মায়া জড়ানো ভালোবাসা

আম্মুকে দেখার সাথে সাথে রিয়া আমার আম্মুর পায়ে ছুয়ে সালাম করলো,,,,

আম্মু:- এই মা থাক সালাম করতে হবে না,,

রিয়া :- প্রথম বার এসেছি সালাম না করলে হয়,,,।।

আম্মু-: হুম, আমার ছেলের পছন্দ আছে বলতে হবে..?

রিয়া:: আম্মু এই নেই আপনার জন্য উপহার এনেছি, কি আনবো ভেবে পাচ্ছিলাম না দেখে একটা জায়নামাজ আর একটা কোর-আন শরীফ এনেছি,,।

আম্মু:: এইটা আমার জীবনের সব চেয়ে বড় উপহার,,।

রিয়া:: আপনার পছন্দ হয়েছে,,,?

আম্মু:: হুম খুব,,, এখন ভিতরে চলো,,।

রিয়া:: আম্মু তার আগে আমার একটা কথা আছে,,।

আম্মু:: কি বলো,,?

রিয়া:: আপনার ছেলে আমাকে আনার সময় অন্য মেয়ের দিকে তাকিয়েছে, আর আমাকে বুড়ি বলেছে,,,।

আম্মু:: কি রে কাব্য, তুই আমার বউমাকে এই সব বলেছিস কেন,,,

রিয়া:: আজ ওকে বাসায় রাখবো না, আজ শুধু আমি আর আপনি মিলে গল্প করবো,, এইটাই আপনার ছেলের শাস্তি,,।

আম্মু:: আচ্ছা মা তুমি যা বলবে তাই হবে,,, এই ছেলে তুমি বাইরে যাও, আমার আর বউমার মাঝে তোমাকে থাকতে হবে না,,,।।।

আমি:: বাহ বা,, বউমাকে পেয়ে ছেলে কে ভুলে গেলা,,।

আম্মু:: ধুর তুই যা তো, এতো পেচাল পারিস না,,

(কি আর করার,, এই মেয়ে তাও ঘরে না ডুকতেই আমাকে ঘর থেকে বের করে দিলো,। এখোনি এমন, না জানি পরে আমার কপালে আর কি দুঃখ আছে,,। কি আর করার আমি বাসা থেকে চলে আসি। কিচুক্ষণ পর আমার ফোনে ফোন দিলো রিয়া ,,,।।)

রিয়া:: এই কথায় তুমি,,,।।?

আমি:: কেন..? কথায় আছি এইটা যেনে তুমি কি করবে..?

রিয়া:: বাহ বা,, কি রাগ,,,,।

আমি:: এখানে রাগের কি আছে,,,।

রিয়া:: - থাক আর কান্না কাটি করতে হবে না, রুমে চলে এসো,,,ল

আমি:: না যাবো না, তোমরা গল্প করো,, আমি তো তোমাদের বিরক্ত করছি না,,,।

রিয়া:: ওই শোনো না, এমন করো না প্লীজ আসো,,।।

আমি:: ঠিক আছে আসছি,,,।।।

(এরপর আমি রুমে ঢুকতেই রিয়া আমার কপালে কয়কটা বেলুন ফাটালো। আর আম্মু আর রিয়া মিলে আমাকে জন্মদিনের সুভেচ্ছা জানালো,,। আরে আমি তো ভুলেই গেছিলাম যে আজ আমার জন্মদিন। অনেক দিন পর এমন একটা সারপ্রাইজ পেলাম। আমি খুশিতে রিয়াকে কে কোলে তুলে নাচতে শুরু করে দিলাম।)

রিয়া:: এই তোমার মাথা গেছে,, আম্মু আছে পাশে দেখছো না,,।

আমি:: ওহ সরি বুঝতে পারি নি,,

(এর পর এক এক করে আবির আর আমার বাকি বন্ধুরাও চলে আসে। আরো একটা সুন্দর দিন কাটালাম। রিয়া আমার জীবনে আসার পর থেকেই মনে হচ্ছে আমার সুখের দিন গুলো আরও বেড়ে গেছে। রাত হয়ে এলো এইবার সবাই চলে গেলো। আমি আম্মু কে বললাম যে আমি রিয়া)

(কে তার বাসায় দিয়ে আসি। এরপর আমি রিয়াকে নিয়ে বের হলাম। রিক্সা ডাকতে যাবো ঠিক তখনি রিয়া বললো...)

আমি:: আজকে রিক্সায় যাবো না,,,।

আমি:: কেনো,,,?.

রিয়া:: আজ দুজনে হাত ধরে রাস্তা দিয়ে হেটে বেরাবো,, আইস্ক্রিম খাবো, ফুস্কা খাবো আর চা খাবো,, আর খোলা আকশের নিচে দুজোনে হেটে বেড়াবো,,,।

আমি:: আচ্ছা ঠিক আছে,,,

(আমারও ইচ্ছে হচ্ছিলো এই কথা টা রিয়াকে বলতে,,,। আসলে আগে শুধু বন্ধুদের কাছে শুনেই এসছি যে ভালোবাসাত মানুষটির হাত ধরে রাস্তা সবুজ ঘাসের উপর নাকি হেটে বেড়ানোর অনুভূতি টা নাকি অন্য রকম। তাও আবার রাতের আকাশের নিচে। সেই দিন থেকে মনের মাঝে এই ইচ্ছে টা ছিলো। আর আজ তা পূর্ণ হলো,,,,।)

রিয়া:: এই কি ভাছো...।

আমি:: না কিছু না,,,।

রিয়া:: ভাবছো আবার বলছো কিছুনা,, বলবা নাকি...।

আমি:: আচ্ছা বলছি, তার আগে আইস্ক্রিম নিয়ে আসি,,।

রিয়া:: আচ্ছা,,।

(এরপর আমি আইস্ক্রিম নিয়ে এলাম,, রিয়াকে একটা দিলাম আর আমি একটা নিলাম,,।)

রিয়া:: হুম এখন বলো,,,।

আমি:: আচ্ছা রিয়া তুমি আমাকে কতো টা ভালো বাসো..?

রিয়া:: হা হা হা.... তুমি দেখি বাচ্চা দের মত কথা বলছো,,।

আমি:: বলোই না,,
,
রিয়া:: কতোটুকু ভালোবাসি সেইটা জানি না, শুধু জানি আমি তোমার মায়ায় জড়িয়ে গেছি,, যে মায়ায় তুমি আমার অভ্যাস হয়ে গেছো,,,।

আমি:: একটা জিনিস লক্ষ্য করেছো,,?

রিয়া:: কি..?

আমি:: আজকে আকাশের চাঁদ টা কত সুন্দর,,।

রিয়া:: হুম,,

আমি:: আজ ওই আকাশ টাকে একটা কথা বলতে ইচ্ছে করছে,,।

রিয়া:: কি..?

আমি:: যে আকাশ শুধু তোমার কাছেই যে চাঁদ থাকে তা নয়,, আমার কাছে তোমার চাঁদের চেয়েও হাযার গুণ সুন্দর একটা চাঁদ আছে, তোমার চাঁদ তো সকাল হলেই হাড়িয়ে যাবে আর আমার চাঁদ সারাক্ষণ আমার কাছে থাকবে,,,।

রিয়া:: এতো টা ভালোবাসো আমাকে,,,

আমি:: এই পাগলি কাদছো কেন..?

রিয়া:: তোমার ভালোবাসায়,,

(এই কথা বলে এই প্রথম আমাকে রিয়া জড়িয়ে ধরলো,,,।)

রিয়া:: আমি আমার ভালোবাসার ভাগ কাউকে দিতে পারবো না নিরব .
.
আমি:: তোমার ভালোবাসা তোমার ছিলো,আছে আর শুধু তোমারি থাকবে,,,।

রিয়া:: ভালোবাসি তোমাকে অনেক বেশি,,,

আমি:: আমিও....

(এরপর দুজন মিলে রাতের আধারে রাস্তার ল্যাম্পপোস্টএর আলোতে হাত ধরে হেটে চলেছি। এইভাবে কিছুক্ষণ হাটার পর আমি রিয়া কে তার বাসায় দিয়ে আসি। ক্লান্ত থাকার জন্য বাসায় এসেই ঘুমিয়ে পড়ি। রিয়াকেও বলেছি যে আজ যেন তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে যায়। কিন্তু এই রিয়া কে নিয়ে যে কি করি,,, ঘুমের ১২ টা বাজিয়ে দিলো,,, ফোনের শব্দে ঘুম টা ভেঙ্গে গেলো তাকিয়ে দেখি রাত 2 টা বাজে..)

রিয়া:: এই কি করছো...

আমি:: আমি এখন জাহাজ চালাচ্ছি, চালাবে আমার সাথে..।

রিয়া:: এই যাও তো,,, এই শোনা না, আমার না ঘুম আসছে না,,,।

আমি:: সারাক্ষণ মাথায় যদি প্রেমের ভুত চেপে থাকে তাহলে ঘুম আসবে কি করে শুনি,,,,

রিয়া:! জানি না... এই তুমি কি ঘুমিয়ে গেছিলা ..?

আমি:: না গো,, বললাম না জাহাজ চালাচ্ছি তাই তার আগে পানিতে নেমে সাতার শিখে নিচ্ছে যাতে জাহাজ ডুবে গেলে সাতার কাটতে পাড়ি।।

রিয়া:: হা হা হা হা.... তুমি না,,,,।

আমি:: তাহলে আর কি বলবো শুনি...।

রিয়া:: এই শোনো না, আমার না ঘুম আসছে না,, চলো না একটু গল্প করি,,,,

(এই দিকে রিয়া কথা বলেই যাচ্ছে আর আমি ফোন সাইডে রেখে ঘুমিয়ে গেছি। আসলে এতো টা ঘুম পেয়েছিলো যে চোখ খুলে রাখতে পারছিলাম না। মোবাইল টা ঘুমের ঘোরে সাইলেন্ট করে ঘুমিয়েছি,,।)

(ঘুম থেকে উঠে মোবাইলের দিকে তাকিয়ে তো আমি অবাক। কাম সারছে,, রিয়া আমকে ৮৩ বার ফোন দিয়েছে,,। আমিও সাথে সাথে রিয়ার ফোনে ফোন দিলাম,,। কিন্তু রিয়ার ফোন অফ বলছে। বুঝলাম রিয়ার আজকের অভিমান টা ওই আকাশের চেয়েও বিশাল,,। কিভাবে আজকে রিয়ার অভিমান ভাঙ্গাবো আল্লাহই ভালো জানে।)

(যাই হোক আমি ফ্রেস হয়ে ভার্সিটির জন্য বের হয়ে গেলাম৷ আমি জানি আমি রিয়াকে সেইখানেই পাবো,,,। ভার্সিটি তে ডুকতেই দেখি রিয়া শহীদ মিনারের পাশে বসে আছে...)...

আমি:: এই ফোন বন্ধ করে রাখছো কেন...

রিয়া:: কে আপনি আর কাকে চাই....?

wait for next part.......

(পরের part এর জন্য অপেক্ষা করুন ধন্যবাদ আপনারা সকলে আমার পাশে থাকবেন)