**__________________**
**__________________**
রাশেদ রাতে তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়ে। আমি জেগে থাকি। অন্ধকারে জেগে জেগে আমি ওকে কতভাবে যে দেখি। এই ঘুমন্ত মানুষটার মন পড়তে খুব ইচ্ছা করে।🙂🙂
রাশেদ রাতে তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়ে তাই উঠে খুব ভোরে। নাজিলা তখনও ঘুমে আচ্ছন্ন থাকে। প্রতিদিন রাশেদ ভোরের মিষ্টি আলোতে মন ভরে নাজিলাকে দেখে।
ঘুমন্ত নাজিলা কে অনেক বেশি স্নিগ্ধ লাগে।নাজিলা দেখতে অনেক বেশি সুন্দরী। এতোটা সুন্দরী যে বেশীক্ষণ তাকিয়ে থাকা যায় না। বেশীক্ষণ তাকালে চোখ জ্বলে। সাথে মনও! 🤗🤗
রাশেদের খুব ইচ্ছা করে একবার নাজিলার গাল ছুঁয়ে দিতে। চুলগুলোয় হাত বুলিয়ে দিতে। কিন্তু সে নিজেকে সংযত রাখে,,,নাজিলা যদি কখনোও টের পায় তবে খুব রাগ করবে ।😥😥
হয়তো রাশেদের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলবে।যা রাশেদ কোনোভাবেই হতে দিবে না।😔😔
আজ বিকাল থেকেই কারেন্ট নেই। সন্ধ্যার পরেও আসার নাম নাই।কাজ শেষে আমরা সবাই বাড়ির সামনের সিঁড়িতে বসে খোলা আকাশের নিচে আড্ডা দিচ্ছিলাম।
আমরা সবাই মানে আমি,মা , আর স্বর্ণা। রবিন ছয়দিন আগে চলে গেছে।
পূর্ণিমার চাঁদ আকাশে। আমি কখনো গান শিখিনি আমার গানের গলাও মোটামুটি।তাতে কি,এমন পূর্ণিমার রাতে লাজ শরম নিয়ে ভাবলে হয়!🤭🤭
আমি গান। আমার সাথে সাথে স্বর্ণা ও গায়।
আমি একটার পর একটা গান গেয়ে যাই। স্বর্ণা বলে,,,, ভাবী জানো আম্মা অনেক ভালো গাইতে পারে। ওমনি আমি মাকে চাপাচাপি করতে থাকি। অবশেষে মা গান ধরেন।" লালনের গান" এতো সুন্দর গলা মায়ের!!
ওনার কন্ঠে এতো দরদ!! পুরো পরিবেশ টা কেমন যেন হয়ে উঠে।🙂🙂
হঠাৎ রাশেদকে আসতে দেখে মা থেমে যায়। রাশেদ বলে,,,,আম্মা থেমো না কতদিন পর গান করছো।গাও প্লিজ!
মা আবার গাইতে শুরু করেন। রাশেদ মায়ের কাঁধে মাথা রেখে চুপ হয়ে বসে থাকে।
পূর্ণিমা রাতের নীরবতা ফুঁড়ে মা গান গাইছেন আর আমি রাশেদ কে দেখে কষ্ট পাচ্ছি।
ওর চোখের কোনে চকচক করা পানি আমাকে রক্তাক্ত করছে। খুব ইচ্ছে করছে ওর পাশে বসে ওর হাত ধরে বলি আমি আছি তোমার পাশে 😔😔
হঠাৎ,,,,,
চলবে,,,,
রূপসী রাজকন্যা
অডিও মোড
00:00
00:00
গতি:
ভলিউম:
85
Views
1
Likes
1
Comments
0.0
Rating