আবিদ বলল হসপিটালে ফোন দিল কিন্তু কোন ভাবেই ছুটি বেশি দিন নিতে পারল না, শুধু ১টি দিন ছুটি পেল মানে শুধু রাত টুকুই এখানে থাকবে পরের সে চলে যাতে হবে..
রোজা ১টি দিন থাকবে শুনে খুশি হলো...
রাত হলো আবিদ রোজাকে বুকের মধ্যে জড়িয়ে নিল রোজাও খুব জোরে জড়িয়ে আছে আর ভাবছে সকাল হলেই উনি চলে যাবে।
আবিদ রোজাকে কাছে টানল অনেক কাছে রোজাও আবিদের ডাকে সাড়া দিল..
আবার তারা ভালবাসার অতল সাগরে ডুবিয়ে গেল..
একজন অন্যজনকে ছাড়া যেন কিছু বুঝতে চায় না। তাদের আদর ভালবাসা মায়া একে অন্যকে জড়িয়ে নিয়েছে।
সকাল হলে রোজার সারা শরীর এক বিন্দু কাপড় নেই, রোজা লজ্জা পেল আবিদের কপালে চুমু একেঁ দিল,তারপর কাপড় ঠিক করে নিজেকে পরিপাটি করে নিল, আবিদ উঠল ফ্রেশ হলো খাওয়া দাওয়া শেষ করে তার আজ যেতেই হবে।
শাশুড়ী মাও আর আটকালো না।
আবিদ যাওয়ার সময় রোজাকে টাকা দিল বলল এটা খরচ করো আর কিছু লাগলে আমাকে ফোন দিও।
রোজা মন ভার করে থাকল দূর থেকে আবিদকে যেতে দেখে খুব কষ্ট পেল।
আবিদ চলে গেল..
দিনটি কোন মতো কাটিয়ে..
রাত তখন প্রায় তিনটা।ঘরের সবকিছু অন্ধকার, নিঃস্তব্ধ, শুধু ঘড়ির কাঁটার টিকটিক শব্দটা শোনা যাচ্ছে।রোজা চুপচাপ বিছানায় শুয়ে, তাকিয়ে আছি সিলিংয়ের দিকে। বুকের মধ্যে এক অজানা আগুন। দীর্ঘদিনের আবিদ কে ছাড়া কাটাবে কি করে,এটা সহ্য করা কি রোজার সম্ভব হবে, তার সহ্য করার ক্ষমতাটাও ক্লান্ত।আবিদ ঘরের কোথাও নেই। ফোনে কথা বলবে তাই কল দিল কিন্তু আবিদ তো ঘুম।
সকালবেলা চোখে ঘুম নেই, মুখে হাসি নেই। হাতে চায়ের কাপ। কাপটা টেবিলে রাখতেই মনে হলো হাত কাঁপছে।
হয়তো ভয় নয়, বরং অভ্যস্ততা।
এভাবে প্রায় বিশ দিন কেটে গেল রোজার পরীক্ষা শেষ।
রোজা আবিদকে কল করল..
ফোন রিসিভ করতেই কখন বাসায় আসবেন আমাকে নিতে পরীক্ষাগুলো শেষ এবার আমাকে নিয়ে যান আপনি না বলেছিলেন আমাকে নিয়ে যাবেন পরীক্ষা শেষ হলে ...
একটু তাড়াতাড়ি আসবে আমার একা লাগে।
আচ্ছা ,
আমি তোমাকে আজই নিতে আসব একটু শান্ত হও বউ,রোজা খুশি হয়ে কল কেটে দিল..
আবিদের অন্য রকম খুশির অনুভূতি হলো রোজাকে আনবে ভাবতেই ভালো লাগছে,
আবিদ খাওয়া দাওয়া শেষ করে রওনা দিল....
গাড়িতে উঠেও রোজাকে যেন সে মিস্ করছে রোজার প্রতি তার মনের মধ্যে ভালবাসা কাজ করে রোজাকে অনেকদিন পর দেখবে ভেবে যেন হালকা মধুময় বাতাস প্রবাহ হচ্ছে , বাসায় গিয়ে যেন রোজা কে দেখলে যেন তার মনটা শান্ত হবে।
আজ রাস্তা গভীরতা এতোটা বড় শেষ ই হচ্ছে না। চারিদিকে গাড়ি চাপ বেশ কম তারপর ও অনেকটা রাস্তা বার বার মনে হচ্ছে আবিদের কাছে..
এদিকে রোজার সেজেগুজে বসে রয়েছে একটি নীল শাড়ি আর কানের টানা বড় একজোড়া দূল পড়েছে খুবই চমৎকার লাগছিল রোজাকে।
আবিদ এসে রোজাকে দেখে তো পুরোই ফিদা..
আবিদ বলল তো ম্যাডাম চলুন এবার..
বাড়ি পৌঁছে রোজা ফ্রেশ হলো আবিদের আম্মু আব্বু বোন ইজনিয়া সবাই খুশি ।
রাতে রোজা আবিদের জন্য বিজানা গুছিয়ে দিচ্ছে আর গুনগুন করে গান করছে। আবিদ রোজার দিকে একদৃষ্টিতে চেয়ে আছে, আবিদ গিয়ে রুমের দরজাটা বন্ধ করল। এই বার সে তো নিজেকে আর সামলাতে পারছে না,আবিদ আর নিজেকে কন্ট্রোলে রাখতে পারলো না।রোজার কাছে গেল বাহুডরে নিজেকে আবন্ধ করল রোজার ওষ্ঠে তার ওষ্টের ভালোবাসার ছোঁয়া দিতে লাগলো। দু'জন যেনো ভালোবাসার রাজ্যে ডুব দিয়েছে। ব্যস আর কিছুই চাইনা তার শুধু দুজন দুজনাকে ছাড়া। এটুকুতেই যেন এক টুকরো শান্তি লেগে আছে।'
সময় চলমান। জীবনের একটা জিনিস কখনো ধরে রাখা যায় না সেটা হচ্ছে সময়। সে তো নিজ গতিতে চলতেই থাকে। সময়ের সাথে সাথে মানুষ পরিবর্তন হয়, তাদের মন পরিবর্তন হয়, সম্পর্ক ও পরিবর্তন হয়। ঠিক তেমনটিই হচ্ছে আবিদ আর রোজার সম্পর্কে। আগের তুলনায় তাদের সম্পর্কের বেশ উন্নতিও হয়েছে।'
কিছুদিন পরে..
একদিন রোজা আবিদের সাথে কথা বলছে বলতে বলতে..
এতো কথা বলছে আবিদ শুনছে মন দিয়ে..
রোজা হঠাৎ বলল..
আমার বাচ্চা লাগবে ডাক্তার সাহেব।
আবিদ হাসছে অপ্রাসঙ্গিক কথা শুনে। সে নিজেই বাচ্চা আবার আরেকটা বাচ্চা চায়। বাচ্চার থেকে বাচ্চা হবে। কোন ভুত এখন মাথায় চেপে বসেছে কি জানি। এখন এই আধ পাগলটাকে সামলাবে কিভাবে। আবিদ বুঝছে না হঠাৎ বাচ্চার জন্য এমন পাগলামো করছে কেন?
দিন দিন সীমা অতিক্রম করে ফেলছে মেয়েটা। সারাদিন এমন প্যারা আর সহ্য হচ্ছে না।'
"তুমি এখনো নিজেই বাচ্চা আবার কোন মুখে বাচ্চার কথা বলো?"
রোজা মুখটা কুঁচকে ফেললো এই কথা তার পছন্দ হয় নি একদম।
"আমি আমার মুখ দিয়ে বলেছি আপনার কোনো সমস্যা? আর আমি বাচ্চা? তাহলে আদর করার সময় মনে রাখেন না কেনো?"
আবিদ হো হো করে হেসে উঠলো। হাসি তো রোজার মোটেও ভালো লাগলো না।'
আদর করা আর বাচ্চা গিফট দেওয়া অনেক পার্থক্য আছে বউ..
রোজা মন মানলো না এ কথায়। মেধা আপুর বাচ্চা হবে তাই এখন তারও বাচ্চা লাগবে। তারপর দু'জন প্রেগন্যান্ট হয়ে সারাদিন আড্ডা দিবে। আপাতত যেকোনো মূল্যে তার বাচ্চা চাই।'
"উহু আপনার কথা আমি মানতে চাচ্ছি না। আমার একটা বাচ্চা লাগবে ভাইয়া,
'আবিদের চোখ কপালে। এই রোজাকে চিনতে পারছে না সে। হতভম্ব হয়ে আছে পুরো। বাচ্চার শোকে পাগল হয়ে এখন বর কে ভাই ডাকছে। রোজা আধ পাগল ভেবেছিলো এখন দেখি পুরাই পাগল মেয়েটা। ভাইয়া ডাকা আবিদের পছন্দ হয়নি। জোর করে নিজের থেকে রোজাকে সরিয়ে দিলো।'
' মুখ চেপে ধরলো। খুবই হালকা ভাবে ধরেছে যেনো ব্যাথা না পায়। গম্ভীর কণ্ঠে বললো-'
"তুমি নিশ্চয়ই তোমার কোনো ভাইকে বিয়ে করোনি রাইট?"
রোজা মাথা নাড়লো। অর্থাৎ আবিদের বলা কথাটা সত্যি।'
"তাহলে আর কখনো ভাই ডাকবে না। এসব আমার পছন্দ না । নেক্সট টাইম যেনো তোমার মুখে এসব না শুনি। নাহলে খুব খারাপ হয়ে যাবে।"
'রোজা চবিদের গালের দাঁড়ি গুলো আলতো করে ছুঁয়ে দিলো। আহ্লাদী কন্ঠে বললো-'
"আচ্ছা বলবো না কিন্তু আমার একটা বাচ্চা লাগবেই লাগবে।"
'আবিদ বিরক্ত হলো। প্রচুর বিরক্ত সে। আর ভালো লাগছে না পদ্মের এসব কথা শুনতে। নিজে তো পাগল এখন তাকেও পাগল বানাতে চাচ্ছে...
নোট : ভালো লাগলে লাইক এবং কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে ভূলবেন না ।
বলো ভালবাসি
অডিও মোড
00:00
00:00
গতি:
ভলিউম:
112
Views
3
Likes
0
Comments
4.0
Rating