বলো ভালবাসি

অডিও মোড

00:00 00:00
গতি:
ভলিউম:
সব পাঠক পাঠিকারা আমার গল্পে নায়ক নায়িকার মিল চায়ছে তাই আপনাদের জন্য মিল করিয়ে দিলাম।

........স্পেশাল পর্ব......
(কঠোরভাবে প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য)


রোজা : কি কি বলবে ভাবছে ...

চারিদিকে বেশ অন্য রকম আবহাওয়া মাঝে মাঝেই বৃষ্টির একটু টুপ টুপ শব্দ হচ্ছে । কিছু সময় পড়েই যেন বৃষ্টির সব পানি গড়িয়ে পড়বে আকাশ থেকে মাটিতে।

রোজা ভাবছে আজকে আবিদকে ভালবাসার কথা বলতে তাতে যা হয় হোক।

আবিদ কথা শেষ করে রুমে ডুকলো...
এই যে ম্যাডাম কিছু বলবে...
রোজা :ডোক গিললো..

বাইরে তুমুল বৃষ্টি হচ্ছে ..
রোজা বলল আমি আপনাকে অনেক ভালবাসি।
বলেই জড়িয়ে ধরল ...
আবিদ তো মহা খুশি কিছু বলবে এমন সময় জানালা দিয়ে বৃষ্টির ছিটা গায়ে পড়লো দুজনের..
রোজা আর আবিদ জানালা গুলো বন্ধ করল..
তারপর আবিদ বলল..
সত্যি আমাকে ভালবাসো..

রোজা বলল.. হুমমমমম অনেক ভালবাসি , আমাকে স্ত্রীর মর্যদা দেবেন...
এটা অবশ্যই মেধা শিখিয়ে ছিল রোজাকে..
স্ত্রীর মর্যদা বোঝা তুমি?
হুম বুঝি আমি আপনাকে আমার করে পেতে চায়... আবার জড়িয়ে ধরল ..
আবিদ ও রোজাকে জড়িয়ে ধরল, দুজন দুজনকে খুবই জোরে আলিঙ্গন করে আছে।
আবিদ রোজা বিজানাতে শুয়ে দিল..
রোজার ঠোঁট ঠোঁট ভেজালো..
রোজার শরীরে যেন কম্পন সৃষ্টি হলো বৃষ্টি ও প্রচুর হচ্ছে বাইরে।
আবিদ তার ভালোবাসার বাহুডোরে আটকে ফেলল রোজাকে।রোজাকে আরো জোরে কাছে টানল...রোজাও আবিদের কাছাকাছি চলে গেল কেউ কাউকে একবিন্দুতে দূরে সরাবে না।
একে অন্যকে পাবার ইচ্ছে দুজনের কাছেই ধরা দিল..

৩৪বছরের একটা অভূক্ত শিকারীর মতো আবিদ। যেন তার সদ্য শিকার করে আনা ভালবাসা সে কি ছেড়ে দেয়...যা হবার তাই হলো একে অন্যকে ভালবাসার অতল সাগরে ডুবিয়ে নিয়ে গেল। যেন পৃথিবীতে তারা দুজন ছাড়া আর কেউ নেই।
রোজার চোখ দিয়ে পানি গড়িয়ে পরছে তবুই যেন এটাই সুখের প্রাপ্তির।
আবিদ রোজার চোখের পানি খেয়াল করে নি সে তো সুখের সাগরের ভাসছে কোনকিছুরই তার আর খেয়াল নেই।

বাইরে বৃষ্টি থামল কিন্তু তাদের ভালোবাসা তো অতলে গভীরে তলিয়ে যাচ্ছে...
রোজা মাঝেই মাঝেই কুঁকড়ে উঠছে ব্যাথাই

কিছুক্ষণ পর আবিদ রোজাকে ছেড়ে দিল..
রোজাও চুপ কিছু বলে না..
আবিদ বলল...
এই যে শুনছো... বেশি কষ্ট হয়েছে রোজা...

রোজা :জানি না সরুন..

আমার কান্না পাচ্ছে ..

আবিদ : শুধু কান্না ?

রোজা : ছি আপনি এতো খারাপ আমি জানতাম না

আবিদ : ওওও বুঝেছি...

রোজা তো ভালো মতো উঠতেই পারছে না।

আবিদ দ্রুত ওষুধ নিয়ে আর পানির গ্লাস নিয়ে এসে বলল এগুলো খেয়ে নাও ব্যাথা কমে যাবে। প্রথম প্রথম তো তাই... আমার কি দোষ বলো তুমিই তো মর্যদা চায়লে তাও আবার স্ত্রীর মর্যদা। হেসে হেসে বলছে..

রোজা :রাগ করে তাকিয়ে আছে মনে মনে বলছে রোজা (আমার কষ্ট তার কাছে কিছুই না)।

রোজা ওষুধ খেয়ে নিল।

আবিদ বলল ঘুমায় এখন ম্যাডান নাকি আরো কিছু...

রোজা তার আগেই বলে বসল..
আমি আর এসব পারব না ঘুমান মুখ বেকিয়ে...


পরদিন সকালে

রোজা লেট করে ঘুম ভাঙলো
আবিদ আগে উঠে রোজার দিকে তাকিয়ে আছে আর কাল রাতের ভালো সময় টা ভাবছে।
রোজার ঘুম ভেঙে আবিদের দিকে তাকিয়ে খুব রাগ উঠলো..

রোজা উঠলো মানে কি তাকিয়ে আছেন কেন...
আবিদ কাছে যাবে... এমন সময় আবারও সেই
ফোন বাজল...

একটি ইমারজেন্সি রোগী হসপিটালে ভর্তি তার জন্য আবিদকে দ্রুত বেরিয়ে যেতে হবে ফোন কেটে ফ্রেশ হয়ে নিল..
রোজা ফ্রেশ হয়ে নিও আমি হসপিটালে যাবো...
তাই বলে রোজার কপালে একটি চুমু দিয়ে বেরিয়ে গেল না খেয়ে।


নোট: যেহেতু গল্পটি একটি রোমান্টিক গল্প তাই গল্পের ধারাবাহিকতার প্রয়োজনে রোমান্টিক দেওয়া হয়েছে তাই কারোর খারাপ লাগলে ইগনোর করবেন, ভুলত্রুটি ক্ষমা করবেন... মতামত প্রকাশ করতে ভূলবেন না ।আপনারা অনেকেই ইনবস্ক করেন কিন্তু ইনবস্ক না করে কমেন্ট করুন, আপনাদের এক একটি কমেন্ট আমার লেখার আশা প্রকাশ পায় ধন্যবাদ।
134 Views
5 Likes
2 Comments
5.0 Rating
Rate this: