ইজনিয়া : ভাবি সত্যি কি তুমি কিছু বোঝ না নাকি আমাকে বলতে চাচ্ছো না।
রোজা :কি বলবো আপু তোমার ভাইয়া তো খুবই রাগী কথাই কথাই রাগ দেখাই।
ইজনিয়া :থাক বাদ দাও। তুমি আসলেই কিছুই বোঝ না আমি বুঝতে পরেছি।
ওই দিকে
আবিদ হসপিটালে ঢুকতেই মনে মনে ভাবলো বিয়ের কথা টা সবাই বলা যাবে না।
এতো ছোট ১৬বছরের মেয়ে কে বিয়ে করছি এটা জানলে হসপিটালের সকল কলিগ দের কাছে তুচ্ছ তাচ্ছিল্যের পাএ হতে হবে।
নিজেকে স্বাভাবিক করে সবার সামনে থাকতে হবে।
আবিদ কে দেখে আজ কেমন যেন মলিন লাগছে তাই তার কলিগ হামজা তাকে জিজ্ঞেস করল কি ব্যাপার ডঃ আবিদ আজ মন মরা কেন?
কোন সমস্যা????
আবিদ: গম্ভীর কণ্ঠে কই কিছু না।
ড:হামজা: কিছু ভাবছেন মনে হচ্ছে...
আবিদ: হুম ভাবছি যে রোগী গুলো দেখা শুরু করি না হলে তো লেট হবে তাই না।
ড: হামজা :ওই ইয়াস, চলুন ।
রোজা :মন খারাপ করে রুমে বসে আছে। খুব বাড়ির কথা মনে পড়ছে ছোট বোনটার সাথে খেলা মায়ের বকুনি সব কিছু রোজা মিস্ করছে। রোজার প্রিয় পুকুর পার টাও আজ রোজা দেখতে পারছে না।
ইজনিয়া :ভাবি ভাইয়া আসলে শরবতটা খেতে দিও প্রতিদিন আমিই দিতাম বাট আজ থেকে আম্মু এটা তোমার দায়িত্ব করে দিয়েছে।
রোজা :ঠিক আছে বলতে না বলতেই দরজার সামনে আবিদ হাজির। আবিদ কে দেখে ইজনিয়া বেরিয়ে গেল।
রোজা :ভয়ে যেন তথমথ খেল..
এই যে আপনার শরবত..
আবিদ :রাখো ফ্রেশ হয়ে নিচ্ছি ।
রোজা ভয়ে ভয়ে গ্লাসটা রেখে বেলকনি তে চলে গেল।
আবিদ :ফ্রেশ হয়ে গ্লাসটা হাতে নিয়েই শরবতটা একটু চুমুক দিয়েই।
এই যে মেয়েেেেই কি যেন....নাম?
রোজা ভয়ে ভয়ে বেলকনি থেকে এসে বলল....
জী রোজা...
আবিদ :কি বানিয়েছো একটু মিষ্টি হয় নি, আমি মিষ্টি ছাড়া শরবত খায় না।
রোজা : আমি তো...
কথা শেষ না হতেই
আবিদ বলে উঠলো থাক বুঝেছি শরবতটাও ঠিক মতো বানাতে পারো না..
আর এর মধ্যেই একজন অচেনা মানুষকে বিয়ে করে নিলে????
বাহ্
রোজা :আসলে...
আবিদ :যেইটা পারো না,সেই কাজ করার দরকার কি??
রোজার মুখ শুকিয়ে গেল কিছু আর বলতে পারলো না।
আবিদ :আমি এখন বই পড়ব তুমি এখন নিচে যাও, আম্মু অথবা ইজনিয়ার কাছে গিয়ে সময়৷ কাটাও।
রোজা তাড়াতাড়ি রুম ত্যাগ করল..
রোজা মনে মনে বলে ইনি এতো রাগি কেন...
আর একটু হলে কেঁদে দিতাম এমন করে কেউ আমাকে রাগ করে না কিন্তু ইনি এমন করে কেন?
নিচে দেখে আবিদের মা বললো কি বৌ মা নিচে কেন কিছু লাগবে বললেই পাঠিয়ে দিতাম..
কষ্ট করে নিচে এলে কেন..
উনি বই পড়বেন...
রোজা মনটা খারাপ দেখে ইজনিয়া বললো ভাবি আমার রুমে চলো।
ইজনিয়া রোজার মনটা ভালো করে দিল গল্প করে তারপর রোজাকে রাতের খাবার শেষ করে রুমে দিয়ে এলো কিন্তু রোজার খুব ভয় হচ্ছে আবার আবিদ তাকে না কিছু বলে বসে।
রুমে ডুকতেই আবিদ রোজার সামনে চলে আসে এতোটাই সামনে ছিল ভয়ে রোজা চোখ অফ করে নেয় ...
আবিদ আর রোজার সম্পর্ক টা কি সুন্দর হবে নাকি তাদের সংসার বেশিদিন টিকবে না এটাই দেখার পালা....
গল্পটি ভালো লাগলে মতামত জানাবেন ধন্যবাদ...
বলো ভালবাসি
অডিও মোড
00:00
00:00
গতি:
ভলিউম:
308
Views
8
Likes
3
Comments
4.6
Rating