কারো দিকে এগোয় না। আয়নার অন্য পাশে থাকা সেলিন হঠাৎ বলল:
"তুই তো চাইলি আমায় হারাতে... এখন তুই কে?"

শেষ দৃশ্যে দেখা যায়, এলি দাঁড়িয়ে আছে আয়নার ভেতর। বাইরে থেকে তার প্রতিবেশীরা ভিলার দরজা ভাঙতে আসে, কিন্তু এলিকে খুঁজে পাওয়া যায় না। শুধু আয়নার ঘরে একটাই প্রতিবিম্ব — সেলিন।