**__________________**
**_________________**
হঠাৎ কারেন্ট চলে আসায় অন্ধকারের আবেগময় পরিবেশের ছন্দপতন হয়। রাশেদের হাতে তিনটে প্যাকেট ছিল আমরা তা কেউ খেয়ালই করিনি।
রাশেদ বলল,,সবার জন্য কিছু জামাকাপড় কিনেছি দেখতো পছন্দ হয় কি না।
আমি বললাম,, আগে খাওয়া দাওয়া শেষ করি তারপর না হয় আরাম করে দেখবো। আমি টেবিলে খাবার দিতে উঠে যাই।
টেবিলে খাবার সাজিয়ে এসে দেখি মায়ের মুখ ভার। কি কারণ বুঝতে পারি না। খাওয়া শেষে কাপড় দেখার কথা মা রাশেদ কেউই বলে না।তাই আমিও আর সাহস করি না।
বিছানায় রাশেদ যখন ঘুমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিল আমি বললাম,,, আজ আপনার চোখে পানি দেখলাম।,কেন?? 😥😥
রাশেদ কিছুক্ষণ চুপ থেকে তারপর ভাবুক মনে বলল,,আজ কত বছর পর আম্মা গাইলেন!!
আব্বা মারা যাবার পর আমাদের পরিবার অনেক কষ্টে উঠে দাঁড়িয়েছে কিন্তু এ পথ অতিক্রম করতে
গিয়ে আমরা হাসতে ভুলে গেছি।
আজ আমরা সবাই স্ব স্ব অবস্থানে আছি। কিন্তু কোথায় যেন আমাদের মনের আনন্দ হারিয়ে গেছে।
তুমি আমার কাছে জানতে চেয়েছিলে না আমি কি কারণে তোমাকে বিয়ে করেছি।
আজ বলছি,,,, আমি তোমাকে প্রথম দেখেছিলাম একটা হলুদের অনুষ্ঠানে।শিউলির চাচাতো ভাইয়ের বিয়ে উপলক্ষে তুমি তোমার চাচীর সাথে এ শহরে এসেছিলে।
আমি সাধারণত এসব অনুষ্ঠানে যাই না। শিউলি বাবার বাড়ি বেড়াতে এসেছে শুনে সময় বের করতে করতে শেষে ঐদিন শিউলির সাথে দেখা করতে গিয়েছিলাম।
অনুষ্ঠান শেষে তখন সবাই ছড়িয়ে ছিটিয়ে গল্প করছিল। আমি শিউলির অপেক্ষায় একা একটা চেয়ারে বসেছিলাম।
হঠাৎ বয়স্ক মহিলাদের আসর থেকে হাসির শব্দ পাই। ওখানে চোখ গেলে সব পৌঢ় নারীদের মাঝে হাস্যোজ্জ্বল তোমার মুখ দেখতে পাই। তুমি ওখানে কি জানি বলছিলে আর সবাই হাসতে হাসতে একজন আরেকজনের গায়ে ঢোলে পড়ছিল।
ওখান থেকে কিছুক্ষণ পর তুমি সরে বাচ্চাদের সাথে খেলতে শুরু করলে। আমি বসে বসে তোমার কীর্তি দেখতে থাকি। আবার কিছুক্ষণ পর তুমি তোমার সমবয়সীদের সাথে মিশে কলকল করতে থাকলে।
পুরোটা সময় আমি শুধু তোমাকে আর তোমার আনন্দটাকে দেখেছি। তুমি কেমন জানি নিজে আনন্দ করছো আবার সবার মাঝে সে আনন্দ বিলিয়ে দিচ্ছো।
তখন থেকে আমার মনে তুমি গেঁথে যাও।
আমার মনে হয়,,,,,,,
চলবে..........
রূপসী রাজকন্যা
অডিও মোড
00:00
00:00
গতি:
ভলিউম:
96
Views
1
Likes
0
Comments
0.0
Rating