রূপসী রাজকন্যা

অডিও মোড

00:00 00:00
গতি:
ভলিউম:
**______________**
রবিন এখনো রয়ে গেছে। কটা দিন পরে যাবে। রবিন আমার সমবয়সী হওয়ায় ওর সাথে আমার বেশ ভালো বন্ধুত্ব হয়ে গেছে। এর মধ্যে আমি জেনে গেছি রবিন ছয় মাস ধরে প্রেম করছে। 🤭🤭
শর্ত হচ্ছে কাউকে বলা যাবে না। মা, স্বর্ণা আর রবিনের সাথে আমি সারাদিন এত বকবক করি যা আমার পরিবারে কখনো করিনি।😊😊

আমি যেন সুখের ভেলায় ভাসছি। শাশুড়ির আদর, দেবর ননদের বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ আমাকে মুগ্ধ করে। এখানে আমার চাঞ্চল্যতার জন্য কেউ আমাকে বকে না বরং মজা পায়।

আমি দোকান থেকে লুডু আনিয়ে খেলা‌ জমিয়ে ফেলেছি। রবিন এমনকি মায়ের সাথে ও খুনসুটি চলেই। জম্পেশ আড্ডা, লুডু খেলা, হাসাহাসি। টিভি দেখা সবকিছুতেই সবাই আমার সাথে একেবারে মিশে গেছে। 😁😁
আমার মনে হয় না আমি এ পরিবারে আসা নতুন বউ।🤭🤭

রাশেদ সকাল সকাল বের হয়ে রাতে ফিরে। মাঝে দুপুরে এসে একবার খেয়ে যায়। খাওয়ার সময় আমার বকবক হাসাহাসি চলতে থাকে আর সে সব সময়এর মত চুপচাপ মিটিমিটি হাসে।

আমি ইদানিং রাশেদকে আড়চোখে, সোজা চোখে,, ঘুম ঘুম চোখে,, কত চোখে দেখি!! এখন তো মুগ্ধ চোখেও দেখি ☺️☺️ রাশেদার হাসিটা খুব সুন্দর মাথায় এলোমেলো চুল আর খাড়া নাকে মাথা নত করে যখন মিষ্টি হাসি দেয় তখন যে কেউই তাকে ভালবেসে ফেলবে।

ওর গায়ের রংটা কেমন জানি বেশ সুন্দর। ওর চেহারার সাথে পুরোটাই মানানসই। নিজেরই মন খারাপ হয় যখন মনে পড়ে কালো বলে আমার কত দুঃখ হচ্ছিল বিয়ের দিন।😔😔
কি করবো, ভাবি গুলো সারাক্ষণ কানের কাছে কালো জামাই বলে কুনকুন করছিল। অথচ এখন মনে হয় আমার সব ভাই দুলাভাইদের মাঝে রাশেদের চেহারার তীক্ষ্ণতা যেন সবার আগে নজর কাড়বে।

আর আমার ভাইগুলো তেমন লম্বা না সেদিকে রাশেদ বেশ লম্বা ,, সুঠাম দেহ। সব মিলে ওর সুরমা কালো রং টাই ওর চেহারার মাঝে এক পুরুষালী তেজস্বীতা এনে দিয়েছে।

আচ্ছা,, আমি কি রাশেদকে ভালবাসি??🙄🙄 কি জানি,, আমি বুঝিনা ভালোবাসার অনুভূতি কি?? তবে রাশেদের প্রতি একটা টান অনুভব করি ।
দুপুরেও কখন আসবে সেটার অপেক্ষায় থাকি।
আর রাতটা তো আমার সবচেয়ে প্রিয় মুহূর্ত রাতে আমি কত প্রশ্ন করি আর রাশেদ একটা একটাকরে গুছিয়ে উত্তর দেয়। আমি ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বেহায়ার মত খালি রাশেদের চোখে আমার প্রতি মুগ্ধতা কেমন তা জানতে চাই।

আর রাশেদ ততোই এমন প্রশ্ন এড়িয়ে অন্যান্য গল্প করে। আমি কলেজ বদলে এখানে ভর্তি হবো কিনা। কবে থেকে ক্লাস করা শুরু করবো। দরকার হলে আমাকে ও সাথে করে আমার কলেজে দিয়ে আসবে কিনা। পড়া শেষে কি করার ইচ্ছা কত কথা।

আমার লেখাপড়া চালানোর এতো দিনের যুদ্ধ যেন এখানে একেবারে ডাল ভাত। বরং এখানে পড়াশোনায় অবহেলা করলে উল্টো জনে জলে সবার বকা খেতে হবে।

কিন্তু রাশেদের সাথে আমার পড়াশোনার গল্প করতে একদম ইচ্ছা করে না। আমার ইচ্ছে করে রাশেদের মুখে শুনতে আবার চোখগুলো কেমন,, আবার চুলগুলো,, আমার হাসি,, আমার সবকিছু শুনতে। কিন্তু না,, সে তো আমার দিকে তাকায়ই না,,😕😕😕




চলবে,,,,,,



124 Views
3 Likes
1 Comments
4.5 Rating
Rate this: