হঠাৎ বাসা থেকে কল আসলো রোজা ফোন করছে...
ফোন রিসিভ করতেই কখন বাসায় আসবেন...
কিছু সময় পরে..
ঠিক আছে, একটু তাড়াতাড়ি আসবে আমার একা একা লাগছে।
আচ্ছা ,
রোজা কল কেটে দিল..
আবিদের আজ অন্য রকম অনুভব হলো রোজা তার উপর অধিকার দেখাচ্ছে তার মানে আস্তে আস্তে সব স্বাভাবিক হতে চলেছে।
আবিদ খাওয়া দাওয়া শেষ করে রওনা দিল....
গাড়িতে উঠেও রোজাকে যেন সে মিস্ করছে রোজার প্রতি তার মনের মধ্যে একটা ঠান্ডা বাতাস প্রবাহ হচ্ছে বাসায় গিয়ে যেন রোজা কে দেখলে যেন তার মনটা শান্ত হবে।
আজ রাস্তা যেন অনেটা বড় শেষ ই হচ্ছে না।
তারপর বাসায় পৌঁছে তড়িঘড়ি করে নিজের রুমে প্রবেশ করে ...
রোজা খেয়েছো তুমি?
জী, আপনার এতো দেরি হলো কেন ??
কেন দেরি করে আসলে কি সমস্যা....
আমি না থাকলেই তো তোমার ভালো...
রোজা : আমি কি কখন তা বলেছি...
আবিদ : বলতে হয় না জানি আমি।
রোজা: আমার খুব ঘুম পাচ্ছে , ঘুমাবো আমি।
আবিদ বলে ও এইটার জন্যই আমাকে তাড়াতাড়ি আসতে হবে আমি তো তোমার প্রয়োজন কিন্তু প্রিয়জন তো না। বেশ ভালো ঘুমায়, বরং আগে থেকে ঘুমাতে পারতে না আসলেও কিছু হতো না।
আমি কি কখনো তা বলেছি আপনি আমার স্বামী আপনার খোঁজ নেয়টা আমার দায়িত্ব মধ্যে পড়ে ।
আবিদ মনে মনে বলে আর আমাকে ভালবাসাটা তোমার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না বুঝি।
কিন্তু মুখ কিছু বলে না।
দায়িত্ব পালন করলে সব দায়িত্বই পালন করতে হয় বুঝলে রোজা ।
রোজা ঘুমিয়ে গেছে দেখে আবিদ মনমরা হয়ে গেল।
রোজার মাথায় হাত রাখল আবিদ...
সেই দিনই আবার রোজার আম্মু এসেছে বাড়িতে।
'গায়ে অনেক জ্বর রোজার , রাতে গা কাঁপিয়ে জ্বর আসলো। মেডিসিন দিয়েছে তাও জ্বর কমছেনা। এই গরমেও কাঁপছে । জ্বরে রোজা চোখ দিয়ে পানি পড়ছে৷ আবিদ টিস্যু দিয়ে কতোক্ষণ পর পর চোখের পানি মুছে দিচ্ছে। আবিদ আর সামলাতে না পেরে রুবিনা খাতুনকে ডাক দিলো। তিনি এসে তার মেয়ের পাশে বসলেন। অনেকক্ষণ জলপট্টি দিলেন তিনি। কিন্তু মনে মনে একটা ভয় কাজ করছে ন। জলপট্টি দেওয়ার পর রোজার জ্বর অনেকটা কমেছে। রুবিনা খাতুন রোজার কাছে থাকতে চেয়েছিলো কিন্তু আবিদ ওনাকে বলেছে 'এখন সে সব সামলাতে পারবে' তাই রুবিনা খাতুন চলে এসেছেন। আবিদ পাশে শুয়েছে আজ কোনো দূরত্ব নেই তাদের মাঝে। তবুও একজন আরেক জনকে স্পর্শ করছেনা। রোজা জ্বরের ঘোরে কিছু বলছে। আবিদ খুব মনোযোগ দিয়ে কথা শুনে বুঝেছে ' পানি খাবে'।
আবিদ পানি খাওয়ালো। কিছুক্ষণ পর আবার জ্বর আসলো । মেয়েটা কাঁপছে আর অনুমতি নিলো না রোজাকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে আছে।'
'সকাল ৭টা।'
'রোজা মনেহচ্ছে তার গায়ের উপর কেউ পাথর ফেলে দিয়েছে। কি অসহ্য লাগছে। শরীরে এক ফোটা শক্তি নেই যে হাতটা সরাবে। চোখ খুলে তার ডানপাশে তাকিয়ে দেখে আবিদ ওকে এভাবে ধরে শুয়ে। রোজা হাত নাড়াচাড়া করতেই আবিদ উঠে গেলো।'
তড়িঘড়ি করে রোজাকে জিগ্যেস করলো-'
"কিছু লাগবে রোজা?"
'তারপর মাথায় হাত দিয়ে চেইক করলো জ্বর আছে কিনা! জ্বর তখন ছিলোনা। রোজা আবিদের দিকে তাকিয়ে বললো-'
"কিছু লাগবেনা। আসলে আপনি যেভাবে হাত দিয়ে শুয়ে ছিলেন আমি নিঃশ্বাস নিতে পারছিলাম না।"
'কথাটা শুনে আবিদের মুখটা ছোট হয়ে গেলো। উঠে ফ্রেশ হতে চলে গেলো। ফ্রেশ হয়ে এসে রোজাকে জিগ্যেস করলো-'
"তুমি ফ্রেশ হবে না?"
'রোজা মাথা নেড়ে বললো-'
"জ্বী আসলে মা কে একটু ডেকে দিলে ভালো হয়।আমার একটুও শক্তি নেই একা একা হেঁটে যেতে পারবো না।"
'আবিদ পাশে দাঁড়িয়ে হাত বাড়িয়ে দিলো। রোজা কিছু বুঝলো না। অবুঝের মতো শুধু তাকিয়ে রইলো। তার হাতে ইশারা করে বললো-'
"উঠে আসো। আমি ওয়াশরুমের দিয়ে আসবো।"
'রোজা আস্তে আস্তে করে উঠছে। আবিদ ধরে ধরে নিয়ে ওয়াশরুমে দিয়ে আসলো। যতোক্ষণ রোজা ওয়াশরুমে ছিলো ততক্ষণ আবিদ সেই দরজার বাহিরেই দাঁড়িয়ে ছিলো। বেডে আধশোয়া করে রেখে বাহিরে আসলো। রোজার বোন সোফায় বসে আছে। গ্রামে থাকলে এতোক্ষণ তার তিনবার খাওয়া হয়ে যেতো,আর এখানে এখনো একবারও সে খেতে পারছেনা বিরক্তিকর ব্যাপার।
"আপনাদের বাড়িতে আসলে কি মানুষকে খেতে দেন না?"
আবিদ বুঝতে পারছে রোজার বোনের ক্ষুধা পেয়েছে।
এই তো যাচ্ছি....
বাইরে থেকে খাবার নিয়ে আসল সবাই এক সাথেই খেল কিন্তু রোজা খেতে পারল না।
তার মুখে কোন কিছু স্বাদ লাগলো না।
পরের দিন....
নোট :গল্পটি ভালো লাগলে লাইক দিয়েন একটি ধন্যবাদ।
বলো ভালবাসি
অডিও মোড
00:00
00:00
গতি:
ভলিউম:
181
Views
4
Likes
3
Comments
5.0
Rating